কিভাবে ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা যায়? (২০২৩) 0 3097

আপনি কি ইউটিউব থেকে টাকা আয় করতে চান? বর্তমানে অনলাইনে টাকা আয় করার অনেক উপায় রয়েছে। যদি সব থেকে সহজ উপায়ে আপনি অনলাইনে টাকা ইনকাম করতে চান তবে ইউটিউব থেকে আয় করা অন্যতম একটি উপায়।

কিন্তু কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়? 

প্রথমে একটি নিশ বাছাই করুন (যে বিষয়ে আপনি ভিডিও বানাবেন), এরপর চ্যানেলের জন্য ইউনিক এবং সহজ (দর্শকদের চোখে পড়ার মত) একটি নাম ঠিক করুন, ইউটিউব একটি চ্যানেল খুলুন, চ্যানেলে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন, এবং আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করুন।

ইউটিউব থেকে আমাদের দেশে অনেকেই এখন টাকা আয় করছে। প্রতি মাসে ইউটিউব চ্যানেল থেকে কয়েক হাজার থেকে লক্ষ টাকা ইনকাম করা সম্ভব। কিন্তু এর জন্য দরকার শুরু থেকেই একটি সঠিক পরিকল্পনা।

এখানে আমরা “কিভাবে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়” এই প্রসঙ্গে আপনাকে সম্পূর্ণ একটি ধারনা দিব। একটি ইউটিউব চ্যানেল খোলা থেকে শুরু করে আপনার চ্যানেলকে মনিটাইজেশন করা পর্যন্ত যে যে বিষয়ে জানা দরকার সব ধাপগুলো এই ব্লগে সহজভাবে দেওয়া হয়েছে।

আপনি যদি একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান এবং ইউটিউব থেকে টাকা উপার্জন করতে চান, তবে সময় নিয়ে ভালোভাবে শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত পড়ুন। যদিও শুরু করা থেকে টাকা আয় করা পর্যন্ত আপনাকে কিছুটা সময় এবং পরিশ্রম দিতে হবে, তবে আপনিও হতে পারবেন একজন সফল ইউটিউবার।

ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করার ১০ টি ধাপ

আপনি কি একজন সফল ইউটিউবার হতে চান? তবে এই ১০ টি ধাপ আপনার জন্য। 

কোন বিষয়ের উপর কি ধরনের ভিডিও বানাবেন, আপনি কোন ধরনের দর্শককে লক্ষ্য করবেন, আপনি কি বাংলা নাকি ইংরেজি ভাষাতে ভিডিও বানাবেন, কিভাবে আপনার ভিউয়ার এবং সাবস্ক্রাইবার বাড়াতে পারবেন, আপনার চ্যানেলকে কিভাবে সামাজিক মাধ্যমে প্রচার করবেন, এবং মনিটাইজেশন করে কিভাবে আপনি টাকা আয় করতে পারবেন, এই সব বিষয়ে নিচে ধাপে ধাপে বর্ণনা করা হয়েছে।

১। একটি নিশ নির্বাচন করুন (যে বিষয়ে আপনি ভিডিও বানাবেন)

ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করার জন্য প্রথম কাজ হলো এমন একটি বিষয় বা সেক্টর নির্বাচন করা যেই নির্দিষ্ট বিষয়ের উপর আপনি ভিডিও কন্টেন্ট তৈরি করবেন। এই ক্ষেত্রে আপনার যেই বিষয়ে ভালো জ্ঞান রয়েছে বা আপনি নিজে মনে করছেন এই বিষয়ে আপনার কাজ করতে ভালো লাগে এমন কিছু বেছে নিন।

আপনাকে অবশ্যই এটা মাথায় রাখতে হবে আপনি যে বিষয়ে ভিডিও বানাবেন, সেটা আসলেই আপনার দর্শকদের কাছে গ্রহণযোগ্য কিনা। বর্তমানে কিছু জনপ্রিয় টপিক রয়েছে যেগুলো নিয়ে আপনি কাজ করতে পারেন।

ট্রেন্ডি এবং জনপ্রিয় ৫ টি ইউটিউব চ্যানেলের বিষয়

চলুন দেখে নেওয়া যাক ইউটিউবে চ্যানেল খোলার জন্য কিছু ট্রেন্ডি এবং কার্যকর আইডিয়া যা দারা অনেকেই এখন ইউটিউব থেকে টাকা আয় করছে।

  • মোবাইল ফোন এবং স্মার্টফোনের সামগ্রীর রিভিউ
  • বিভিন্ন রকম খাবার তৈরি করার ভিডিও
  • নতুন কোন টেকনোলজি নিয়ে ভিডিও
  • গেমিং চ্যানেল
  • টিউটোরিয়াল ভিডিও
  • মোবাইলের অ্যাপ, টিপস এন্ড ট্রিকস
  • টিভি, কম্পিউটার এবং ল্যাপটপ রিভিউ
  • অনলাইনে আয় করার টিপস
  • ব্লগিং টিপস

২। আপনার ইউটিউব চ্যানেলের একটি নাম বাছাই করুন

ইউটিউব চ্যানেল খোলার পূর্বে আপনাকে একটি নাম নির্বাচন করতে হবে। এই নামটি আপনি যে বিষয় বা নিশ নির্বাচন করেছেন তার সাথে মিল রেখে করাটা ভালো। তবে অবশ্যই আপনার ইউটিউব চ্যানেলের নামটি ইউনিক, সহজ এবং দর্শকদের চোখে পড়ার মত হতে হবে। এতে করে, ব্যবহারকারীরা চ্যানেলের উপর পরিচিত হয়ে উঠবে।

সর্বশেষে, চ্যানেলের নামটি যেন তার উদ্দেশ্য বিষয় বা ধরণের সাথে সামঞ্জস্য থাকে। এটি অবশ্যই আপনার চ্যানেলের সাফল্যের জন্য অন্যান্য গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।

৩। আপনার চ্যানেলের টার্গেটেড দর্শক এবং ভাষা নির্বাচন করুন

বাংলা ভাষার দর্শকদের বিবেচনা করে ইউটিউবে একটি চ্যানেল খোলাটা আপনার জন্য লাভজনক হবে। কেননা বাংলাদেশ সহ ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বাংলা ভাষাভাষী যারা আছেন তাদেরকেও আপনি দর্শক হিসেবে পাবেন।

ইউটিউবে বাংলা চ্যানেল পরিচালনা করার জন্য সহজবোধ্য ভিডিও, দর্শকদের চোখে পড়ার মত শিরোনাম, মজার কন্টেন্ট এবং সঠিক তথ্যের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে। এভাবে বাংলা ভাষার চ্যানেল খোলার মাধ্যমে আপনি আপনার ভিডিওতে অনেক দর্শক পেতে পারেন।

৪। ইউটিউব চ্যানেল খুলুন

ইউটিউব চ্যানেল খোলার প্রথম অংশ হলো অ্যাকাউন্ট সেট আপ। আপনি যদি জিমেইল চালান, তবে ঐ জিমেইল একাউন্ট দিয়ে আপনি ইউটিউবে লগ ইন করতে পারবেন এবং ভিডিও আপলোড করতে পারবেন।

কিন্তু আপনি যদি নতুন করে একটি ইউটিউব চ্যানেল খুলতে চান তবে নিচের ধাপগুলি দেখুনঃ

  • একটি জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলুন (যদি না থাকে)

আপনি জিমেইল এর ওয়েবসাইটে গিয়ে একটি জিমেইল একাউন্ট তৈরি করে নিন। 

জিমেইল অ্যাকাউন্ট খুলুন
  • ইউটিউবে জিমেইল দিয়ে সাইন ইন করুন

জিমেইল অ্যাকাউন্ট খোলার পরে, আপনি ইউটিবের হোম পেইজ এ যান। এখানে আপনি উপরে ডান পাশে সাইন ইন লেখা দেখবেন।

ইউটিউবে জিমেইল দিয়ে সাইন ইন

সাইন ইন এ ক্লিক করার পরে আপনার জিমেইল দিয়ে লগ ইন করার জন্য একটি পেইজ আসবে। এখানে আপনার ইমেইল এবং পাসওয়ার্ড দিয়ে সাইন ইন করুন

সাইন ইন পেইজ
  • ইউটিউব ড্যাশবোর্ড সেট আপ

ইউটিউবের হোম পেইজের উপরে ডান পাশের আইকনে ক্লিক করুন। এরপর একটি মেনু দেখতে পাবেন। ক্রিয়েট এ চ্যানেল অপশনে ক্লিক করুন।

ইউটিউব ড্যাশবোর্ড সেট আপ

এবার আপনি নতুন একটা পেইজ পাবেন। এখানে ক্রিয়েট চ্যানেল এ ক্লিক করুন।

ক্রিয়েট চ্যানেল

কাস্টমাইজ চ্যানেল এ ক্লিক করুন। 

কাস্টমাইজ চ্যানেল

এরপর ইউটিউব স্টুডিও এর মেইন ড্যাশবোর্ড পেইজ দেখতে পাবেন। এবার এখানে আপনি আপনার চ্যানলের নাম, লোগো, ব্যানারের ছবি, ভিডিও ওয়াটারমার্ক এবং আরও অনেক বেসিক তথ্য দিবেন। সব তথ্য দেওয়া শেষ হলে পাবলিশ অপশনে ক্লিক করুন। এখন আপনার একটি ইউটিউব চ্যানেল তৈরি হয়ে গেল।

ইউটিউব স্টুডিও
মেইন ড্যাশবোর্ড পেইজ

সময় নিয়ে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সেট আপ করুন। আপনার মোবাইল নাম্বার অথবা ইমেইল এর ভেরিফিকেশন করে নিন।

৫। কন্টেন্ট প্লান তৈরি করে নিয়মিত ভিডিও আপলোড করুন

আপনাকে  নিয়মিত ভিডিও আপলোড করতে হবে এবং যে ভিডিওগুলো আপলোড করবেন তার টপিক নিয়ে আপনাকে একটি প্লান তৈরি করতে হবে।

আপনার কন্টেন্ট প্লান আপনি কি কি বিষয় কভার করবেন সেই ব্যাপারে আগে থেকেই একটি ধারনা দিবে। তবে হ্যাঁ, নিজে ভিডিও বানিয়ে আপনার চ্যানেলে আপলোড করুন। কখোনও অন্যের ভিডিও আপনার চ্যানেলে আপলোড করবেন না। অন্যথায় কপিরাইট ইস্যু হবে।

যেহেতু আপনার প্লান আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আয় করা, তাই আপনাকে সবসময় এটা মনে রাখতে হবে কি কি বিষয় গুলি ট্রেন্ডি এবং আপনার নির্বাচিত নিশ এর সাথে সামঞ্জস্যপূর্ণ।

৬। ভিডিও এর টাইটেল, এবং বিবরণ অপ্টিমাইজ করুন (এসইও)

যখন একটি ভিডিও আপলোড করবেন, তখন এসইও অপ্টিমাইজ করে টাইটেল, ট্যাগ এবং ভিডিও এর বিষয়বস্তু লিখুন।

৭। সামাজিক মাধ্যমে আপনার চ্যানেল প্রচার করুন

একটি কমিউনিটি তৈরি করে আপনার চ্যানেলের বিস্তার করুন। সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে দর্শকদের সাথে সামগ্রিক যোগাযোগ বাড়ানো যেমন ফেসবুক, ইন্সটাগ্রাম, এবং টুইটারে পোস্ট এবং প্রচার করা। আপনার দর্শকবৃন্দকে আপনার ইউটিউব চ্যানেলের সাথে এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমগুলিতে অংশগ্রহণের জন্য উৎসাহিত করুন।

৮। এনালিটিক্স এর মাধ্যমে আপনার চ্যানেলের পারফরমেন্স মনিটর করুন

ইউটিউব চ্যানেল খুলার পর একটি গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ হলো আপনার এনালিটিক্স পর্যবেক্ষণ করা ও সেই অনুযায়ী আপনার কন্টেন্ট স্ট্র্যাটেজি পরিবর্তন করা। এনালিটিক্স আপনাকে চ্যানেলের পার্ফরমেন্স, ভালো কাজগুলি, এবং উন্নয়নের স্থান চিহ্নিত করতে সাহায্য করে।

ইউটিউবের বিল্ট-ইন এনালিটিক্স টুলটির মাধ্যমে ভিডিও ভিউজ, সাবস্ক্রাইবারস, রিটার্নিং ইউজার এবং অন্যান্য জিনিস গুলি দেখতে পাবেন। এই তথ্য সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে, ইউটিউবের গাইডলাইন অনুসরণ করুন।

৯। ইউটিউবে আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করুন

আপনার চ্যানেল মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে হলে আপনাকে কিছু জিনিসের উপর ধ্যান রাখতে হবে।

  • আপনার ইউটিউব চ্যানেলে ১০০০ সাবস্ক্রাইবার থাকতে হবে।
  • আপনার সব ভিডিওতে টোটাল ৪০০০ ঘন্টা ভিউ থাকতে হবে।

যদি আপনার এই দুটো বিষয় ঠিক থাকে তবেই আপনি মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করতে পারবেন।

চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে আপনার ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন করবেনঃ

  • আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে ইউটিউব স্টুডিওতে যান। এখানে বাম পাশের মেনু তে আর্ন এ ক্লিক করুন।
ইউটিউব চ্যানেল মনিটাইজেশন

এখানে ৩ টি ধাপ দেখতে পাবেন। 

মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন
  • এখানে আপনাকে গুগল এডসেন্সের জন্য একাউন্ট বানাতে হবে।  নিজের এডসেন্স একাউন্ট বানিয়ে নিজের চ্যানেলকে তাতে কানেক্ট করুন। মনে রাখবেন আপনার ভিডিও তে এই এডসেন্স একাউন্টের থেকে বিজ্ঞাপন দেখানো হবে এবং আপনার উপার্জিত টাকা এডসেন্স এই জমা হবে। ১০০ ডলার হবার পর এটি আপনি নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্ট এ তুলে নিতে পারবেন।
  • মনিটাইজেশনের জন্য আবেদন করার পরে আপনাকে কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে। এই সময়ে ইউটিউব অফিশিয়াল টিম আপনার চ্যানেলকে রিভিউ করবে। যদি সব ঠিক থাকে তবে আপনার চ্যানেলকে মনিটাইজেশনের জন্য অনুমোদন দিবে। এরপর থেকে আপনার ইউটিউব চ্যানেল থেকে টাকা আসতে থাকবে।

১০। ইউটিউব থেকে আয় করা টাকা উত্তোলন করুন

এডসেন্স থেকে টাকা পাওয়ার জন্য আপনাকে প্রথমে গুগল এডসেন্স এর পেমেন্ট অপশনে গিয়ে নিজের ব্যাঙ্ক একাউন্ট এর তথ্য ভালো করে দিতে হবে।

এডসেন্সের বিজ্ঞাপনের দ্বারা আপনি যত টাকা আয় করবেন তা আপনার বানানো গুগল এডসেন্স একাউন্টে জমা হবে। যখন আপনার এডসেন্সে ১০০ ডলার জমা হবে, এটা এডসেন্স থেকে আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে ট্রান্সফার হয়ে যাবে। এরপর ২ থেকে ৩ দিনের ভিতরে আপনার টাকা আপনার ব্যাঙ্ক একাউন্টে এসে যাবে।

কি কি উপায়ে ইউটিউব থেকে টাকা আয় করা যায়?

ইউটিউব থেকে টাকা আয় করার কিছু জনপ্রিয় উপায় গুলো হলো-

গুগল এডসেন্স

গুগল এডসেন্স এর বিজ্ঞাপন নিজের ভিডিও গুলোতে দেখিয়ে খুব সহজেই টাকা আয় করতে পারবেন । এটা সব থেকে সহজ, জনপ্রিয় এবং লাভজনক উপায়।

পেইড প্রোমোশন

বিভিন্ন কোম্পানির প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস গুলোকে নিজের চ্যানেলের মাধ্যমে পেইড প্রোমোশন করে টাকা আয় করতে পারবেন।

অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং

বর্তমানে সবথেকে জনপ্রিয় হোলো অ্যাফিলিয়েট মার্কেটিং। এর মাধ্যমে অনেক ইউটিবার টাকা আয় করছে। এই ক্ষেত্রে অন্য কোম্পানির প্রোডাক্ট নিজের চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার করতে হবে। যদি আপনার প্রচার করা প্রডাক্ট কেও কিনে তবে সেই বিক্রির জন্যে কোম্পানির তরফ থেকে ভালো কমিশন পাবেন।

নিজের প্রোডাক্ট সেল

আপনি চাইলে নিজের প্রোডাক্ট এবং সার্ভিস গুলোকে আপনার চ্যানেলের মাধ্যমে প্রচার ও বিক্রি করে টাকা উপার্জন করতে পারেন।

ইউটিউব থেকে কত টাকা আয় করা যায়?

যদি আপনার ভিডিওতে ১০০০ ভিউ হয় তাহলে তাতে দেখানো বিজ্ঞাপনের দ্বারা আপনি ১ থেকে ২ ডলার পেয়ে যাবেন। মানে প্রতি ১০০০ ভিউতে আপনি প্রতিদিন ১৫০ টাকা থেকে ২০০ টাকা আয় করতে পারবেন।

তাহলে আপনার ইউটিউব থেকে মাসিক আয় আপনার ভিডিও সংখ্যা এবং কত লোক আপনার ভিডিও দেখলো তার উপর নির্ভর করবে। এইকারনে আপনাকে প্রতিনিয়ত ভিডিও আপলোড করতে হবে।

যদি আপনি একটি ইউটিউব চ্যানেল চালু করতে চান তাহলে এখনি শুরু করুন! আপনার চ্যানেল থেকে ভালো ফলাফল পেতে আপনার নিজেকে অনেক সময় দিতে হবে। আশা করছি ইউটিউব থেকে কিভাবে আয় করা যায় এই ব্লগটি পরে আপনি নিজেই এখন ইউটিউব চ্যানেল খুলে সেখান থেকে টাকা আয় করতে পারবনে। তাই আপনার মন্তব্য শেষ করবেন আমাদের একটি কমেন্টে। ধন্যবাদ!

Spread the love
Previous ArticleNext Article

মন্তব্য করুন

দারাজ সেলার সেন্টার এর মাধ্যমে কীভাবে অনলাইনে টাকা আয় করবেন? 0 3298

আপনি কি অনলাইনে টাকা আয় করার উপায় খুজছেন? দারাজ বাংলাদেশ নিয়ে এলো দারাজ সেলার সেন্টার যেখান থেকে আপনি খুব সহজেই আপনার পণ্য বিক্রয় করতে পারবেন বাংলাদেশের যেকোনো স্থানে এবং ঘরে বসেই আয় করতে পারবেন। 

কিন্তু কিভাবে? চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে অনলাইনে দারাজ সেলার সেন্টার থেকে টাকা উপার্জন করতে পারবেন।

দারাজ বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস হিসেবে বিক্রেতাদের বিশেষ সুযোগ সুবিধা প্রদান করে থাকে। সফল ভাবে ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য অনলাইন প্ল্যাটফর্মে ব্যবসায় প্রক্রিয়া বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।

এখানে আমরা, কীভাবে দারাজ সেলার সেন্টার পরিচালনা করতে হয়, প্ল্যাটফর্মের সঠিক ব্যবহার এবং ব্যবসা বৃদ্ধির জন্য বিক্রয় কৌশল সম্পর্কে একটি বিস্তৃত নির্দেশিকা প্রদান করব।

দারাজে সেল করুন এবং টাকা আয় করুন

কেন আপনি দারাজ বাংলাদেশে বিক্রেতা হওয়ার কথা বিবেচনা করবেন?

উত্তরটি একদম সহজ: এটি আপনাকে বাংলাদেশের সবথেকে বড় ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম এর মাধ্যমে সারা দেশে লক্ষ লক্ষ গ্রাহকদের কাছে আপনার পণ্য পৌঁছে দেওয়ার সুযোগ করে দিবে। 

এছাড়াও আপনি এই অনলাইন মার্কেটপ্লেসের মাধ্যমে সঠিক কৌশল এবং সুযোগ সুবিধা ব্যবহার করে একটি শক্তিশালী অনলাইন ব্যবসায়িক অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে পারবেন।

দারাজ সেলার সেন্টারের মাধ্যমে কিভাবে অর্থ উপার্জন করবেন?

একজন দারাজ বিক্রেতা হিসেবে, আপনি অনেক সুযোগ সুবিধা উপভোগ করতে পারবেন, যার মধ্যে রয়েছে-

  • বৃহৎ গ্রাহক গোষ্ঠী অথবা সম্প্রদায়, 
  • আপনার ব্যবসায়ের জন্য একটি বিশ্বস্ত প্ল্যাটফর্ম এবং 
  • উল্লেখযোগ্যভাবে আপনার আয় বৃদ্ধির সুযোগ।

চলুন দেখে নেওয়া যাক কিভাবে দারাজে একজন বিক্রেতা হয়ে আপনি আয় করতে পারবেন-

১. একটি দারাজ সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করুন

প্রথমে আপনাকে দারাজ সেলার অ্যাকাউন্ট খুলতে হবে। আসুন দেখি কিভাবে দারাজ সেলার অ্যাকাউন্ট সাইন আপ করবেন এবং আপনার প্রোফাইল সেট আপ করবেন। 

ডাউনলোড করুন দারাজ সেলার অ্যাপ

দারাজ বিক্রেতা সাইন-ইন প্রক্রিয়া

  • দারাজ সেলার সেন্টারে প্রবেশ করুন
  • “সাইন আপ” এ ক্লিক করুন

রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া

  • ব্যবসার বিবরণ প্রদান করুন
  • যোগাযোগের তথ্য দিন
  • ইমেইল এবং মোবাইল নাম্বার যাচাই করুন

দারাজ বিক্রেতার প্রোফাইল সেট আপ

  • বিক্রেতা প্রোফাইল সম্পন্য করুন
  • ভালো-মানের ছবি দিন
  • পণ্যের বিবরণ দিন
  • প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন

দেখে নিনঃ কিভাবে হতে পারবেন দারাজ সেলার? এখানে, আপনি দারাজ সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা থেকে শুরু করে দারাজে-এ পণ্য তালিকাভুক্ত করার সম্পূর্ণ নির্দেশিকা পাবেন।

২. আপনার দারাজ স্টোরকে সঠিক ভাবে সাজান

দারাজ সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করা শেষ হলে, এখন আপনার স্টোরকে ভালোভাবে সাজাতে হবে। আপনার দারাজ স্টোর থেকে সবচেয়ে বেশি সুবিধা পেতে, এখানে কিছু কৌশল দেয়া হল:

পণ্য তালিকা তৈরি

একটি সহজ ও স্বচ্ছ পণ্য তালিকা সম্ভাব্য গ্রাহকদের মনোযোগ অর্জন, বিক্রয় চালনা, এবং গ্রাহক সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এখানে কিছু মূল উপাদান রয়েছে যা একটি কার্যকর পণ্য তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করা উচিত:

পণ্যের নাম

শিরোনামটি সংক্ষিপ্ত হওয়া উচিত, তবে পণ্যটি কী তা সম্পর্কে ধারণা দেওয়ার জন্য যথেষ্ট বর্ণনামূলক হতে হবে। গ্রাহকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করার জন্য এতে মূল বৈশিষ্ট্য, স্পেসিফিকেশন বা অন্যান্য বিক্রয় পয়েন্ট অন্তর্ভুক্ত করবেন।

পণ্যের ছবি

বিভিন্ন কোণ থেকে উচ্চ-রেজোলিউশনের ছবি তুলে দিতে হবে। এর ফলে গ্রাহকদের পণ্যটিকে আরও ভালভাবে বুঝতে সহায়তা করবে। ছবিগুলি পণ্যের বৈশিষ্ট্যগুলিকে প্রদর্শন করবে এবং স্বচ্ছতা নিশ্চিত করে সঠিকভাবে উপস্থাপন করতে হবে।

পণ্যের বিবরণ

পণ্যের বিবরণে পণ্যটির মাত্রা, ব্যবহৃত উপকরণ, রঙের ধরন, সামঞ্জস্যতা বা অন্য কোনো প্রাসঙ্গিক বিবরণ সহ পণ্য সম্পর্কে সমস্ত প্রয়োজনীয় তথ্য দিতে হবে। এটি পণ্যের সুবিধাগুলিকে হাইলাইট করবে এবং সম্ভাব্য গ্রাহকের অনুসন্ধানের সমাধান করবে।

পণ্যের বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধা

পণ্যের প্রধান বৈশিষ্ট্য এবং সুবিধাগুলি হাইলাইট করার ফলে গ্রাহকরা পণ্যটি সম্পর্কে একটি সঠিক ধারনা পাবে । বুলেট পয়েন্ট বা উপশিরোনাম ব্যবহার করলে তথ্য সহজে বোঝা যায়।

গ্রাহক রেটিং

প্রকৃত গ্রাহকের রেটিং এবং অভিজ্ঞতা, আপনার পণ্যের প্রতি বিশ্বাস স্থাপন করতে সহায়তা করবে। ইতিবাচক কমেন্ট সম্ভাব্য গ্রাহকদের ক্রয় করতে উত্সাহিত করে থাকে।

মূল্য নির্ধারণ এবং প্রচার

স্পষ্টভাবে পণ্যের মূল্য এবং কোন ডিসকাউন্ট, বা অফার উল্লেখ করুন। শিপিং বা অতিরিক্ত খরচ সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করুন।

মনে রাখবেন, একটি তথ্যপূর্ণ পণ্য তালিকা, পণ্যের মূল্য এবং স্বতন্ত্রতা প্রকাশ করবে, সম্ভাব্য গ্রাহকদের সাথে আস্থা তৈরি করবে এবং পণ্যটি ক্রয়ের সিদ্ধান্ত সহজ করবে।

সঠিক এবং স্বচ্ছ তথ্য

নিশ্চিত করুন যে প্রদত্ত সমস্ত তথ্য সঠিক এবং স্বচ্ছ। অস্পষ্ট বা বিভ্রান্তিকর বর্ণনা এড়িয়ে চলুন যা গ্রাহকদের অনুৎসাহিত করতে পারে।

এসইও অপ্টিমাইজেশান

দৃশ্যমানতা উন্নত করতে এবং গ্রাহকদের আকৃষ্ট করতে, শিরোনাম, বিবরণ এবং মেটা ট্যাগে প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড দিয়ে পণ্য তালিকাকে অপ্টিমাইজ করুন। এটি সার্চ ইঞ্জিন ফলাফলে আপনার তালিকার অথবা পণ্য র‍্যাঙ্ককে উচ্চতর করতে সহায়তা করবে।

পণ্যের মূল্য নির্ধারণ

কম্পিটিটিভ প্রাইসিং হল এমন একটি কৌশল যা ব্যবসার দ্বারা তাদের দাম এমন একটি স্তরে সেট করার জন্য ব্যবহৃত হয় যা বাজারে তাদের প্রতিযোগীদের তুলনায় বা তার চেয়ে কম। 

প্রতিযোগীতামূলক মূল্যের লক্ষ্য হল গ্রাহকদের আকৃষ্ট করা এবং একই ক্যাটাগরিতে পরিচালিত অন্যান্য ব্যবসার তুলনায় প্রতিযোগিতামূলক সুবিধা লাভ করা।

প্রতিযোগীতামূলক মূল্য সফলভাবে বাস্তবায়ন করতে, ব্যবসার বিভিন্ন কারণ বিবেচনা করা উচিত, যেমন তাদের খরচ কাঠামো, বাজার, এবং মূল্য প্রস্তাব। তাদের খরচ এবং লাভের মার্জিন বোঝার মাধ্যমে, ব্যবসাগুলি এমন মূল্য নির্ধারণ করতে পারে যা প্রতিযোগিতামূলক থাকাকালীন লাভজনকতা নিশ্চিত করে।

দারাজে সেল করুন এবং টাকা আয় করুন

৩. অর্ডার পাওয়া শুরু করুন এবং আপনার ব্যবসা বাড়ান

এটি চূড়ান্ত পদক্ষেপ যখন আপনি অর্ডার পেতে পারেন। দারাজ অ্যানালিটিক্স টুলের মাধ্যমে আপনার ব্যবসার পারফরম্যান্স ট্র্যাক করতে পারবেন যেখানে আপনি আপনার স্টোরের ওভারভিউ দেখতে পাবেন। একটি সময়ে আপনাকে আপনার ব্যবসা বাড়াতে আপনার পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে হবে।

দারাজ অ্যানালিটিক্স টুল

দারাজের অ্যানালিটিক্স টুল আপনার প্রোডাক্টের পারফরম্যান্স সম্পর্কে তথ্য প্রদান করবে। এই টুলগুলি ব্যবহার করে, আপনি আপনার পণ্যগুলি বিক্রয়, গ্রাহকের সম্পৃক্ততা এবং সামগ্রিক বাজারের চাহিদার পরিপ্রেক্ষিতে কীভাবে পারফরম্যান্স করছে সে সম্পর্কে ভালোভাবে ধারনা পাবেন।

দারাজের অ্যানালিটিক্স টুলের অন্যতম প্রধান বৈশিষ্ট্য হল বিক্রয় ডেটা ট্র্যাক করার ক্ষমতা। আপনি কোন পণ্যগুলি সবচেয়ে বেশি বিক্রি হচ্ছে তা বিশ্লেষণ করতে পারেন এবং গ্রাহকের ক্রয় আচরণের যে কোনও নিদর্শন বা প্রবণতা সনাক্ত করতে পারবেন৷ এই তথ্য আপনাকে ইনভেন্টরি ম্যানেজমেন্ট, মূল্য নির্ধারণের কৌশল এবং পণ্যের প্রচার সম্পর্কে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করবে।

ব্যবসা বৃদ্ধির সুযোগ এবং সমর্থন

দারাজ বিক্রেতাদের ব্যবসা বৃদ্ধির সুযোগ সুবিধা প্রদান করে-

  • সকল ধরনের প্রয়জনীয় প্রশিক্ষণের সুবিধা দারাজ ওয়েবসাইট
  • দারাজের সকল ক্যাম্পাইনে এবং ইভেন্টে অংশ নেওয়ার সুযোগ।
  • আপনার ব্যবসা বৃদ্ধিতে দারাজ থেকে সকল ধরনের সহায়তা পাওয়ার সুযোগ।

দারাজ বিক্রেতাদের সাফলতার গল্প

এখানে আমাদের কিছু সফল দারাজ বিক্রেতার গল্প রয়েছে। হয়তো আপনি নিজেই হবেন পরবর্তী সফল দারাজ সেলার, তাই আর অপেক্ষা কেন? দারাজ বিক্রেতা হিসাবে নিবন্ধিত হন এবং এখনই দারাজ সেলার সেন্টার এর সাথে অনলাইনে অর্থ উপার্জন শুরু করুন।

শ্রেয়ান বাংলাদেশ

স্পোর্টস হাউস

বেস্ট লেদার শপ

ফুড আর্টিস্ট

জেনে নিন দারাজ সেলার সেন্টার বিষয়ে কিছু তথ্য

দারাজ সেলার সেন্টার কি?

দারাজ সেলার সেন্টার একটি অনলাইন প্ল্যাটফর্ম যেখানে কোনও ব্যক্তি এবং ব্যবসায়ী তাদের পণ্যগুলি দারাজে বিক্রি করতে দেয়, এটি বাংলাদেশের অন্যতম বৃহত্তম ই-কমার্স প্ল্যাটফর্ম।

আমি কিভাবে দারাজ সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করব?

একটি দারাজ সেলার অ্যাকাউন্ট তৈরি করতে, দারাজ সেলার কেন্দ্রের ওয়েবসাইটে যান এবং “সাইন আপ” এ ক্লিক করুন। আপনার ব্যবসার বিবরণ এবং যোগাযোগের তথ্য প্রদান করে নিবন্ধন প্রক্রিয়া অনুসরণ করুন। নিবন্ধন সম্পূর্ণ করতে আপনাকে আপনার ইমেল এবং ফোন নম্বর যাচাই করতে হবে।

একজন বিক্রেতা হিসাবে আমি দারাজে কী বিক্রি করতে পারি?

আপনি ইলেকট্রনিক্স, ফ্যাশন আইটেম, হোম অ্যাপ্লায়েন্স, বিউটি পণ্য এবং আরও অনেক কিছু সহ দারাজে সকল ধরনের পণ্য বিক্রি করতে পারবেন। নিষিদ্ধ আইটেমগুলির জন্য দারাজ-এর নীতি এবং নির্দেশিকাগুলি দেখে নিন৷

দারাজে আমি কীভাবে আমার পণ্য তালিকাভুক্ত করব?

দারাজে আপনার পণ্যের তালিকা করতে, আপনার সেলার অ্যাকাউন্টে লগ ইন করুন এবং পণ্য তালিকা তৈরি করতে সেলার সেন্টার ব্যবহার করুন। নিশ্চিত করুন যে আপনার পণ্যের নাম এবং বিবরণ রয়েছে এবং আপনার ক্রেতারা যাতে আপনার পণ্য খুব সহজেই খুজে পায় এর জন্যে সঠিক কীওয়ার্ডগুলি অন্তর্ভুক্ত করুন।

ভাল বিক্রয়ের জন্য আমি কীভাবে আমার সেলার প্রোফাইল অপ্টিমাইজ করতে পারি?

ভালো মানের পণ্যের ছবি, বিবরণ এবং প্রতিযোগিতামূলক মূল্য যোগ করে আপনার বিক্রেতার প্রোফাইল অপ্টিমাইজ করুন। আপনার পণ্য আরও সহজে খুজে পেতে আপনার পণ্য তালিকায় প্রাসঙ্গিক কীওয়ার্ড ব্যবহার করুন।

দারাজ বিক্রেতাদের জন্য কি কোনো হেল্পলাইন বা সহায়তা কেন্দ্র আছে?

হ্যাঁ, দারাজ বিক্রেতাদের জন্য আলাদাভাবে দারাজ গ্রাহক সহায়তা প্রদান করে। আপনার যেকোনো সমস্যা বা প্রশ্ন থাকলে সহায়তার জন্য আপনি দারাজের হেল্পলাইনে যোগাযোগ করতে পারবেন। যেকোনো ধরনের সহায়তার জন্য দারাজ সেলার হটলাইন (+৮৮) ০৯৬ ১০০ ০০ ১২৩ এ কল করুন, শনি থেকে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টা থেকে সন্ধ্যা ৭ টা পর্যন্ত।

আমি কি একজন বিক্রেতা হিসাবে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলকে টার্গেট করতে পারি?

হ্যাঁ, আপনি দারাজ সেলার সেন্টার ব্যবহার করে বাংলাদেশের নির্দিষ্ট অঞ্চলকে টার্গেট করতে পারেবেন। এটি আপনাকে দারাজ সেলার সেন্টার ঢাকা, খুলনা, রাজশাহী, সিলেট এবং উত্তরার মতো বিভিন্ন এলাকায় আপনার পণ্যের মার্কেটিং এবং পণ্যের স্টক কাস্টমাইজ করতে সহায়তা করবে।

দারাজ সেলার অ্যাপ আছে কি?

হ্যাঁ, আপনার বিক্রেতার অ্যাকাউন্ট পরিচালনা করতে আপনি দারাজ সেলার অ্যাপ ডাউনলোড করতে পারেন। অ্যাপটি বিক্রেতাদের তাদের তালিকা পর্যবেক্ষণ ও আপডেট করার সুবিধা প্রদান করে।

ডাউনলোড করুন দারাজ সেলার অ্যাপ

দারাজে বিক্রয়ের সাথে সম্পর্কিত কোন ফি আছে?

দারাজ তাদের প্ল্যাটফর্মে বিক্রয় সংক্রান্ত কমিশন ফি এবং অন্যান্য ফি নিয়ে থাকে। প্ল্যাটফর্মে বিক্রয়ের সাথে সম্পর্কিত খরচগুলি বোঝার জন্য দারাজের ফি কাঠামো এবং নীতিগুলি পর্যালোচনা করুন।

একজন দারাজ বিক্রেতা হিসেবে আমি কীভাবে আমার বিক্রয় বাড়াতে পারি?

দারাজে আপনার বিক্রয় সর্বাধিক করতে, ভালো গ্রাহক পরিষেবা প্রদানের উপর ফোকাস করুন, নিয়মিতভাবে আপনার পণ্য তালিকা আপডেট করুন, প্রতিযোগিতামূলক মূল্য অফার করুন এবং আপনার পণ্যগুলিকে সঠিকভাবে প্রচার করতে দারাজ -এর মার্কেটিং সরঞ্জাম এবং সংস্থানগুলি ব্যবহার করুন।

পরিশেষে

বাংলাদেশে দারাজ সেলার সেন্টারের মাধ্যমে একজন দারাজ বিক্রেতা হওয়া হল অনলাইনে অর্থ উপার্জন এবং একটি বিশাল গ্রাহক বেস পর্যন্ত পৌঁছানোর একটি চমৎকার উপায়। আপনার অনলাইন ব্যবসায়িক অবস্থান প্রতিষ্ঠা করতে এবং দারাজ বিক্রেতা হিসাবে আপনার সাফল্যকে সর্বাধিক করতে ধাপে ধাপে নির্দেশিকা অনুসরণ করুন।

দারাজে যেসকল বিক্রেতা রয়েছে তাদের একটি বৃহৎ গ্রাহক বেস পর্যন্ত পৌঁছানোর, তাদের ব্যবসা বৃদ্ধি করানো এবং লজিস্টিক সুবিধা লাভের যথেষ্ট সুযোগ প্রদান করে। এই নির্দেশিকায় দেওয়া টিপস এবং কৌশলগুলি ব্যবহার করে, আপনি আপনার সাফল্যের সম্ভাবনা বৃদ্ধি এবং প্ল্যাটফর্মে উন্নতি করতে পারবেন।

তাহলে আর অপেক্ষা কেন? দারাজে আজই সাইন আপ করুন এবং আপনার অনলাইন ব্যবসাকে নতুন সম্ভাবনায় নিয়ে যান!

দারাজে সেল করুন এবং টাকা আয় করুন
Spread the love

দারাজ ১২.১২ সেল ২০২৩; কেনাকাটা করুন সেরা পণ্য সেরা দামে! 0 3930

Last updated on ডিসেম্বর 26th, 2023 at 09:42 পূর্বাহ্ন

বছর শেষ হয়ে এলেও কেনাকাটার বাকী অনেক? দুশ্চিন্তার কিছু নেই!

শপিং-এর এই ঘাটতি পুষিয়ে দিতে দারাজ বাংলাদেশ নিয়ে আসছে ১২.১২ সেল। ডিসেম্বরের ১২ তারিখে এক বিশাল আকর্ষণীয় ক্যাম্পেইন নিয়ে। আসন্ন এই দারাজ ১২.১২ সেল ক্যাম্পেইনে মিলবে এমন সব অফার যা শুধু কল্পনাতেই সম্ভব। তাই পরিবার থেকে শুরু করে নিজের জন্য কিংবা প্রিয়জনের জন্য কোনো গিফট আইটেম- সব কেনাকাটাই এবার চলবে মহা ধুমধামে, দারাজ ১২-১২ ক্যাম্পেইনের সাথে। ১২/১২ উপলক্ষে শুধু আপনার জন্য দারাজ বাংলাদেশ নিয়ে আসছে সকল ধরণের পণ্যের উপর অবিশ্বাস্য সব ছাড়, ডিসকাউন্ট ভাউচারসহ আরো নানা অফার।

দারাজ ১২.১২ ক্যাম্পেইন ২০২৩; লুফে নিন আকর্ষণীয় অফার (ডিসেম্বর ১২ থেকে ২১)

দারাজ ১২.১২ সেল ২০২৩ এর সকল অফার

দারাজ ১২.১২ সেল ফ্যাশন (২৫০+ ব্র্যান্ড), বিউটি (৫০০+ ব্র্যান্ড), ইলেকট্রনিক্স, হোম এবং রান্নাঘরের যন্ত্রপাতি, বাড়ি ঘরের জিনিসপত্র এবং শীতের প্রয়োজনীয় পণ্যের উপর আশ্চর্যজনক এবং অবিশ্বাস্য ডিসকাউন্ট অফার করে। দেশীয় এবং আন্তর্জাতিক উভয় ব্র্যান্ডে একচেটিয়া ডিসকাউন্ট অফার উপভোগ করতে এখনি দারাজ ১২.১২ শপিং গাইড দেখুন।

Buying guide in 12.12 sale

দারাজ ১২.১২ সেল ২০২৩ সালের সবচেয়ে বড় সেল নিয়ে এসেছে-

  • ৭০% পর্যন্ত
  • হট ডিলস ও মেগা ডিলস
  • ফ্রি ডেলিভারি
হট ডিলস অফার ১২.১২ সেল ২০২৩ দারাজ

এছাড়াও, এক্সক্লুসিভ ডিল, ভাউচার এবং ডিসকাউন্ট অফারগুলি নিন-

মেগা ডিলস অফার ১২.১২ সেল ২০২৩ দারাজ

ক্যাশব্যাক অফার ১২.১২ সেল ২০২৩ দারাজ

সেরা অনলাইন শপিং অভিজ্ঞতা উপভোগ করতে বছরের সবচেয়ে বড় মুহূর্তটি মিস করবেন না। এখনই দারাজ অ্যাপ ডাউনলোড করুন এবং সেরা মূল্যে সেরা ডিলগুলি নিন।

দারাজ ১২ ১২ সেল অফার মোবাইল, শীতের জিনিস, মেকআপ, বাচ্চাদের শীতের জিনিস, ল্যাপটপ

এখনি কিনুন শীতের ছেলে ও মেয়েদের পোশাক, ঘড়ি, ব্যাগ সেরা দামে ১২.১২ সেলে

দারাজ ১২.১২ সেল ২০২৩ ক্যাম্পেইনের সেরা ৫ টি ক্যাটাগরি

চলুন এক নজরে দেখে নেওয়া যাক দারাজ ১২.১২ সেল ক্যাম্পেইনের সেরা ৫ ক্যাটাগরি:

১) হেলথ ও বিউটি

বিউটি পণ্যের উপর আকর্ষণীয় ছাড়

১২/১২ উপলক্ষে দারাজ নিয়ে এলো বিউটি ক্যাটাগরির অসংখ্য পণ্যের উপর অভাবনীয় মূল্যছাড় ও ডিসকাউন্ট ভাউচার। আপনার স্বাস্থ্য ও সৌন্দর্যের যত্ন নেওয়ার জন্য এই ক্যাটাগরির পণ্যের মধ্যে রয়েছে বডি ময়েশ্চারাইজার, শাওয়ার জেল, হেয়ার কন্ডিশনার, হেয়ার কালারিং উপাদান, হেয়ার ড্রায়ার, হেয়ার রিমুভাল এক্সেসরিজ, বডি স্প্রে, পারফিউম, মেকআপ এক্সেসরিজ, মেকআপ রিমুভার, ফেসপ্যাক ও ফেসমাস্ক, টোনার, লিপ বাম, ফেসিয়াল ক্লিনজার, ফুড সাপ্লিমেন্ট, মাল্টিভিটামিন, ফার্স্ট এইড বক্স, ডিজিটাল থার্মোমিটার, ব্লাড প্রেশার মাপার যন্ত্র, হিয়ারিং এইডসহ আরো সব প্রয়োজনীয় পণ্য।

শীতে তকের যত্ন নেওয়ার পণ্য কিনুন দারাজে

১২/১২ উপলক্ষে এইসব পণ্য দারাজে মিলবে আরো সাশ্রয়ী মূল্যে ও আকর্ষণীয় ডিসকাউন্টে। তাই আজই প্রয়োজনীয় হেলথ ও বিউটি পণ্যের লিস্ট করে প্রস্তুত হন। আসছে দারাজ ১২/১২ সেল!

২) হোম ও লাইফস্টাইল

বাসা বাড়ির জন্য সকল জিনিস কিনুন দারাজে

আপনার ঘর সাজাতে কিংবা জীবনযাপনকে সহজ করতে ১২.১২ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে দারাজ নিয়ে আসছে ডিসকাউন্ট অফার ও ডিসকাউন্ট ভাউচারসহ সাশ্রয়ী মূল্যে অসংখ্য হোম ও লাইফস্টাইল পণ্য। গোসলের বিভিন্ন উপকরণ, কম্বল, কমফোর্টার, ম্যাট্রেসসহ বেডরুমের আকর্ষণীয় সব পণ্য, বিছানা, সোফা, ওয়ারড্রোব, ড্রেসিং টেবিলসহ চমৎকার ডিজাইনের আকর্ষণীয় সব আসবাবপত্র, কুশন, পর্দা, দেয়াল ঘড়িসহ ঘর সাজানোর নানা উপাদান, ওয়াটার হিটার, গিফটের কলমসহ বিভিন্ন স্টেশনারী পণ্য রয়েছে এই ক্যাটাগরির পণ্য হিসেবে।

এছাড়া থাকছে পাঠ্যবই, সাহিত্যের বইসহ বিভিন্ন ধরণের মিউজিকাল ইন্সট্রুমেন্ট যেমন- একোস্টিক গিটার, বেজ গিটার, ইলেকট্রিক গিটার, উকুলেলে প্রভৃতি। সাধের ঘরটিকে সাধ্য অনুযায়ী সাজাতে তাই ডিসেম্বর ১২-এর আগেই প্রস্তুত হয়ে যান।

৩) ফ্যাশন

শীতের ফ্যাশন কালেকশন ছেলে মেয়েদের পোশাক

ফ্যাশন পণ্যের ক্ষেত্রে দারাজ সবসময়ই এগিয়ে। ছেলে, মেয়ে কিংবা শিশু- সবার জন্যই রয়েছে দারাজের ফ্যাশন পণ্যের এক অনন্য কালেকশন। ফ্যাশন কালেকশনে মেয়েদের জুতা, জুয়েলারি, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, কুর্তি, টপস, প্যান্ট, স্কার্ট, হ্যান্ডব্যাগসহ ছেলেদের পাঞ্জাবী, ফতুয়া, টিশার্ট, শার্ট, জিন্স,প্যান্ট, জুতা, ওয়ালেট, বেল্ট, ব্যাগ প্রভৃতি স্টাইলিশ পণ্যের সাথে সাথে থাকছে বাচ্চাদের সব ধরণের ফ্যাশন সামগ্রী ও সবার জন্য শীতকালীন স্টাইলিশ পোষাক সোয়েটার, কার্ডিগান, জ্যাকেট, স্যুট প্রভৃতিসহ আরো সব ট্রেন্ডি ফ্যাশন পণ্য।

বাচ্চাদের শীতের পোশাক কিনুন দারাজে

আকর্ষণীয় ছাড় ও ডিসকাউন্ট ভাউচারের মাধ্যমে শপিং এ সাশ্রয় করতে চাইলে আজই ভিজিট করুন দারাজের ফ্যাশন কালেকশনে।

৪) টিভি ও হোম অ্যাপ্লায়েন্স

টিভি ফ্রিজ ওয়াশিং ম্যাশিন হিটার কিনুন দারাজে

বর্তমান গ্রাহকদের চাহিদার একটি বড় অংশ জুড়ে রয়েছে টিভি ও হোম এপ্লায়েন্স পণ্য। তাদের কথা মাথায় রেখে ১২/১২ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে অন্য সকল পণ্যের মতোই দারাজের এই ক্যাটাগরির পণ্যে থাকছে বিশাল সব ডিসকাউন্ট অফার ও আকর্ষণীয় ভাউচার।

এই ক্যাটাগরির পণ্যের মধ্যে স্মার্ট টেলিভিশন, এলইডি টেলিভিশন, ডিভিডি প্লেয়ার, প্রজেক্টর, রেফ্রিজেরেটর, ওয়াশিং মেশিন, ওভেন, রাইস কুকার, কফি মেশিন এয়ার কন্ডিশনারসহ আরো থাকছে ঘরের অতি প্রয়োজনীয় সব টেকসই ও নির্ভরযোগ্য পণ্য। বিশাল ছাড় ও অভাবনীয় ডিসকাউন্ট ভাউচারের মাধ্যমে এইসব পণ্য কিনতে চাইলে এবার আর কোথাও যেতে হবে না। মোবাইল-ল্যাপটপে চার্জ দিয়ে প্রস্তুত হন দারাজ ১২.১২ সেল এর জন্য।

৫) ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য

দারাজে কিনুন ইলেক্ট্রনিকস পণ্য সেরা দামে

এই প্রযুক্তির যুগে সবক্ষেত্রেই প্রযুক্তি পণ্য ও প্রযুক্তিপ্রেমীরা এগিয়ে থাকবে- এতে আর বিচিত্র কি। দারাজ বাংলাদেশও পিছিয়ে নেই- গ্রাহকদের জন্য নিয়ে এসেছে অত্যাধুনিক সব প্রযুক্তি পণ্যের এক বিশাল ও অনন্য কালেকশন। দারাজের ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস কালেকশনের মধ্যে রয়েছে সব ধরণের মোবাইল ফোন (স্মার্টফোন ও ফিচার ফোন), ট্যাবলেট, ল্যাপটপ, নোটবুক, ম্যাকবুক, ডেস্কটপ, প্লেস্টেশন ও এক্সবক্সের মতো গেমিং স্টেশন, ডিএসএলআর ক্যামেরা ও ক্যামেরা লেন্স, ভিডিও ক্যামেরা, সিকিউরিটি ক্যামেরাসহ আরো সব অত্যাধুনিক ইলেক্ট্রনিক ডিভাইস ও এক্সেসরিজ।

দেশজুড়ে অনুমোদিত ডিস্ট্রিবিউটরদের কাছ থেকে সংগৃহিত বলে নির্ভরযোগ্য এই সকল পণ্যের উপর থাকছে নির্দিষ্ট ওয়ারেন্টি। সাথে ৭ দিনের ইজি রিটার্ন পলিসি তো থাকছেই। তাই বিশাল মূল্যছাড় ও আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ভাউচারের মাধ্যমে সবচেয়ে কম দামে সেরা ইলেক্ট্রনিকস পণ্যটি কিনতে ভিজিট করুন দারাজের ইলেক্ট্রনিক পণ্যের অনন্য কালেকশনে।

তো আর কিসের অপেক্ষা? চোখ রাখুন কেবল দারাজ ১২.১২ গাইড পেজে, আর শপিং করতে থাকুন ক্যাম্পেইন থেকে, যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করে থাকবে সেরা দামে সেরা পণ্যটি। তাই আজই বছর শেষের সেরা সেরা ডিলগুলো ডিল করার জন্য প্রস্তুতি নিতে শুরু করুন। ডিসেম্বরের ১২ তারিখ আসতে আর খুব বেশি বাকী নেই- আসছে দারাজের ১২/১২ সেল।

দারাজ ১২.১২ সেল ২০২৩ এর সকল অফার

Spread the love