সময়ের বাঁকে দুনিয়ার এপ্রান্ত থেকে সেপ্রান্তে নিরন্তর ছুটে চলার প্রয়োজনে আপনার জীবনে আর যাই দরকার হোক; একটা ব্যাগের প্রয়োজনীয়তা যে অসীম, সে কথা আর নতুন করে বলার অপেক্ষা রাখে না। কিন্তু কোন ব্যাগ কখন ও কোন প্রয়োজনে ব্যবহার করা দরকার, এ নিয়ে দ্বিধা-দ্বন্দ থাকাটাও অস্বাভাবিক কিছু নয়। এখন হয়ত ভাবছেন সময়ের সাথে তাল মেলাতে আপনি কেমন ব্যাগ ব্যবহার করতে পারেন? চিন্তার কিছু নেই, আপনার ব্যাগ সমস্যার সমাধান করতেই নানাবিধ ব্যাগের সমারোহে সাজানো হয়েছে আমাদের এই আয়োজন।
যেমন ব্যাগ আপনার দরকার!
ব্যাকপ্যাক ব্যাগ
প্রথমেই জানা যাক, ব্যাকপ্যাক আপনার কেন দরকার? আপনি যদি একজন ভ্রমণপিয়াসি মানুষ হয়ে থাকেন, তাহলে সবচেয়ে কাজের জিনিস হবে এই ব্যাকপ্যাক। সারা দুনিয়ায় আপনি যেখানেই যান না কেন, গড়নে হালকা স্বভাবের এই টেকসই ব্যাগ আপনার জন্য দরকারি ও অতি প্রয়োজনীয় সকল পণ্য বহনে বেশ ভালো ভাবেই কার্যকর।
তাই এখন যেকোন ব্যাকপ্যাকিং ট্যুরে যেতে চাইলে আপনার ভ্রমণের পরম সঙ্গী হতে পারে ব্যাকপ্যাক ঘরাণার যেকোন ব্যাগ।
র্যাকস্যাক/রুকস্যাক ব্যাগ
ব্যাকপ্যাক আর রুকস্যাক এর পার্থক্য হচ্ছে চিরায়ত জিপার চেইন এর বদলে বকলেস ফিতার আধিক্য। জ্যাকেট থেকে শুরু করে যেকোন কাপড় ভাঁজ ছাড়াই যেভাবে ইচ্ছা ব্যাগে ঢুকিয়ে আবার যখন ইচ্ছা ব্যাগ থেকে বের করতে পারার স্বাচ্ছন্দই এটাকে ব্যবহারকারীদের মাঝে জনপ্রিয় করে তুলেছে। এমনকি ছোট-বড় যেকোন জিনিসপত্র বেশ অনায়াসেই এই রুকস্যাক ব্যাগে ঠাঁই পেতে সক্ষম।
ঘরের বাইরে বের হলে আর বাদ যাবে না কোন দরকারের জিনিস, মুক্ত হতে পারেন বাড়তি চিন্তা থেকে।
ডাফেল ব্যাগ
স্যুটকেসের দিন তো সেই কবেই শেষ! কিন্তু তাই বলে কি প্রয়োজন থেমে আছে? ভ্রমণের ক্ষেত্রে দরকারি পোশাক কিংবা প্রসাধনী অথবা জরুরি কোন জিনিস বহনে যে ব্যাগটি সবচেয়ে বেশি আলোচিত ও জনপ্রিয়, সেটিই হচ্ছে ডাফেল ব্যাগ। যদিও এই ব্যাগ অনেকের কাছে উইকেন্ডার ব্যাগ নামেও সমধিক পরিচিত। তবে ডাফেল ব্যাগ এর কার্যকারীতা যে শুধু ভ্রমণেই সীমাবদ্ধ, তা কিন্তু নয়। আকারে সিলিন্ডার আকৃতির এই ব্যাগের ছোট ভার্শনটি আবার জিম ব্যাগ হিসেবেও আজকাল ব্যবহৃত হয়।
ডাফেল বড়সড় ভার বহনে সক্ষম কিন্তু ভারী নয়, তাই বেশি পণ্য বহনে একাধিক ব্যাগের ঝামেলা এড়াতে ডাফেল ব্যাগ অতি কার্যকরী হিসেবে গণ্য হয়।
স্লিং ব্যাগ
এক কাঁধে হালকা জিনিস বহনে স্লিং ব্যাগের জুড়ি মেলা ভার। স্টাইলিশ হওয়ার কারনে এই স্লিং বা মেসেঞ্জার ব্যাগ তরুন মহলেও ব্যাপক সমাদ্রিত। আকারে ছোট আকৃতির এই স্লিম ব্যাগে অবশ্য বেশি কিছু না ধরলেও দিনে দিনে ঘরে ফিরে আসার মত অতি প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিশেষ করে পাওয়ার ব্যাংক, চার্জার, প্রসাধনী সামগ্রী ইত্যাদি অনেক সহজেই বহন করা সম্ভব। যদি আকৃতিতে বড় স্লিং ব্যাগ দরকার হয়, সেটাও অনলাইনে খুঁজে পাবেন হ্যাভারস্যাক ব্যাগ নামে।
বর্তমানে তো বাহারি ডিজাইনের ও বিভিন্ন গড়নের স্লিং ব্যাগ কিনতে পাওয়া যায় সাধ্যের মধ্যেই।
যে উদ্দেশ্যেই ব্যাগ কিনুন না কেন, সেটা অবশ্যই টেকসই ও মজবুত হওয়া চাই। আর আমাদের দেশের আবহাওয়া ও জলবায়ুর বিচারে পানি নিরোধক ব্যাগ সবারই চাহিদার শীর্ষে থাকে। একটু দেখেশুনে ভালমানের ব্যাগ বেছে নিতে পারলেই লাভবান হওয়ার সম্ভবনা অনেকাংশে বেশি থাকে। স্ট্র্যাপ বা ফিতার ধরণ আপনার চাহিদার সাথে মানানসই কিনা; ব্যাগ কেনার আগে সেটার একটা কোয়ালিটি চেক দিতে পারলে মন্দ হয় না। আর কোন ব্যাগের ধরণ কেমন, কয়টা কম্পার্ট্মেন্ট বা পকেট আছে, সেবিষয়ে আগেই জানা থাকলে পরে পস্তানোর সম্ভাবনা থাকে না বললেই চলে।
এছাড়া আরো দেখতে পারেন,
কিভাবে সহজেই ই-পাসপোর্ট করতে পারেন
Found this insightful? Choose your network to share: