২০২১ সালের মধ্যে এই বিনিয়োগের সিংহভাগ ব্যবহৃত হবে অবকাঠামোগত উন্নয়নে
দেশের বৃহত্তম অনলাইন মার্কেটপ্লেস এবং আলিবাবা গ্রুপের অঙ্গ সংগঠন দারাজ ক্রেতাদের ই-কমার্স অভিজ্ঞতা আরও আধুনিক ও সুখকর করার জন্য ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশে বিনিয়োগ করবে ৫০০ কোটি টাকা। মূলত এই অর্থের সিংহভাগই ব্যয় হবে প্রতিষ্ঠানটির লজিস্টিক ইনফ্রাস্ট্রাকচার উন্নয়নে যার মধ্যে অন্যতম ২ লক্ষ বর্গ ফুটের নিজস্ব ওয়্যারহাউজ ও দেড় লক্ষ বর্গ ফুটের সম্পূর্ণ স্বয়ংক্রিয় সর্টিং সেন্টার নির্মাণ। এবং এই বছরের শেষ নাগাদ ৬৪টি জেলায় ১৫০টিরও বেশি হাব স্থাপনের লক্ষ্যে দারাজ বাংলাদেশ কাজ করে চলেছে। এছাড়াও বিনিয়োগের একটি অংশ যাবে নন্দিনী, দারাজ স্টোর, দারাজ ভিলেজ ইত্যাদি প্রকল্পের মাধ্যমে উদ্যোক্তা (ই-বাণিজ্য ব্যবসায়ী) তৈরির খাতে। বিনিয়োগের ফলে অটোমেশনের জন্য দারাজে শীঘ্রই- কনভেয়ার বেল্ট, ফর্ক লিফ্ট, এনার্জি এফিশিয়েন্ট, পার্কিং বেস, ফায়ার সেফটি ইকুইপমেন্ট ইত্যাদি সহ নানা ধরণের সরঞ্জাম অন্তর্ভুক্ত হবে। এই অটোমেশনের ফলে গ্রাহকরা আরও দ্রুত তাদের দোরগোড়ায় ডেলিভারি পাবে। দারাজ অনলাইন শপ প্রতিনিয়তই গ্রাহকদের নতুন ধরণের অভিজ্ঞতা তৈরির জন্য উদ্ভাবনী পন্থা অবলম্বন করে। এই বিনিয়োগ তারই একটি নিদর্শন।
![বাংলাদেশে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে দারাজ ! 7 daraz online shopping](http://blog.daraz.com.bd/wp-content/uploads/2020/06/DEX-of-Daraz-BD.jpg)
উল্লেখ্য, ২০১৪ সালে যাত্রা করা দারাজ গত ৫ বছর ধরে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তার অত্যাধুনিক সেবা প্রদান করে আসছে যার ফলে লাখো বাংলাদেশি এখন ঘরে বসেই উপভোগ করছে হাজার হাজার পণ্য। দারাজ মার্কেটপ্লেসে রয়েছে ১৮ হাজারেরও বেশি সেলার বা বিক্রেতা, প্রতিটি সেলারকেই দারাজ প্রতিনিয়ত ট্রেনিং দিয়ে থাকে যাতে তাঁরা সরকারের বিধিনিষেধ মেনে ব্যবসা করেন। গ্রাহক অভিজ্ঞতা বৃদ্ধিতে প্রতিষ্ঠানটি দারাজ এক্সপ্রেস (ডেক্স) নামক নিজস্ব লজিস্টিক পরিসেবাও তৈরি করেছে যেখানে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পণ্য সরবরাহ করতে ৩,০০০ কর্মচারী নিরলসভাবে কাজ করছেন। এছাড়াও দ্রুত প্রক্রিয়াকরণ এবং অর্ডার বাছাইয়ের জন্য দারাজের রয়েছে দেশের বৃহত্তম সর্টিং সেন্টার, যার আয়তন ১ লক্ষ বর্গফুটরও বেশি। দেশের বিভিন্ন প্রান্তে ৬০টিরও বেশি হাব স্থাপন করেছে দারাজ।
![বাংলাদেশে ৫০০ কোটি টাকা বিনিয়োগ করবে দারাজ ! 8 daraz online shopping in bangladesh](http://blog.daraz.com.bd/wp-content/uploads/2020/06/Warehouse-of-Daraz-BD.png)
এছাড়াও প্রতিষ্ঠানটি কোভিড-১৯ সঙ্কটের মাঝেও বড় বড় প্রকল্প বাস্তবায়ন করেছে যার মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল: দারাজ ফার্স্ট গেইমস (ডিএফজি) – গ্রাহকদের জন্য একটি অভিনব গেইমিং প্ল্যাটফর্ম; ডিফার্মা- (মেডিসিন ক্যাটাগোরি)- যেখানে পাওয়া যাচ্ছে প্রয়োজনীয় ঔষধ সামগ্রী; ডি-মার্ট ও ডি-ফ্রেশ – যেখানে ক্রেতারা পাচ্ছে সহজেই শাক-সবজি, ফল-মূল, মাছ-মাংস, দুধ, ফ্রোজেন ফুড, গ্রোসারি ইত্যাদি অর্ডার করার সুবিধা। এছাড়া নতুন ১৩টি জেলায় ডেক্সের মাধ্যমে গ্রোসারি পণ্যসহ অন্যান্য পণ্যের হোম ডেলিভারি চালু হতে যাচ্ছে জুন মাসের মধ্যেই।
Shuvo Roy, an enthusiastic Content Writer & Researcher, has expertise in several industries, especially in IT, Software & E-commerce. Moreover, he is a strategic planner.