সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও করোনা অতিমারির ঢেউ আছড়ে পড়েছে। সংক্রমণের হার যেন ধরাছোঁয়ার বাইরে, হু হু করে বেড়ে চলেছে করোনা আক্রান্ত রোগীর সংখ্যা। বিগত এক বছরে মানুষের জীবনযাত্রা সম্পূর্ণভাবে বদলে দিয়েছে করোনার বৈশ্বিক মহামারি। বাজারে যাওয়ার মতো সাধারণ কাজটি করতেও মানুষকে এখন ভাবতে হচ্ছে। সংক্রমণের ভয়ে মানুষ বেশিরভাগ সময় নিজেদের ঘরে অবস্থান করছে। তবে, করোনা হানা দেয়ার পর থেকে ঘরবন্দি মানুষের চলাফেরা বেড়েছে অনলাইনে। আগে যেখানে মানুষ কালেভদ্রে অনলাইনে বাজার করতো, এখন স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়াতে মানুষ দৈনন্দিন বাজারসদাই হতে শুরু করে সবরকম কেনাকাটার জন্য ভরসা করছে অনলাইন প্লাটফর্মগুলোর উপর। দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ করোনার ঢেউ মোকাবিলায় ইতোমধ্যে প্রস্তুত হয়েছে এবং মানুষ যাতে সহজে ও নিশ্চিন্তে প্রয়োজনীয় দ্রব্যসামগ্রী কিনতে পারে সেই লক্ষ্যে গ্রহণ করেছে বিভিন্ন পদক্ষেপ।
তবে এখানে প্রশ্ন উঠতে পারে যে, এ সময় অনলাইন কেনাকাটা কি সম্পূর্ণ নিরাপদ? স্বস্তির বিষয় হচ্ছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনলাইন কেনাকাটা একইসাথে সহজ এবং নিরাপদ। নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিস থেকে শুরু করে অর্ডারকৃত যেকোন পণ্য স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে গ্রাহকদের দোরগোড়ায় পৌঁছে দিচ্ছে দারাজ। দারাজে পণ্য অর্ডার করলে স্বল্প সময়ের মধ্যে মাস্ক এবং গ্লাভস পরিহিত দারাজ ডেলিভারি এজেন্ট হাজির হয়ে যাবে পণ্য হাতে। প্রতিষ্ঠানের নির্দেশ অনুযায়ী গ্রাহকের বাড়ির দরজায় জীবাণুমুক্ত করা হবে ডেলিভারি প্যাকেজটি। ফলে, প্যাকেট থেকে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা অনেকাংশেই দূর হবে। এছাড়া, প্যাকেট ছাড়াও টাকার মাধ্যমে ঘরে ঢুকে যেতে পারে প্রাণঘাতী ভাইরাসটি। গ্রাহকদের এমন দুশ্চিন্তা দূর করতে দারাজের রয়েছে স্পর্শহীন ডেলিভারি এবং মূল্য পরিশোধের ব্যবস্থা। অর্থাৎ, গ্রাহকরা চাইলে অনলাইনে মূল্য পরিশোধ করতে পারবে।
অনলাইনে অর্ডারকৃত পণ্য যারা ডেলিভারি দিয়ে থাকেন, তারা সহজে সংক্রমিত হতে পারেন বলে প্রথমে তাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করা সবচেয়ে বেশি প্রয়োজন। কর্মীদের নিরাপত্তার কথা ভেবে প্রয়োজনীয় সকল প্রকার ব্যবস্থা গ্রহণ করেছে দারাজ। প্রতিটি দারাজ ডেক্সে রয়েছে পর্যাপ্ত পরিমাণে মাস্ক, গ্লাভস এবং হ্যান্ড স্যানিটাইজার। রাইডাররা ডেলিভারি দিতে বের হলে তারা ঠিকমত মাস্ক ও গ্লাভস পড়ছে কিনা এবং স্যানিটাইজার সাথে আছে কিনা সে বিষয়ে লক্ষ্য রাখছে দারাজ। মাস্ক না পড়লে প্রবেশ করতে দেয়া হচ্ছে না দারাজের ওয়্যারহাউজ, হাব ও অফিসের ভেতর। প্রবেশের দরজায় স্থাপন করা হয়েছে ডিসইনফেকশন বুথ, আর প্রবেশের পূর্বে মাপা হচ্ছে শরীরের তাপমাত্রা।
এছাড়া, দারাজের সকল ওয়্যারহাউজ, হাব ও অফিসে কঠোরভাবে মানা হচ্ছে ছয় ফিট শারীরিক দূরত্ব। দারাজের কার্যক্রম পরিচালিত হচ্ছে বিভিন্ন শিফটে ৫০ শতাংশ জনবল নিয়ে। দুই ঘন্টা পর পর সম্পূর্ণ অফিস পরিষ্কার করা হচ্ছে যাতে করোনা ভাইরাস মেঝে ও আসবাবে থাকতে না পারে এবং সবাইকে ঘন ঘন হাত ধুতে উৎসাহিত করা হচ্ছে। হাত পরিষ্কারের সুবিদার্থে প্রতিটি ফ্লোরের প্রবেশ গেইটে রাখা হয়েছে হ্যান্ড স্যানিটাইজার ডিসপেন্সার। প্রত্যেক দলের প্রধান দলের সদস্যদের স্বাস্থ্যাবস্থা প্রতিনিয়ত পর্যবেক্ষণ করছেন এবং কারও মধ্যে কোভিডের সামান্যতম উপসর্গ দেখা দিলেও দ্রুততার সাথে পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে। প্রতিষ্ঠানটি কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে বাড়ি বসে কাজ করার ব্যবস্থাও করেছে।
ঘরে থাকুন, নিরাপদে থাকুন, ডেলিভারি করছে দারাজ- এই মন্ত্রে সঙ্কটকালীন সময় সারা দেশে পণ্য ডেলিভারি করছে দারাজ। অনলাইন কেনাকাটায় স্বাস্থ্যসুরক্ষা নিশ্চিত করতে দারাজের উদ্যোগসমূহ যথেষ্ট সময় উপযোগী এবং কার্যকর। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার নিয়মাবলী অনুসারে স্বাস্থ্যঝুঁকি হ্রাসে যা যা করা প্রয়োজন সব নিয়ম মেনে দক্ষতার সাথে সকল কাজ পরিচালনা করছে দারাজ। তাই, আপনার প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি নিশ্চিন্তে অর্ডার করতে বেছে নিতে পারেন দারাজ প্ল্যাটফর্মকে।
An SEO content writer, optimizer, and digital marketer who enjoys working with the chemistry of content, marketing, and audience. Personally, I believe that CREATIVE THINKING is the best part of living as a human. Not only a quick learner but also a curious soul of the time.