ফ্রস্ট নাকি নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ – কোন ফ্রিজ বেশি বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী?
রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ এখন আর বিলাসীতার গন্ডিতে আবদ্ধ নয় বরং এটি এখন জীবনযাপনের একটি অন্যতম অপরিহার্য অংশ হিসেবেই বিবেচিত হয়। নিত্যদিনের ব্যবহার্য ও অতি প্রয়োজনীয় এই অ্যাপ্লায়েন্স কেনার আগে তাই কিছু গুরুত্বপূর্ণ বিষয় নজরে না রাখলেই নয়। রেফ্রিজারেটর বা ফ্রিজ কেনার আগে বিশেষ কিছু বিষয় যেমন স্থায়িত্ব, ক্ষমতা, আকার, ডিজাইন, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ের সুবিধা ও প্রযুক্তির ওপর বেশি গুরুত্ব দেওয়া জরুরী। এক্ষেত্রে দারাজ বাংলাদেশ আপনাকে দিচ্ছে সাধ্যের মধ্যে সর্বাধুনিক প্রযুক্তির ফ্রিজ কেনার সর্বোচ্চ নিশ্চয়তা।
ভালো কম্প্রেসার, বিদ্যুৎ সাশ্রয়ী ক্ষমতা ইত্যাদি বিষয় ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটর কেনার আগেই জেনে নেওয়া ভাল। আর ভালো ফ্রিজ খাবারের পুষ্টিমান রক্ষা করার পাশাপাশি জীবনযাপনেও আনে অনেক স্বাচ্ছন্দ্য।
রেফ্রিজারেটর কেনার আগে যেসব বিষয় জেনে রাখা ভালো
কম্প্রেসার
কম্প্রেসার নিঃসন্দেহেই ফ্রিজের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ একটি অংশ। উন্নতমানের একটি রেফ্রিজারেটর কম্প্রেসারের কাজ হল এটি খুব দ্রুততার সাথে ফ্রিজকে ঠাণ্ডা করতে পারে। এছাড়াও অত্যাধুনিক ইনভার্টার কম্প্রেসার আপনার ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ অনেকাংশেই কমিয়ে দিতে পারে।
আকার ও মডেল
রুমের আকার অনুসারে ফ্রিজ এর আকার ও মডেল পছন্দ করা জরুরী। তবে ফ্রিজের ধারণক্ষমতার বিষয়টিও এক্ষেত্রে মাথায় রাখতে হবে। আর চাহিদানুসারে ফ্রিজের মডেল বাছাই করতে পারলে ফ্রিজ ক্রয় পরবর্তি সব ভোগান্তি থেকে রেহাই পাওয়া সম্ভব।
সজীবতা
ফ্রিজ ব্যবহারের উদ্দেশ্য শুধুমাত্র খাবারের পচন রোধের জন্যই নয়, বরং খাবারের সজীবতা রক্ষাও ফ্রিজের কার্যকারিতার অংশ বলে বিবেচ্য হয়। তাই খাবারের আর্দ্রতা ও সজীবতা দীর্ঘদিন ধরে রাখতে ভাল ফ্রিজ বাছাই করা অত্যন্ত জরুরী।
ডিজাইন ও রঙ
ফ্রিজ বা রেফ্রিজারেটরের ডিজাইন ও রঙ আপনার মনের মত হতে হলে ঘরের কালারের সাথে মিল রেখে একটা মানানসই কালার কোড আপনি বাছাই করতে পারেন। এছাড়া আপনার সাধ্যের সমন্বয়ে ডাবল ডোর ফ্রিজ অথবা ডোর ইন ডোর বা সাইড বাই সাইড ডিজাইনের ফ্রিজ এখন দারাজ থেকে বাছাই করতে পারেন।
ওয়ারেন্টি
দারাজে বর্তমানে ৫-১০ বছর পর্যন্ত বিভিন্ন মেয়াদের ওয়ারেন্টি সুবিধা রয়েছে। আপনার চাহিদা অনুসারে এখন যেকোন মেয়াদের ওয়ারেন্টি যুক্ত ফ্রিজ দারাজ থেকে সুলভ মূল্যে বেশ সাচ্ছন্দেই বাছাই করতে পারবেন।
রেফ্রিজারেটরের ধরন
বর্তমানে দুই ধরণের ফ্রিজ মার্কেটে বেশ জনপ্রিয় – ফ্রস্ট ফ্রিজ ও নন-ফ্রস্ট ফ্রিজ
ফ্রস্ট ফ্রিজঃ
ফ্রস্ট ফ্রিজের সবচেয়ে বড় বৈশিষ্ট্য হচ্ছে এই ফ্রিজ অনেক দ্রুত ঠাণ্ডা হয়। দ্রুত বরফ জমার ফলে দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ না থাকলেও এর প্রভাব খাবারের উপর খুব বেশি পড়ে না।
ফ্রস্ট ফ্রিজের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য সমূহ –
- খাবার ডিপে রাখলে খুব দ্রুত জমে যায়।
- বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার পরও ফ্রিজে রাখা খাবার অন্তত ৫-৬ ঘণ্টা ভালো থাকে।
- ফ্রস্ট ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা কম।
নন-ফ্রস্ট ফ্রিজঃ
নন-ফ্রস্ট ফ্রিজে তেমন বরফ জমে না। এ ধরণের ফ্রিজে বরফ না জমলেও খাবার সংরক্ষণে কোন প্রকার ঝামেলা হয় না। ফ্রিজগুলো আধুনিক প্রযুক্তি সম্পন্ন হওয়াতে মান নিয়েও সংশয়ের কোন অবকাশ নেই। খাবার ভালো রাখতে ফ্রিজের কম্প্রেসার সর্বক্ষণ চালু রাখা ভালো।
নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের উল্লেখযোগ্য বৈশিষ্ট্য সমূহ –
- বরফ না জমার ফলে খাবার ডিপে রাখলে খুব দ্রুত জমে যাওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
- বিদ্যুৎ চলে গেলেও ১-২ ঘণ্টা খাবার ভালো থাকবে।
- নন-ফ্রস্ট ফ্রিজের বিদ্যুৎ খরচ কিছুটা বেশি।
*রেফ্রিজারেটর ব্যবহারের টুকিটাকি*
- ফলমূল কিংবা শাকসবজি যদি ভালো ভাবে পরিষ্কার করে ফ্রিজে রাখা যায়, তাহলে ফ্রিজের অতিরিক্ত গন্ধ থেকে সহজেই রেহাই পাওয়া সম্ভব হবে। তবে প্রকৃত স্বাদ পেতে ফল বা তরকারি ডিপ ফ্রিজে না রাখাই ভাল।
- ভেজিটেবল বক্সে সবজি যেকোন প্লাস্টিকের প্যাকেটে মুখ বন্ধ করে রাখতে পারেন। এছাড়া ধনেপাতা, পুদিনাপাতা, লেটুস পাতার গোড়া কেটে ফ্রিজে রাখাই ভালো। আর শাক-সবজির বাড়তি অংশ ফেলে ফ্রিজে রাখলে শাকসবজি অনেকাংশেই তাজা থাকবে।
- কোন খাবার ফ্রিজে রেখে বারবার গরম ও ঠান্ডা করলে ব্যাকটেরিয়ার ঝুঁকি বাড়ে। তাই যেকোন খাবার একবারে গরম করে খেয়ে নেওয়াই ভাল।
- মাছ ও মাংস রেফ্রিজারেটরে রাখার ক্ষেত্রে চর্বি ও বাড়তি ময়লা ফেলে সংরক্ষণ করাই ভালো। এতে প্রতিদিনের ঝামেলা অনেকাংশেই কমে যাবে।
- ফ্রিজে যেকোন প্রসেস করা খাবার খোলা না রাখাই ভালো। এতে খাবারের গন্ধ ছড়িয়ে পড়ার আশংকা কম থাকে। এছাড়া অতিরিক্ত গরম খাবার স্বাভাবিক তাপমাত্রায় এনে ফ্রিজে রাখলে খাবার নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা কমে যায়।
অত্যধিক গরমে খাবার ভালো রাখতে এখন চোখ রাখতে পারেন দারাজে, তবে চরম গরমে অস্থির স্বস্তি পেতে এসি কিনতে পারেন দারাজের এসি কালেকশন থেকে।