দেশের অগ্রগামী অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট তাদের ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর বাংলাদেশের জাতীয় টেস্ট ক্রিকেট দলের অধিনায়ক মুশফিকুর রহিমকে সাথে নিয়ে #DarazCares নামে একটি উদ্যোগ বাস্তবায়ন করে। উদ্যোগটির অংশ হিসেবে দারাজ বাংলাদেশ লিঃ অ্যাকশনএইডের সহযোগীতায় তাদের প্রোজেক্ট হ্যাপি হোমস- অভাবগ্রস্ত ও সুবিধা বঞ্চিত মেয়েদের কেন্দ্র –কে সহায়তা করতে এগিয়ে আসে।
দারাজ বাংলাদেশের হেড অফ পাবলিক রিলেশন, নাওশাবা সালাহউদ্দিন বলেন, “এই উদ্যোগটির মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে এই মেয়েদের সম্পর্কে সবাইকে সচেতন করা এবং ওদের জন্য এগিয়ে আসতে মানুষকে উদ্বুদ্ধ করা। আমরা জানি আমাদের মাঝে অনেকই সুবিধা বঞ্চিতদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে চাই, কিন্তু অনেকই জানে না কার মাধ্যমে সাহায্যে এগিয়ে আসা যায়। আশা করি, মুশফিকের আবেদনের পর অনেকেই অ্যাকশনএইডের মত একটি নির্ভরযোগ্য প্ল্যাটফর্ম সম্পর্কে জানতে পারবে এবং সুবিধাবঞ্চিত এই মেয়েদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে”।
ফারাহ কবির, কান্ট্রি ডিরেক্টর অফ অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ বলেন, “আমরা দারাজের উদ্যোগ কে সাধুবাদ জানাই যে তারা হ্যাপি হোমসের পাশে এসে দাড়িয়েছে এবং আমাদের যৌথ প্রয়াস হ্যাপি হোমসের মেয়েদের জীবনে পরিবর্তন আনতে বিশেষ ভূমিকা রাখবে। ১৫০ টি মেয়ের দায়িত্ব নেয়া টা এতটাই প্রেরণাদায়ক যে আমরা আশা করি অনেকই ওদের সাহায্যে এগিয়ে আসবে। শুধু তাই নয় এই মেয়েদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করাও আমাদের দায়িত্ব। তাই আমাদের সবার উচিৎ হ্যাপি হোমসের ১৫০ জন মেয়েদের সুন্দর ভবিষ্যৎ নিশ্চিত করার পাশাপাশি সমাজে সুবিধা বঞ্চিত সব মেয়েদেরই পাশে এসে দাঁড়ানোর”।
অনুষ্ঠানে মুশফিকুর রহিম সবার উদ্দেশে মানবিক আবেদন জানান, হ্যাপি হোমসের মেয়েদের সাথে আড্ডা, অটোগ্রাফ, সেলফি ও ফ্রেন্ডলি ক্রিকেট ম্যাচে মেতে উঠেন সাথে থাকে হ্যাপি হোমসের মেয়েদের গান ও নাচ পরিবেশনা। মুশফিকুর রাহিমকে অনুষ্ঠানে পেয়ে হ্যাপি হোমসের মেয়েরা অনেক আনন্দপুর্ন একটি দিন উদযাপন করে। আন্তর্জাতিক নারী দিবসকে উৎসর্গ করে দারাজ মার্কেটিং ও পি আর টিমের অ্যাকশন এইডকে সাথে নিয়ে এই প্রচেষ্টা। অ্যাকশনএইডের গুলশান ১ অফিস প্রাঙ্গনে অনুষ্ঠানটি অনুষ্ঠিত হয়, যাতে উপস্থিত ছিলেন, দারাজের হেড অফ মার্কেটিং সুমিত জাসরিয়া ও অ্যাকশনএইড বাংলাদেশের কান্ট্রি ডিরেক্টর ফারাহ কবির।
অ্যাকশনএইড বাংলাদেশ অ্যাকশন ফর সোশ্যাল ডেভল্পমেন্ট এর সহযোগিতায় ঢাকায় ৫ টি হ্যাপি হোমস পরিচালনা করছে। বর্তমানে প্রতিটি হোমে প্রায় ৩০ জন করে ৭ থেকে ১৮ বছর বয়সের মেয়রা বসবাস করছে। ১০২১ জন মেয়ে এখন অব্দি হ্যাপি হোম থেকে সবার মত স্কুলে যাচ্ছে, ৩৯৬ জন মেয়ের কর্মসংস্থান করে দেয়া হয়েছে, ৮৭১ জন মেয়ে পরিবারের কাছে ফিরে গিয়েছে, এবং সর্বমোট ১৭,৪৪৩ মেয়ে দিবাগত সুবিধা লাভ করতে সক্ষম হয়েছে।
With years of experience as a seasoned online shopper, I have developed a keen eye for the latest trends and technology in the E-commerce industry. The passion for discovering the best products and services on the web is matched only by love for sharing their findings with others.