নিরাপদ অনলাইন শপিং; সুরক্ষায় ১০টি টিপস

নিরাপদ শপিং

সম্ভবত একুশ শতকের প্রযুক্তির কাছ থেকে সবচেয়ে বড় সেবা অনলাইন শপিং। আর বর্তমান সময়ে এই উন্নত অনলাইন শপিং এর সার্ভিস নেয় না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া বেশ দুষ্কর। অনলাইন শপিং আপনাকে দিবে ঘরে বসে রোদ, বৃষ্টি আর ট্রাফিক জ্যামের মধ্যে দোকান ঘুরে ঘুরে কেনাকাটা করার বিরক্তিকর অভিজ্ঞতা থেকে চির মুক্তি। ২৪ ঘন্টার যে কোন সময় আপনার মোবাইল কিংবা কম্পিউটার দিয়েই পণ্য পছন্দ করে অর্ডার করে ঘরেই পেতে পারেন সরাসরি হোম ডেলিভারি। তবে নিরাপদে অনলাইন শপিং করতে গেলে আপনাকে জানতে হবে বেশ কিছু কথা।

দেখে নেয়া যাক কিভাবে আপনার অনলাইন শপিং হবে ১০০% নিরাপদ ও সুরক্ষিত

  • ইউআরএল টি “https” কিনা এবং সেই সাথে এড্রেস বারের প্যাডলক আইকন দেখে নিন। আপনার ভিজিট করা সাইটটি নিরাপদ কিনা এ সম্পর্কিত তথ্য দিবে এসব আইকন।
  • সবসময় দারাজ, আলীবাবা কিংবা আলী এক্সপ্রেস এর মত বিশ্বমানের সাইট থেকে শপিং করা উচিত, যাতে আপনি সুনিশ্চিত থাকতে পারেন যাতে আপনি কোন সমস্যায় না পড়েন। সঠিক ভাবে ইউআরএল লিখুন। “যোগাযোগ করুন” কিংবা ‘Contact us” অংশ চেক করে দেখুন যে, কোম্পানীর নাম, ঠিকানা ও কল সেন্টার নম্বর ঠিক আছে কিনা।
  • কোন পণ্যের দাম যদি একেবারে হিসেবের থেকেও কম মনে হয়, সেক্ষেত্রে একটু সচেতনতার সাথে ভেবে শপিং করা উচিত। এক্ষেত্রে কল সেন্টারে ফোন করে কিংবা ই-মেইল করে নিশ্চিত হয়ে নিতে পারেন।
  • পপ-আপ অ্যাডে ক্লিক না করা ভালো। কারণ এটা অনেক সময় আপনাকে ক্ষতিকর কোন সাইটে রি-ডিরেক্ট করে দিতে পারে।
  • একেবারে ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে শেয়ার না করা ভালো, যেমন সামাজিক সিকিউরিটি নাম্বার ইত্যাদি।
  • ওয়েবসাইটটির ফেরত নীতিমালা ও অনলাইন শপিং এর খরচ সম্পর্কিত তথ্যাদি পরীক্ষা করে নিন।
  • প্রতারণা এড়াতে ক্রেডিট কার্ড ব্যবহার করে সবসময় অনলাইনে পণ্য ক্রয় করা উচিত। বেশিরভাগ ক্রেডিট কার্ডেই স্টেটমেন্ট পাবার ৩০ দিনের মধ্যে কেনাকাটার সময় প্রতারণা হলে রিপোর্ট করার সুবিধা থাকে।
  • হাই এন্ড বিলাসবহুল পণ্যের ক্ষেত্রে, ভাল পণ্য হোম ডেলিভারির নিশ্চয়তা পেতে সর্বদা আসল/অফিশিয়াল রিটেইলার বা সেলার থেকে ক্রয় করুন, থার্ড পার্টি(Third Party) থেকে নয়। এমনটি হলে খারাপ পণ্য পাবার সম্ভাবনা অনেকাংশে কমে যায়।
  • কোন অনলাইন রিটেইলারদের সাথে যখন একাউন্ট তৈরি করবেন তখন অবশ্যই শক্তিশালী পাসওয়ার্ড ব্যবহার করবেন। প্রত্যেক একাউন্টের পাসওয়ার্ড ভিন্ন ভিন্ন হওয়া উচিত। এজন্য দেখে নিতে পারেন অনলাইনে কার্ড পেমেন্ট নিরাপদ কেন এবং কোন প্রকার অনলাইন ব্যাংকিং কিংবা লেনদেন কখনই পাবলিক ওয়াই-ফাই কানেকশনে করবেন না।
  • ই-মেইল থেকে আসা কোন লিংকে ক্লিক করার আগে সাবধান হোন। অনেক সময় এগুলো ভয়ানক হতে পারে। সন্দেহ হলে ক্ষতিকর লিংকে ক্লিক করবেন না। সাধারণত এসব লিঙ্ক থেকেই ব্যক্তিগত একাউন্টের তথ্য, পাসওয়ার্ড কিংবা ব্যাংকিং লেনদেন ও কার্ড নাম্বার হাতছাড়া হয়ে যায়। অথবা এমন কোন লিংকে রি-ডিরেক্ট হয়ে চলে যেতে পারে, যেখান থেকে পাসওয়ার্ড চিরতরে হাতছাড়া হয়ে যেতে পারে। এমন কোন সমস্যার সম্মুখীন হলে সাইটটি নতুন উইন্ডো ওপেন করে “Contact Us” পোর্টালে গিয়ে ই-মেইল পাঠিয়ে রাখুন।

এছাড়া সবচেয়ে কম দামে সেরা ডিলটি পেতে এখুনি ভিজিট করুন দারাজ – যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে সবচেয়ে সেরা দামে সেরা মানের পণ্যটি।

অনলাইন শপিং সম্পর্কে আরও পড়ুনঃ অনলাইনে কার্ড পেমেন্ট নিরাপদ ও সহজ কেন?

অনলাইনে কার্ড পেমেন্ট নিরাপদ ও সহজ কেন?

ক্যাশ পেমেন্ট নাকি অনলাইন কার্ড পেমেন্ট?

“অনলাইন শপিং” শতাব্দির সব থেকে কাঙ্খিত প্রসঙ্গ যেটি, মাঝে-মধ্যে মানুষের আশা-আকাঙ্খার বিপরীতে কিছুটা সংশয়ের কারনও হয়ে ওঠে এটি।  বর্তমানে উন্নত বিশ্বের বেশির ভাগ দেশের অনলাইন শপিং এর জনপ্রিয়তার রেশ বাংলাদেশের মত তৃতীয় বিশ্বের দেশ সমূহে এসে ঠেকলেও ক্রেতাদের শত ভাগ আস্থা অর্জনের প্রক্রিয়াটি এখনো উন্নয়নশীল অবস্থাতেই বিদ্যমান আছে।

যার কারনে পণ্যের গুণগত মান সহ বেশকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে বিশেষ করে অনলাইন শপিং এ কার্ড পেমেন্টের ক্ষেত্রে ক্রেতাদের উৎকণ্ঠা প্রায়শই লাইমলাইটে চলে আসে। তবে এখন দিন বদলেছে, বদলেছে অনলাইনে কার্ড পেমেন্টের ধরণও। দারাজের সম্মানিত গ্রাহকদেরকে তাই এই মর্মে আশ্বস্ত করা যাচ্ছে যে বর্তমানে অনলাইনে কার্ড পেমেন্ট আসলেই অনেক নিরাপদ ও স্বস্তিদায়ক।

অনলাইনে কার্ড পেমেন্ট নিরাপদ ও সহজ, কারণ

Safety and Security of online card payment

নিরাপত্তা ও সুরক্ষা

অনলাইনে যেকোন কাজেই আমাদের সবার আগে মাথায় আসে নিরাপত্তা ও সুরক্ষার কথা, আর অনলাইনে শপিং এর ক্ষেত্রে তো এটার বিকল্প বলতে  আর কিছুই নেই। তবে অবাক করার মত হলেও এটাও সত্যি যে অনলাইনে কার্ড পেমেন্টে এখন সব ধরণের সাইবার হামলা থেকে সুরক্ষা পাওয়া আসলেই সম্ভব। এখন ডেবিট কার্ড ও ক্রেডিট কার্ড সহ অনলাইনের মাধ্যমে করা সকল পেমেন্টে গোপনীয়তা খুব কঠোরভাবে অনুসরণ করা হয়। এছাড়া ব্যক্তিগত সকল তথ্যই সর্বসাকুল্যে গোপন রাখা হয়।

রেকর্ড ট্রেস করার সুবিধা

Tracing Record of Card

কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্টের সকল তথ্য রেকর্ড করা থাকে, যা কার্ড বা ব্যাংক স্টেটমেন্ট থেকে যেকোন সময় জেনে নেয়া যায়। যদি কখনো কোন অনাকাঙ্ক্ষিত লেনদেন হয়েও থাকে সেটা খুঁজে বের করা সম্ভব এই ফিচারটির মাধ্যমে।

 

দূরে সরিয়ে কষ্টকর পেমেন্ট প্রক্রিয়া

Effortless Card Payment

কল্পনা করুন, একটি বড় মানিব্যাগ বের করে ক্রয়ের সময় আপনি বিক্রেতাকে নগদ টাকা প্রদান করবেন। এমতাবস্থায় বোঝার আসলেই কোন উপায় নেই যে কোন ছিঁচকে চোর আপনার মানিব্যাগটির দিকে সতর্ক দৃষ্টি তাক করে আছে, অর্থাৎ যে কোন মূহুর্তেই যেকোন কিছু হয়ে যাওয়ার আশংকা থাকেই। অন্যদিকে, কার্ডগুলি বড় আকারের অর্থ বহন করতে সক্ষম হওয়ায় অযথা আপনাকে নগদ টাকার টানা-হেঁচড়ার দিকে যেতে হচ্ছে না। এক্ষেত্রে কার্ডের মাধ্যমে পেমেন্ট আরো সুবিবেচনাপ্রসূত উপায় প্রস্তাব করে এবং লেনদেনকে আরো দ্রুত ও যৌক্তিক করে তোলে।

কার্ড পুনরুদ্ধার করা যায়, কিন্তু ক্যাশ?

হাতের ক্যাশ টাকা হারিয়ে গেলে খুঁজে বের করা প্রায়শই অসম্ভব, কিন্তু কার্ড হারালে কখনই দুশ্চিন্তার কিছু থাকে না, বরং এক মিনিটে কার্ড বন্ধ করে নতুন কার্ড ইস্যু করানো সম্ভব। এদিক থেকে ক্যাশের থেকে নিশ্চয়ই কার্ডের মাধ্যমে অনলাইন পেমেন্ট নিঃসন্দেহে বাড়তি সুবিধা দিবে ক্রেতাদের।

কার্ডের মাল্টি লেয়ার নিরাপত্তা সুবিধা

কার্ডে কখনো যদি ব্যক্তিগত ডাটা চুরির সম্ভাবনা তৈরী হয়ে থাকে, তখন ইএমভি চিপস সক্ষম কার্ড পেমেন্টের সিকিউরিটির একটি অতিরিক্ত স্তর প্রদান করে। কার্ডে একটি ডায়নামিক ডেটা তখন স্বয়ংক্রিয়ভাবেই তৈরি হয়, প্রতিটি চিপ লেনদেনকে আরো অনন্য ও সহজ করে তোলে। এই অনন্য লেনদেন কোড শুধুমাত্র সেই বিশেষ ক্রয় লেনদেনের সময়ই ব্যবহারযোগ্য হয়, যার ফলে প্রতিটা লেনদেন তখন একটি বিশেষ নিরাপত্তার চাদরে আবর্তিত হয়।

ভ্রমণকারীদের জন্য কার্ড দেয় অসাধারণ নিরাপত্তা

ভ্রমণকারীদের জন্যও কার্ডে থাকে বিশেষ নিরাপত্তা সুবিধা। কিছু পেমেন্ট কার্ড ট্র্যাফিক বীমা অফার করে, যা ব্যক্তিগত দুর্ঘটনা, হারানো জিনিসপত্র এবং ভ্রমণের আনুসঙ্গিক সুবিধা প্রদান করে। আপনার ইস্যুকারী ব্যাংকে ভ্রমণের সাথে তাদের দেওয়া পরিষেবাটি অনুসন্ধান করুন।

কার্ড হারালে বা চুরি হলে ব্যাংক দিবে বাড়তি নিরাপত্তা

দুর্ঘটনা সম্পূর্ণভাবে এড়ানো যায় না, যে কারণে ক্ষতির পরিমাণ কমানোর জন্য ব্যাংকগুলি ব্যবস্থা রাখে। যদি আপনি মনে করেন যে আপনার কার্ড হারিয়েছে বা চুরি হয়ে গেছে, তাহলে আপনার ব্যাংক কে অবিলম্বে অবহিত করুন যাতে তারা আপনার অর্থ সুরক্ষিত করতে পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারে!

দ্রুতগতিসম্পন্ন, সহজ ও নিরাপদ

Easy Card Payment

অনলাইনে কার্ড পেমেন্ট যেমন সহজ ও নিরাপদ, তেমনি এটি যে একটি অধিকতর দ্রুতগতি সম্পন্ন একটি মাধ্যম, সেই বিষয়ে কোন সন্দেহ থাকে না। তাই বলাই যায় যে অনলাইনে পেমেন্ট ভাল, কার্ডে আরও ভাল।

তাহলে বুঝতেই পারছেন, অনলাইনে কার্ড পেমেন্ট এখন কতটা সহজ ও নিরাপদ। সুতরাং অফলাইন ক্যাশ পেমেন্টে বাড়তি ঝুঁকি নিয়ে অনলাইনে কার্ড পেমেন্টের সহজ ও নিরাপদ অনলাইন শপিং সুবিধা কেন হাতছাড়া করবেন? আর অনলাইনে কার্ড ও মোবাইল ব্যাংকিং পেমেন্টের বিস্তারিত প্রসেস জানতে এখনি ভিজিট করতে পারেন দারাজ অফিশিয়াল ওয়েবসাইট (Daraz.com.bd) তে অথবা দারাজ মোবাইল অ্যাপে যে কোন সময়েই। এছাড়া সাম্প্রতিক দারাজ মেগা ক্যাম্পেইনে যাবতীয় কেনাকাটা নিশ্চিন্তে কার্ড পেমেন্টেই সারতে পারেন।

সেরা দামে সেরা অনলাইন শপিং করতে ভিজিট করতে পারেন ক্যাম্পেইন যেখানে আপনার জন্য অপেক্ষা করছে সেরা মানের সকল পণ্যের উপর দারুণ সব ডিসকাউন্ট অফার ও ভাউচার।

অনলাইন শপিং সম্পর্কে আরও পড়ুনঃ নিরাপদ অনলাইন শপিং | সুরক্ষায় ১০টি টিপস

ঈদ ফ্যাশনে পাঞ্জাবি – সেরা দশ ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি দারাজে (২০২৩)

আমাদের সবার কাছেই ঈদ মানে একটি বাড়তি আনন্দময় উৎসব। ঈদ মানেই নতুন পাঞ্জাবিতে নিজেকে নতুন ভাবে সাজিয়ে তোলা। আর তাই ছোট-বড় সবাই প্রত্যেক ঈদে নতুন পোশাকে নিজেদেরকে সাজাতে চায়। বর্তমান সময়ের তরুণদের মধ্যে বিভিন্ন স্টাইল আর ডিজাইনের পাঞ্জাবি পরার প্রবণতা দেখা যায়। পাঞ্জাবীতে যেমন ফুটে ওঠে ব্যক্তিত্ব, তেমন লুকে আসে সৌন্দর্য্য, ফ্যাশনে আসে আভিজাত্য। সুন্দর রঙ ও বাহারী ডিজাইনের পাঞ্জাবী এখনকার আধুনিক তরুণ প্রজন্মের প্রথম পছন্দ।

যে কোন বয়সি তরুণ অথবা পুরুষকে যদি জিজ্ঞেস করা হয়, এবারের ঈদে কি কিনছেন, প্রায় সকলের কাছ থেকে একই উত্তর পাওয়া যাবে। আর তা হল ছেলেদের নতুন পাঞ্জাবী নিঃসন্দেহে। ঈদে নতুন পাঞ্জাবী না হলে একেবারেই চলে না ছেলেদের। ঈদে তপ্ত গরমে পাঞ্জাবীর পাশাপাশি অনেকে হয়তো ছেলেদের শার্ট, পোলো ও ছেলেদের টি শার্ট কিনে থাকেন। কিন্তু ঈদ উদযাপনে একটা পাঞ্জাবী না হলে কি আর চলে।

eid style for men

ঈদের অবিচ্ছেদ্য অংশ পাঞ্জাবী

ঈদের দিন সকাল থেকে সন্ধ্যা পাঞ্জাবি ছাড়া দিনটাই যেন অসম্পূর্ণ। ঈদের উৎসবমুখর পরিবেশে দিনভর প্রিয়জনের সাথে ঘুরে বেড়াতে বেশিরভাগ পুরুষ পাঞ্জাবিকে রাখেন প্রথম পছন্দ হিসেবে। যেহেতু প্রখর রোদ ও গরমের সমস্যা উপেক্ষা করার মত নয়, তাই সুতি পাঞ্জাবিই হতে পারে সেরা ঈদ ফ্যাশনের অবিচ্ছেদ্য অংশ। রঙের ব্যাপারে উজ্জ্বল ও গাড় রঙগুলোকেই প্রাধান্য দেয় তরুণ প্রজন্ম। আর ধীরে ধীরে ঈদের পাঞ্জাবিতে এম্ব্রয়ডারি কিংবা হস্ত শিল্পের চাহিদা দিন দিন কমছে, আর সেই জায়গায় পুরুষরা এখন হালতা ডিজাইনের পাঞ্জাবির দিকেই বেশি ঝুঁকছেন। এছাড়া স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্ট করা পাঞ্জাবি ও স্ট্রাইপ এর পাঞ্জাবী তো আছেই।

panjabi for eid

গরম এবং বৃষ্টির কথা মাথায় রেখে এবারের ঈদের পাঞ্জাবীর কাপড়ে ভিন্নতা এনেছে দেশের সেরা ও জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ড। প্রতিবারের মতোই নতুন সব ডিজাইনের পাঞ্জাবী পাওয়া যাচ্ছে দারাজ অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট তথা অ্যাপে। বৃষ্টির দিনে ম্যাড়ম্যাড়ে আবহাওয়াকে দূর করতেই যেন রঙিন সব কাপড় ব্যবহার করা হচ্ছে পাঞ্জাবীতে।

দারাজে সেরা ১০ ব্র্যান্ডের ঈদ পাঞ্জাবী

দেশের এক নম্বর অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ পবিত্র ঈদুল ফিতর উপলক্ষ্যে জনপ্রিয় ও দেশসেরা ১০ টি ব্র্যান্ডের বিশেষ ডিজাইনের অসংখ্য পাঞ্জাবীর সুবিশাল কালেকশন নিয়ে হাজির হয়েছে ক্রেতাদের কাছে।

১. ম্যানফেয়ার

manfare punjabi price in bd

২. গুডম্যান

goodman punjabi price in bd

৩.  এলিগেন্স

elegance punjabi price in bd

৪. মাসকুলিন

masculine punjabi price in bd

৫. স্টোন রোজ

stone rose punjabi price in bd

৬. আল্ভিনা

alvina punjabi price online bd

৭. লুবনান

lubnan punjabi for eid in bd

৮. র-ন্যাশন

raw nation eid punjabi price online bd

৯. তাজিম ফ্যাশন

tanjim fashion punjabi for eid

১০. স্বপন’স ওয়ার্ল্ড

swapons world punjabi for eid

দেশ সেরা এসব ব্র্যান্ডের সেরা পাঞ্জাবী থেকে আজই খুঁজে নিন আপনার জন্য উপযুক্ত ঈদের পাঞ্জাবিটি। বাঙ্গালীর চিরায়ত ও ঐতিহ্যবাহী পোশাক পাঞ্জাবী কিনতে ঘুরে আসতে পারেন দারাজের ঈদ পাঞ্জাবি কালেকশন থেকে। এছাড়া দারাজে পাবেন ছেলেদের কেস জুতা সালের মূল্যতালিকা অনুযায়ী কেনার দারুণ সুযোগ। দারাজে রয়েছে টিভি, ফ্রিজ সহ বিভিন্ন সেরা মানের হোম এপ্লায়েন্স।

রোদ-বৃষ্টির ঝক্কি-ঝামেলা ঝেড়ে ফেলে, রাজ্যের জ্যাম কাটিয়ে আর প্রথাগত শপিং এর কঠিন ধকল পেরিয়ে গরমের মধ্যে হাতের কাছেই যদি দারাজের মত সহজ আর নির্ভরতাময় অনলাইন শপিং থাকে, তবে আর দুশ্চিন্তা কি! এখন ঈদ শপিং ফেস্ট থেকে অর্ডার করে নিতে পারেন আপনার পছন্দের পাঞ্জাবি একটু বেশি ছাড়ে।

এছাড়া দেখতে পারেনঃ

দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইন ২০২৩- আকর্ষণীয় অফার ও ডিসকাউন্ট

দেশের ইলেকট্রনিক্স পণ্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় অনলাইন সেল দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইন চলবে ২৫ মে থেকে ২ জুন, ২০২৩ পর্যন্ত। দারাজ ইতিমধ্যেই সেরা দামে বাংলাদেশের ক্রেতাদের কাছে সেরা ও মানসম্মত পণ্য সরবরাহ করে গ্রাহকদের বিশ্বাস, নির্ভরতা এবং আস্থা অর্জনের সাথে সাথে চমৎকার গ্রাহক সন্তুষ্টি অর্জন করেছে।

মূলত সেই সফলতার রেশ ধরেই দারাজের আয়োজনে এবার থাকছে জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ইলেকট্রনিক্স পণ্য সেরা সব ডিল ও ছাড়ের সমারোহে। আর অনলাইনে বাংলাদেশি ক্রেতারা যাতে চাহিদার সেরা পন্যটি সবচেয়ে সেরা দামে নিজের হাতে পায়, সেটা নিশ্চিত করতে দারাজের আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট অফার ও লাভজনক দারাজ ভাউচার তো থাকছেই!

ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইনে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট অফার ২০২৩

Electronics week offers 2023 on Daraz

দেখে নিন দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইন ২০২৩ এ কি কি অফার এবং ডিলস রয়েছে।

  • বাজেটের কেনাকাটা (<৪৯৯ টাকা ডিল, <৯৯৯ টাকা ডিল, <১৪৯৯ টাকা ডিল)
  • লাইভস্ট্রিম দেখুন এবং কিনুন
  • কার্টে যোগ করুন এবং ভাউচার উপভোগ করুন
  • বিক্রেতা/ব্র্যান্ড ভাউচার
  • ফ্ল্যাশ সেল
  • মেগা ডিল
  • হট ডিল
  • শেক শেক
  • পেমেন্ট পার্টনার ডিসকাউন্ট
  • বিকাশ ক্যাশব্যাক অফার
  • ১ম প্রিপেমেন্ট অর্ডার ৫০% ছাড়
  • নতুন ব্যবহারকারীর জন্য উপহার
  • ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার
  • মেগা ভাউচার
  • কালেকটিভ ভাউচার
  • দারাজ এক্সক্লুসিভ ভাউচার

সেরা বাজেট, সেরা ব্র্যান্ড, সেরা গ্যাজেট

আপনি যদি দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইনের সবচেয়ে বড় আকর্ষণ খুঁজতে চান, তাহলে সেটা হবে সবচেয়ে সাশ্রয়ী বাজেট দামে সেরা ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও গ্যাজেট নিঃসন্দেহে। আর দারাজ আপনাকে নিশ্চিত করবে পছন্দের ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসের সাশ্রয়ী দাম, অফিশিয়াল ব্র্যান্ড ওয়্যারেন্টি ও সহজ রিটার্ণ পলিসি। তাছাড়া ক্রেতারা যেকোন নির্দিষ্ট ব্র্যান্ডের ১০০% অরিজিনাল পণ্যই পছন্দ মাফিক কিনতে পারবেন।

সেরা এক্সেসরিজ, সাশ্রয়ী দাম, সেরা মূল্যছাড়

দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইনে বিভিন্ন ইলেকট্রনিক্স এক্সেসরিজ বিশেষ করে মোবাইল কেইস ও কভার, পাওয়ার ব্যাংক, হেডফোন ও স্মার্ট ওয়াচ সহ সকল পণ্যের উপর অবিশ্বাস্য মূল্যছাড় উপভোগ করা বেশ সহজ। ক্রেতারা এখন নামীদামী বিভিন্ন গ্যাজেট কিনতে কল্পনার চেয়েও অধিক হারে ডিসকাউন্ট অফার উপভোগ করতে পারবেন।

অনলাইন পেমেন্টে বাড়তি ডিসকাউন্ট

Cashback offers on prepayment on daraz electronics week 2023

ইলেকট্রনিক্স উইকের আকর্ষনীয় বিভিন্ন ডিলের বাইরেও ক্যাম্পেইনের পেমেন্ট পার্টনার ব্যাংক এর যেকোন ডেবিট ও ক্রেডিট কার্ড এর মাধ্যমে গ্রাহকরা অতিরিক্ত ছাড় পাবেন। আর বিকাশ পেমেন্টে লোভনীয় ক্যাশব্যাক অফার তো থাকছেই।

ইলেকট্রনিক্স উইক ভাউচার

ইলেকট্রনিক্স ডিভাইস ও এক্সেসরিজকে আরও সাশ্রয়ী করতে দারাজে থাকছে ইলেকট্রনিক্স উইক স্পেশাল ভাউচার, যা আপনার কেনাকাটাকে করবে আগের থেকে আরও বেশী সাশ্রয়ী।

ডিসকাউন্টের পাশাপাশি থাকছে ফ্ল্যাশ সেল

দারাজ এর যেকোন মেগা ক্যাম্পেইন মানেই নতুন চমক! এরকমই একটা চমক হিসেবে ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে থাকছে ফ্ল্যাশ সেল। বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় মোবাইল ফোন, ল্যাপটপ, ক্যামেরা, এসি ও ফ্রিজ সহ সকল ইলেক্ট্রনিক্স পণ্য ও এক্সেসরিজের উপর আকর্ষনীয় ফ্ল্যাশ সেল চলমান থাকবে।

ইলেকট্রনিক্স উইকের আকর্ষনীয় ডিলগুলো লুফে নিতে এখনই ভিজিট করতে পারেন দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইন পেজে। আর ক্যাম্পেইনের সকল ডিল ও ডিসকাউন্ট অফার সম্পর্কে প্রতিনিয়ত আপডেট পেতে লগইন করে রাখতে পারেন আপনার দারাজ অ্যাপ অ্যাকাউন্টে।

১০,০০০ টাকার মধ্যে ৫ টি বাজেট মোবাইল ফোন (২০২৪)

স্মার্টফোন কিনবেন বলে চিন্তা করছেন?

আপনি কি সাশ্রয়ী বাজেটে মোবাইল ফোন খুঁজছেন? অনলাইনে কম দামে ভালো ফোন কিনতে চান? মোবাইল ফোন বাজারের রকমারী স্মার্টফোন, বাহারী ফিচার ও বৈচিত্র্যময় স্পেকস আপনাকে নিশ্চিতভাবেই গভীর ভাবনার মধ্যে ফেলবে। আর বাজেট নিয়ে হিসাব আর পকেটের দুশ্চিন্তা তো থেকেই থাকে। সেক্ষেত্রে নতুন মোবাইল ফোন কেনার প্রথম পূর্বশর্ত হল মোবাইলের দাম ও বাজেটের মধ্যে সম্মিলন ঘটানো।

কম দামে ভালো ফোন খুঁজে বের করা খুব একটা সহজসাধ্য কাজও নয়। মোবাইল ফোন শপিং -কে আরও বেশি সহজ করতে এবার দেখে নেই মাত্র ১০,০০০ টাকা দামের ৫ টি সেরা ব্র্যান্ডের স্মার্টফোন, যা নিঃসন্দেহে আপনার স্বল্প বাজেটে মোবাইল ফোনের চাহিদা মেটাবে শতভাগ।

১০,০০০ টাকায় ৫ টি মোবাইল ফোন (স্মার্টফোন) একনজরেbuy realme c11 mobile from daraz.com.bd

১। রিয়েলমি সি ১১

  • র‍্যাম/রমঃ ২ জিবি, ৩২ জিবি
  • ডিসপ্লেঃ ৬.৫২” 
  • ক্যামেরাঃ ব্যাক ৮ এমপি, ফ্রন্ট ৫ এমপি
  • অপারেটিং সিস্টেমঃ অ্যান্ড্রয়েড ১১
  • ব্যাটারিঃ ৫,০০০ এমএএইচ

২। রিয়েলমি সি ৩০

realme c30 mobile price online bd

  • প্রসেসরঃ অক্টা-কোর
  • র‍্যাম/রমঃ ২ জিবি, ৩২ জিবি
  • ডিসপ্লেঃ ৬.৫” 
  • ক্যামেরাঃ ব্যাক ৮ এমপি, ফ্রন্ট ৫ এমপি
  • অপারেটিং সিস্টেমঃ অ্যান্ড্রয়েড ১১
  • ব্যাটারিঃ ৪৮৯০ এমএএইচ

৩। টেকনো পপ ৬ প্রো

টেকনো পপ ৬ প্রো দাম
  • প্রসেসরঃ কোয়াড-কোর
  • র‍্যাম/রমঃ ২ জিবি র‍্যাম ও ৩২ জিবি রম
  • ডিসপ্লেঃ ৬.৫৬” আইপিএস এলসিডি 
  • ক্যামেরাঃ ব্যাক ৮ এমপি, ফ্রন্ট ৫ এমপি
  • চিপসেটঃ মিডিয়াটেক হেলিও এ ২২
  • ব্যাটারিঃ ৫০০০ এমএএইচ

৪। সিম্ফনি জেট ২২

symphony z22
  • র‍্যাম/রমঃ ২ জিবি র‍্যাম ও ৩২ জিবি রম
  • ডিসপ্লেঃ ৬.৫২”
  • ক্যামেরাঃ ব্যাক ১৩ এমপি ও ফ্রন্ট ৫ এমপি 
  • অপারেটিং সিস্টেমঃ অ্যান্ড্রয়েড ১১
  • ব্যাটারিঃ ৫০০০ এমএএইচ


৫। ওয়ালটন প্রিমো আর ৯

walton primo r9 best smartphone under 10k
  • র‍্যাম/রমঃ ২ জিবি র‍্যাম ও ৩২ জিবি রম
  • ডিসপ্লেঃ ৫.৪৫”
  • ক্যামেরাঃ ৮ এমপি ব্যাক ও ৫ এমপি ফ্রন্ট
  • অপারেটিং সিস্টেমঃ অ্যান্ড্রয়েড ১০
  • ব্যাটারিঃ ৩০০০ এমএএইচ

মোবাইলের দাম নিয়ে নেই আর কোন ভাবনা!

মাত্র ১০,০০০ টাকা (দশ হাজার) বাজেটের মধ্যেই কিনে ফেলুন স্বপ্নের স্মার্টফোন। অসাধারণ ফিচার ও ডিজাইন সমৃদ্ধ সেরা ব্র্যান্ডের মোবাইল হাতের মুঠোয়। এখন ঘরে বসেই দারাজ অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট ও অ্যাপ থেকে অনলাইনে সেরা দামে মোবাইল ফোন অর্ডার দিয়ে হোম ডেলিভারি নিতে পারবেন ঢাকা সহ সারা বাংলাদেশের যেকোন যায়গা থেকেই। এখন শাওমি মোবাইলের দাম, নকিয়া বাটন মোবাইল দাম সহ যেকোন ফোনের মূল্য দারাজে সবচেয়ে কম। এছাড়া এখন দারাজ ইলেক্ট্রনিক্স উইক সেল ক্যাম্পেইনে আপনার জন্য সেরা সব ডিল অপেক্ষা করছে আকর্ষণীয় ভাউচারের সৌজন্যে।

<<জনপ্রিয় সকল ব্র্যান্ডের মোবাইল ফোন খুঁজুন এই লিঙ্কে>>

এছাড়াও মোবাইল সম্পর্কে আরও পড়ুনঃ

>>সাশ্রয়ী মূল্যে সবচেয়ে জনপ্রিয় ৫ টি মোবাইল<<

দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক শপিং গাইড

পহেলা বৈশাখ: বাংলাদেশের উৎপত্তি, ঐতিহ্য এবং সংস্কৃতি

বছর ঘুরে আবারও আসতে যাচ্ছে পহেলা বৈশাখ। আবারও সময় আসছে পুরাতনের গ্লানি মুছে নতুন কে স্বাগতম জানানোর। আপনাদের কি জানা আছে পহেলা বৈশাখের প্রথম কবে পালন করা হয়? কিভাবে হয় এর প্রচলন? চলুন জেনে নেওয়া যাক পহেলা বৈশাখের ইতিহাস ও ঐতিহ্য।

ইতিহাস!!!

পয়লা বৈশাখ বা পহেলা বৈশাখ (বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের ১ তারিখ) বাংলা সনের প্রথম দিন, তথা বাংলা নববর্ষ। দিনটি বাংলাদেশ এবং ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নববর্ষ হিসেবে বিশেষ উৎসবের সাথে পালিত হয়। ত্রিপুরায় বসবাসরত বাঙালিরাও এই উৎসবে অংশ নিয়ে থাকে। সে হিসেবে এটি বাঙালিদের একটি সর্বজনীন লোকউৎসব হিসাবে বিবেচিত। গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জি অনুসারে ১৪ই এপ্রিল অথবা ক্ষেত্র বিশেষে ১৫ই এপ্রিল (ভারত) পহেলা বৈশাখ পালিত হয়।

ভারতবর্ষে মুঘল সম্রাজ্য প্রতিষ্ঠার পর সম্রাটরা হিজরী পঞ্জিকা অনুসারে কৃষি পণ্যের খাজনা আদায় করত। কিন্তু হিজরি সন চাঁদের উপর নির্ভরশীল হওয়ায় তা কৃষি ফলনের সাথে মিলত না। এতে অসময়ে কৃষকদেরকে খাজনা পরিশোধ করতে বাধ্য করতে হত। খাজনা আদায়ে সুষ্ঠুতা প্রণয়নের লক্ষ্যে মুঘল সম্রাট আকবর বাংলা সনের প্রবর্তন করেন। সম্রাটের আদেশ মতে তৎকালীন বাংলার বিখ্যাত জ্যোতির্বিজ্ঞানী ও চিন্তাবিদ ফতেহউল্লাহ সিরাজি সৌর সন এবং আরবি হিজরী সনের উপর ভিত্তি করে নতুন বাংলা সনের নিয়ম বিনির্মাণ করেন। ১৫৮৪ খ্রিস্টাব্দের ১০ই মার্চ বা ১১ই মার্চ থেকে বাংলা সন গণনা শুরু হয়। তবে এই গণনা পদ্ধতি কার্যকর করা হয় আকবরের সিংহাসন আরোহণের সময় (৫ই নভেম্বর, ১৫৫৬) থেকে। প্রথমে এই সনের নাম ছিল ফসলি সন, পরে বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষ নামে পরিচিত হয়। সেই ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায় আধুনিক নববর্ষ উদযাপনের খবর প্রথম পাওয়া যায় ১৯১৭ সালে।

সেই পহেলা বৈশাখের সাথে কালের রুপান্তরে যোগ হয় রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ, মঙ্গল শোভাযাত্রা, হালখাতা, পান্তা ও ইলিশ খাওয়ার প্রথা, নৌকাবাইচ, বউমেলা, ঘোড়ামেলা ইত্যাদি।

পহেলা বৈশাখের উৎপত্তি

পহেলা বৈশাখ বাংলা ক্যালেন্ডারের প্রথম দিনকে চিহ্নিত করে, যা সৌরচক্রের উপর ভিত্তি করে এবং 1584 খ্রিস্টাব্দে মুঘল সম্রাট আকবর প্রবর্তন করেছিলেন। “পহেলা” শব্দটির অর্থ বাংলায় “প্রথম” এবং “বৈশাখ” বৈশাখ মাসকে বোঝায়, যা সাধারণত গ্রেগরিয়ান ক্যালেন্ডারে 14 বা 15 এপ্রিল পড়ে।

পহেলা বৈশাখের শিকড়গুলি বাংলার প্রাচীন কৃষিজীবী সমাজে খুঁজে পাওয়া যায়, যেখানে কৃষকরা মেলা, ভোজ এবং সঙ্গীতের সাথে ফসল কাটার মরসুম উদযাপন করত। ঐতিহ্যটি সময়ের সাথে সাথে হিন্দু, বৌদ্ধ এবং ইসলাম সহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক ও ধর্মীয় প্রভাবকে অন্তর্ভুক্ত করার জন্য বিবর্তিত হয়েছে। আজ, পহেলা বৈশাখ সকল ধর্ম ও পটভূমির মানুষের দ্বারা উদযাপিত হয় এবং এটি বাংলাদেশে ঐক্য ও বৈচিত্র্যের প্রতীক।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস বাংলার ইতিহাসের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িত, যা শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে অসংখ্য রাজনৈতিক, সামাজিক এবং সাংস্কৃতিক পরিবর্তন প্রত্যক্ষ করেছে। ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক আমলে, পহেলা বৈশাখকে দমন ও প্রান্তিক করা হয়েছিল, কারণ ব্রিটিশ কর্তৃপক্ষ বাঙালিদের উপর তাদের নিজস্ব ক্যালেন্ডার ও সংস্কৃতি চাপিয়ে দিতে চেয়েছিল। যাইহোক, পহেলা বৈশাখ একটি জনপ্রিয় লোক ঐতিহ্য হিসেবে টিকে ছিল এবং 1971 সালে বাংলাদেশ পাকিস্তান থেকে স্বাধীনতা লাভের পর একটি জাতীয় উৎসব হিসেবে পুনরুজ্জীবিত হয়।

সেই থেকে পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের সাংস্কৃতিক পরিচয়ের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে, এবং সারা দেশে অত্যন্ত উৎসাহ ও উদ্দীপনার সাথে পালিত হয়। দিনটি সাধারণত ঐতিহ্যবাহী “মঙ্গোল শোভাযাত্রা” শোভাযাত্রার মাধ্যমে শুরু হয়, যেটিতে রঙিন ভাসমান, মুখোশ এবং পুতুল রয়েছে যা বিভিন্ন সামাজিক এবং পরিবেশগত সমস্যাগুলিকে চিত্রিত করে। এর পরে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, খাদ্য মেলা এবং অন্যান্য উত্সব কার্যক্রম যা মানুষকে একত্রিত করে এবং সম্প্রীতি ও শান্তি প্রচার করে।

পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি

পহেলা বৈশাখের সংস্কৃতি তার প্রাণবন্ত ও বর্ণিল প্রকৃতির দ্বারা চিহ্নিত, যা বাঙালির আনন্দ ও আশাবাদকে প্রতিফলিত করে। ঐতিহ্যবাহী লাল এবং সাদা পোষাক ( মেয়েদের বৈশাখী ফ্যাশন) থেকে সর্বব্যাপী “পান্তা ভাত” (গাঁজানো চাল) পর্যন্ত, পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশের সৌন্দর্য এবং বৈচিত্র্যকে উদযাপন করে এমন অনুভূতির জন্য একটি ভোজ।

সঙ্গীত ও নৃত্যও পহেলা বৈশাখের একটি অবিচ্ছেদ্য অংশ, সারাদিন ধরে বিভিন্ন ধরনের লোক ও শাস্ত্রীয় সঙ্গীত পরিবেশিত হয়। এর মধ্যে সবচেয়ে বিখ্যাত হল “বাউল” সঙ্গীত, যা গ্রামবাংলায় উদ্ভূত রহস্যবাদ, কবিতা এবং সুরের এক অনন্য মিশ্রণ। নববর্ষকে স্বাগত জানাতে গাওয়া “নোবোর্শো” গানটি অন্য একটি জনপ্রিয় ঐতিহ্য যা সকলের দ্বারা লালিত।

পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে তথ্য

এখানে পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে কিছু মজার তথ্য রয়েছে যা আপনি জানেন না:

ঐতিহ্যবাহী বাঙালি মিষ্টি, যেমন “রোশোগোল্লা” এবং “মিষ্টি দোই,” পহেলা বৈশাখের একটি অপরিহার্য অংশ এবং প্রায়ই বন্ধু এবং পরিবারের সদস্যদের মধ্যে উপহার হিসাবে বিনিময় করা হয়।

পহেলা বৈশাখ ভারতীয় উপমহাদেশের অন্যান্য অংশে, যেমন পশ্চিমবঙ্গ এবং আসামেও পালিত হয়, – “মঙ্গোল শোভাযাত্রা” শোভাযাত্রা, যা পহেলা বৈশাখের সমার্থক হয়ে উঠেছে, ইউনেস্কো কর্তৃক “মৌখিক এবং অস্পষ্ট ঐতিহ্যের মাস্টারপিস” হিসাবে স্বীকৃত হয়েছে। 2016 সালে মানবতার”।

পহেলা বৈশাখ ব্যবসা ও বাণিজ্যের জন্যও একটি গুরুত্বপূর্ণ উপলক্ষ, অনেক দোকান এবং বাজার গ্রাহকদের আকৃষ্ট করার জন্য ডিসকাউন্ট এবং প্রচার প্রদান করে। দিনটি নতুন উদ্যোগ শুরু করা বা বিনিয়োগ করার জন্য শুভ বলে মনে করা হয়।

সাম্প্রতিক বছরগুলিতে, পহেলা বৈশাখও বিশ্বব্যাপী পরিচিতি লাভ করেছে, বিশ্বের বিভিন্ন প্রান্তে বিভিন্ন প্রবাসী সম্প্রদায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও উৎসবের আয়োজন করে।

পহেলা বৈশাখ কিভাবে উদযাপন করবেন

আপনি যদি বাংলাদেশে পহেলা বৈশাখ উদযাপন করতে চান, তাহলে এই আনন্দের উপলক্ষটি কীভাবে উপভোগ করা যায় তার কিছু টিপস এখানে দেওয়া হল:

  • লাল এবং সাদা শাড়ি বা পাঞ্জাবির মতো ঐতিহ্যবাহী বাঙালি পোশাক পরে এবং গয়না এবং আনুষাঙ্গিক দিয়ে নিজেকে সাজান।
  • আপনার এলাকায় “মঙ্গোল শোভাযাত্রা” শোভাযাত্রায় যোগ দিন, বা স্থানীয় সম্প্রদায় বা প্রতিষ্ঠানের দ্বারা আয়োজিত অন্যান্য সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান এবং ক্রিয়াকলাপে অংশগ্রহণ করুন।
  • ঢাকেশ্বরী মন্দির বা লালবাগ ফোর্টের মতো ঐতিহাসিক নিদর্শন এবং স্মৃতিস্তম্ভগুলি দেখুন, যা এই অনুষ্ঠানের জন্য সজ্জিত এবং আলোকিত।
  • কিছু ঐতিহ্যবাহী বাঙালি খাবারে লিপ্ত হন, যেমন “পান্তা ভাত”, “ডাল পুরি,” বা “বেগুনি” এবং “রোশোগোল্লা” বা “মিষ্টি দোই” এর মিষ্টির স্বাদ নিন।
  • আপনার প্রিয়জনের সাথে সময় কাটান, উপহার এবং শুভেচ্ছা বিনিময় করুন এবং ভালবাসা, ঐক্য এবং শান্তির বার্তা ছড়িয়ে দিন।

বর্তমান!!!

বর্তমানে পহেলা বৈশাখ কে ঘিরে আগের থেকেই শুরু হয় বাঙালিয়ানার রঙ্গে রাঙ্গার জন্য নানা রকম জল্পনা কল্পনা। আগেভাগেই বাঙালি মন প্রস্তুত থাকে পাঞ্জাবি ও পায়জামা, সাদা শাড়ি লালা পাড় সহ নানা রকম আয়োজনে নতুন বছরকে স্বাগতম জানাতে।

তাই বাঙালির প্রাণের উৎসবের আমেজে প্রতি বছরের ন্যায় এবারো দারাজ শপ অনলাইনে আয়োজন করতে যাচ্ছে বৈশাখের সব থেকে বড় ও ঐতিহ্যবাহী পহেলা বৈশাখ মেলা। যেখানে থাকবে আপনার পছন্দের সব পণ্যের উপর সর্বোচ্চ মূল্যছাড়! বিস্তারিত জানতে দারাজ পহেলা বৈশাখ ক্যাম্পেইনে চোখ রাখতে পারেন।

উপসংহার

পহেলা বৈশাখ বাংলাদেশে শুধু একটি নববর্ষের দিন নয়। এটি বাঙালি জনগণের সমৃদ্ধ সাংস্কৃতিক ঐতিহ্য এবং বৈচিত্র্যের উদযাপন এবং তাদের চেতনার স্থিতিস্থাপকতা এবং শক্তির একটি অনুস্মারক। পহেলা বৈশাখের উত্স, ইতিহাস, সংস্কৃতি এবং ঘটনা সম্পর্কে জানার মাধ্যমে, আমরা এই উত্সব উপলক্ষের জন্য গভীর উপলব্ধি অর্জন করতে পারি এবং জীবনের আনন্দ উদযাপনে আমাদের সহবাঙালিদের সাথে হাত মেলাতে পারি।

পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ – ইতিহাস ও বৈশাখী মেলার আদ্যপান্ত

পহেলা বৈশাখ – ১ লা বৈশাখ ১৪৩০, ১৪ ই এপ্রিল ২০২৩

পহেলা বৈশাখ কি?

বাঙ্গালীর উৎসব পহেলা বৈশাখ। পহেলা বৈশাখ বা নববর্ষ সুপ্রাচীন বাঙালি সংস্কৃতি ও ঐতিহ্যের অংশ। বাংলা পঞ্জিকার প্রথম মাস বৈশাখের প্রথম দিনটিকে পালন করা হয় বাংলা নববর্ষ অথবা বাঙ্গালীর বৈশাখী মেলা হিসেবে। এদিন বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গে নানা আড়ম্বর-আয়োজনের মাধ্যমে বরণ করে নেওয়া হয় নতুন বাংলা বছরকে। আগামী দিনের সম্ভবনা আর সমৃদ্ধি কামনায় উৎসবে মেতে ওঠে গোটা জনপদ।

পহেলা বৈশাখের ইতিহাস

বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখের ইতিহাসের সাথে জড়িয়ে আছে বাংলার সবুজ কৃষি নির্ভর সভ্যতা ও মুঘল সম্রাট আকবরের নাম। বাংলা পঞ্জিকা আসার আগে এদেশে কর আদায় করা হতো হিজরি পঞ্জিকা বা আরবী মাসের সাথে মিলিয়ে। কিন্তু চাঁদের উপর নির্ভরশীল আরবী পঞ্জিকার সাথে ফসল উৎপাদন ও খাজনা আদায়ের সময়কাল পুরোপুরি সুবিধাজনক না হওয়ায় সম্রাট আকবর প্রাচীন বাংলা বর্ষপঞ্জীতে সংস্কার আনেন। প্রথমদিকে এর নাম ছিলো ফসলি সন। পরে এটি বঙ্গাব্দ নামে পরিচিত হয়ে ওঠে।

পহেলা বৈশাখের গান

এসো হে বৈশাখ, এসো এসো ¶¶¶¶¶¶¶¶¶

পয়লা বা পহেলা বৈশাখ বাঙালির প্রাণের উৎসব। সারাদেশে বিপুল উৎসাহ-উদ্দীপনার মধ্য দিয়ে রবি ঠাকুরের চিরসবুজ গান ‘এসো হে বৈশাখ’-এর তালে তালে মেতে ওঠে গোটা জনপদের মানুষ। পহেলা বৈশাখের তাৎপর্য শুধুমাত্র আনন্দ-উৎসবেই সীমাবদ্ধ নয়- বরং এতে লুকিয়ে আছে পুরাতনকে সাথে নিয়ে, জরা-দুর্দশাকে শক্তিতে পরিণত করে সামনে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়।

পহেলা বৈশাখের অনুষ্ঠান, খাবার ও সংস্কৃতি

প্রতি বছরের মতো এবারও নতুন বাংলা বছর ১৪৩০ সনকে বরণ করে নেওয়ার প্রস্তুতি চলছে। ইংরেজী ক্যালেন্ডার অনুযায়ী পহেলা বৈশাখ ২০২৩ সালের ১৪ এপ্রিল পালিত হবে। প্রচলিত বাংলা বর্ষবরণের অন্যান্য উপকরণের মতো এবারও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চারুকলা অনুষদের তত্ত্বাবধানে মঙ্গল শোভাযাত্রা, রমনা বটমূলে পান্তা-ইলিশের সাথে সাথে পহেলা বৈশাখের কবিতা, ছবি, চিঠি ও সঙ্গীতের মাধ্যমে উদযাপন করা হবে নতুন বাংলা বছরকে। সাথে থাকবে বৈশাখী মেলা, নৌকা বাইচ, পুতুলনাচসহ আরো সব ঐতিহ্যবাহী আনন্দ-উৎসব অনুষঙ্গ।

নতুন সব বর্ণিল পোষাকে সজ্জিত নারী-পুরুষ-শিশুদের আনন্দ কোলাহলে বাংলা নববর্ষ বেঁচে থাকুক আরো হাজার বছর- বাংলা ও বাঙালির শেকড়ের উৎসব হিসেবে, নতুনকে জয় করা ও সামনে এগিয়ে যাবার প্রত্যয়ে।

পহেলা বৈশাখ – অনলাইন কেনাকাটা

মেয়েদের পহেলা বৈশাখী কেনাকাটা অনলাইনে

ছেলেদের পাঞ্জাবী বৈশাখে

বৈশাখী রান্না

বৈশাখে ঘরের সাজ

নতুন বছরকে বরণ করতে নিশ্চিতভাবেই আপনার লাগবে বেশ কিছু অত্যাবশ্যকীয় বৈশাখী পোশাক, খাদ্য সামগ্রী ও বাহারী বৈশাখী উপকরণ। পয়লা বৈশাখে কেউ চাইবেন বৈশাখের রঙ্গে নিজেকে রাঙ্গাতে নতুন বৈশাখী পাঞ্জাবি কিংবা পহেলা বৈশাখের শাড়ি পড়তে। কেউবা চাইবেন পান্তা ইলিশ দিয়েই শুরু হবে নতুন বছর। কিংবা আপনার প্রয়োজন হতে পারে ঢোল, বাশি, ভূভুজেলা কিংবা ঐতিহ্যবাহী যে কোন বৈশাখী সরঞ্জাম। দারাজ অনলাইন শপ ক্রেতাদের জন্য তাই প্রতিবছরের ন্যায় এবারো আয়োজন করতে যাচ্ছে পহেলা বৈশাখ সেল উৎসব ১৪৩০ সাল। চলতি বছরের এপ্রিল থেকে শুরু হওয়া বৈশাখী ক্যাম্পেইনটি চলবে একেবারে পহেলা বৈশাখ(pohela boishakh) পর্যন্ত। শুভ নববর্ষ!

দারাজ বৈশাখী মেলা ১৪৩০; অনলাইনে সবথেকে বড় বৈশাখী মেলা !

দারাজ বৈশাখী মেলায় সবাইকে স্বাগতম

দারাজ বাংলাদেশের পক্ষ থেকে সবাইকে বাংলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। ঐতিহ্যের ধারাবাহিকতায়, বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন শপিং মল দারাজ প্রতি বছরের ন্যায় এবারও ক্রেতাদের কাছে হাজির হয়েছে দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন বৈশাখী মেলা ১৪৩০ নিয়ে। ক্রেতারা বৈশাখী মেলায় উপভোগ করতে পারবেন বিভিন্ন পণ্যে আকর্ষণীয় ছাড়। চমক নিয়ে আসা দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন পহেলা বৈশাখ মেলায় দারাজ বাংলাদেশের সাথেই থাকুন।

বাংলা নিউ ইয়ার (নববর্ষ)

বাংলা নিউ ইয়ার বা নববর্ষ হল বাংলা নতুন বছরের প্রথম মাস বৈশাখের প্রথম দিন। বাংলা ভাষায় “বাংলা নববর্ষ” কে বলা হয় “পহেলা বৈশাখ”। সাধারণত পহেলা বৈশাখ দিনটা হয় ইংরেজি বছরের চতুর্থ মাস এপ্রিলের ১৪ তারিখ। শুধু বাংলাদেশ নয়, বিশ্বের সমগ্র বাঙ্গালীরাই এ উৎসবটিকে ঐতিহ্যগতভাবে পালন করে আসছে।

pohela boishakh (পহেলা বৈশাখ) - Daraz BD (দারাজ)

বাংলা নববর্ষ বা পহেলা বৈশাখের ঐতিহ্য ও উৎসব

পহেলা বৈশাখ বাঙ্গালীদের একটি ঐতিহ্যবাহী চিরায়ত উৎসব। এটি বাংলা পঞ্জিকার প্রথম দিন। বাঙ্গালীরা পহেলা বৈশাখ অনুষ্ঠানটিকে সবচেয়ে বেশী মর্যাদা দেয় এবং মনেপ্রাণে ভালবাসে। শুভাকাংখীদের “শুভ নববর্ষ” বলে স্বাগত জানায় এবং পুরনো বছরের সকল হিসেব-নিকেশ, দুঃখ-কষ্ট ভুলে “হালখাতা” নামক এক অনুষ্ঠানের মাধ্যমে নববর্ষকে বরণ করে নেয়।

পহেলা বৈশাখের জন্য চাই বৈশাখী পোশাক

পহেলা বৈশাখের বিশেষ দিনে রমনার বটমূলে বর্ষবরণ করতে বের হওয়ার পরিকল্পনা মানেই বৈশাখী পোষাক কেনার ধুম। প্ল্যানমাফিক ড্রেসের সাথে সবকিছু ম্যাচ করে শপিং করা কিন্তু অতটা সহজসাধ্য কাজ নয়। তার উপর বিষয়টি যথেষ্ট সময় সাপেক্ষও বটে। মনের মত পোষাক আর ঠিকঠাক মত ম্যাচ না হলে কি আর বর্ষবরণ জমে? বিভিন্ন রঙের শাড়ী, পাঞ্জাবী, ফতুয়া, লুঙ্গি, ফ্ল্যাট স্যান্ডেল, সানগ্লাস, টিপ, হালকা জুয়েলারি, বৈশাখী ব্রেসলেট ছাড়াও বিভিন্ন রকমের পোষাক ও সরঞ্জামাদি কেনার ধুম পড়ে। সময় বাঁচিয়ে, সাশ্রয়ী দামে, ঠিকঠাক মত ম্যাচিং করে শপিং করার মত কষ্টকর কাজকে বর্তমান সময়ে এতোটা সহজ করবে অনলাইন শপিং, যা কেউ ভাবেনি আগে। ঘরে বসেই সময় নিয়ন্ত্রণে রেখে, এই যান্ত্রিক নগরীতে জ্যাম থেকে নিজেকে রক্ষা করে সহজেই এখন অনলাইনে শপিং করা যায়।

মেয়েদের পহেলা বৈশাখী কেনাকাটা অনলাইনে

বৈশাখের প্রধান আকর্ষণ নারীদের শাড়ি আর পুরুষদের পাঞ্জাবি

পহেলা বৈশাখ মানেই সবার চোখ অসাধারণ ডিজাইনের সব শাড়ি আর পাঞ্জাবির দিকে। পহেলা বৈশাখে বর্ষবরণে কি পড়ে যাবেন তা আগেই সবাই ভেবে রেখে নিজের শপিং আগেই শেষ করে রাখেন বৈশাখ আর ঐতিহ্যপ্রেমী বাঙ্গালীরা। পরিবারের সবার জন্য কেনাকাটা করার ধুম পড়ে সমগ্র বাংলায়। ছোট ছেলেদের পছন্দ ঐতিহ্যবাহী সব পাঞ্জাবী, ফতুয়া অথবা কোন কোন ক্ষেত্রে ফতুয়ার সাথে গামছা আর লুঙ্গি। মেয়েরা তো সুন্দর ডিজাইনের শাড়ী ছাড়া কিছু কিনবেই না!

ছেলেদের পাঞ্জাবী বৈশাখে

দারাজ বৈশাখী মেলা ১৪৩০ কত তারিখ থেকে শুরু হচ্ছে?

৬ এপ্রিল, ২০২৩ তারিখ থেকে শুরু হওয়া দারাজ বাংলাদেশের বাংলা নতুন বছরের বৈশাখী মেলায় এখন অনলাইনেই ঘরে বসেই আপনি পাবেন অসাধারণ সব বৈশাখী কালেকশন। সঙ্গে সময়ের সেরা মূল্যছাড় তো থাকছেই। দারাজ থেকে কিনতে পারেন ডিজাইনার বৈশাখী পাঞ্জাবি, বৈশাখী শাড়ি, স্যান্ডেল, চুড়ি, টিপ, নানা ধরণের আকর্ষনীয় গহনা সহ বিভিন্ন ব্র্যান্ডের রকমারি পণ্য। এপ্রিল এর ৬ তারিখ থেকে শুরু হওয়া এই মেলা চলবে একেবারে পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ পর্যন্ত অর্থাৎ ১৪ এপ্রিল, ২০২৩ পর্যন্ত।

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং মেলা

বৈশাখী রান্না

বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপিং মেলা হল দারাজ বৈশাখী মেলা। দারাজ বাংলাদেশ বাঙ্গালী ক্রেতাদের নববর্ষ উদযাপনের জন্য দিচ্ছে বিশাল মূল্যছাড়। আপনি মোবাইল ফোন, কম্পিউটার, টেলিভিশন, পোশাক, জুতা, জিনিসপত্র এবং আরো অনেক পণ্যের জন্য অনলাইন শপিং-এর উপর অবিশ্বাস্য মূল্যছাড় পেতে যাচ্ছেন। কেবল ফ্যাশন নয়, স্যামসাং, এইচপি, মাইক্রোসফট, লেনোভো, বাটা, এপেক্স সহ বড় বড় ব্রান্ডের মেগা সেল ইভেন্টে ক্রেতারা কেনাকাটা করতে পারবেন খুব স্বাচ্ছন্দ্যেই এবং আস্থার সাথেই।

বৈশাখে ঘর সাজানোর জিনিস

চোখ রাখুন দারাজ বৈশাখী মেলা ১৪৩০ ক্যাম্পেইনে

বছরের সেরা ডিল গুলো পেতে চোখ রাখুন দারাজ বৈশাখী মেলা ১৪৩০ সনে। নিরাপদ অনলাইন শপিং করতে দারাজের সাথে থাকুন। প্রাণবন্ত অনলাইন শপিং করুন আর ঝক্কি-ঝামেলা কে বিদায় দিন এখনই।

দারাজের যেকোন আপডেট পেতে ভিজিট করুন দারাজ অফিশিয়াল ব্লগে। চোখ রাখুন দারাজ অনলাইন শপিং ওয়েবসাইটে এবং সেরা ডিল লুফে নিতে ডাউনলোড করুন দারাজ অ্যাপ।

শুভ নববর্ষ ১৪৩০

যেসব কারনে এবারের ঈদের পাঞ্জাবি দারাজ থেকেই কিনবেন! (২০২৩)

রোদ, বৃষ্টি, ঝড় ও ভাইরাস সহ নানা প্রতিকূলতা উপেক্ষা করে ট্র্যাফিক জ্যাম ও স্থানীয় বাজারের ভীড় সহ্য করে কেন ঈদের পাঞ্জাবি কিনতে যাবেন যখন ঘরে বসেই অনলাইনে এক ট্যাপে সব কেনাকাটা সেরে ফেলতে পারবেন দারাজ অনলাইন শপিং ওয়েবসাইট ও অ্যাপে। হ্যাঁ, আপনার মূল্যবান সময় বাঁচিয়ে খুবই কম সময়ে এখন ঈদের কেনাকাটা সেরে ফেলতে পারবেন দারাজ ঈদ সেল ক্যাম্পেইন ২০২৩ থেকে। ঈদ উপলক্ষে এখন জনপ্রিয় ব্র্যান্ডের ছেলেদের পাঞ্জাবি অর্ডার করা সম্ভব হবে ব্যাপক ছাড়ে দারাজেই।

কেন ঈদের পাঞ্জাবি শপিং এবার দারাজেই সারবেন?

ঘরে বসে নিরাপদ ও সুরক্ষিত অনলাইন শপিং

ঈদে যেহেতু একটা পাঞ্জাবি না হলেই নয়, ঘরে বসেই নিরাপদে এই বছরের নতুন ডিজাইনের পাঞ্জাবির শপিং অনলাইনে সেরে ফেলতে পারেন। বাজারের ভীড় ঠেলে শপিং করতে গিয়ে নিজেকে ও পরিবারকে করোনার অনাকাঙ্ক্ষিত বিপদের মুখে তো ঠেলে দিতে পারেন না। তাই নিজেকে সুরক্ষিত রাখতে অনলাইন শপিং এর কোন বিকল্প নেই এখন। আর বাংলাদেশে নিরাপদ ও সুরক্ষিত অনলাইন শপিং এখন কেবলমাত্র দারাজেই সম্ভব।

পাঞ্জাবির জনপ্রিয় ব্র্যান্ড সমূহ এক কাতারে

এখন বিভিন্ন দোকান ঘুরে ঘুরে পাঞ্জাবি কেনার দিন শেষ, জনপ্রিয় সকল ব্র্যান্ডের পাঞ্জাবি কালেকশন খুঁজে পাবেন একই প্ল্যাটফর্ম দারাজে! বিভিন্ন মনোমুগ্ধকর ডিজাইনের মধ্য থেকে আপনার পছন্দের সেরা পাঞ্জাবিটি অর্ডার করতে পারবেন এক ক্লিকে। পছন্দের সবগুলো ব্র্যান্ডের পোশাক এখন দারাজ মলেও খুঁজে পাওয়া সহজ।

আশানুরূপ গুণগত মানের নিশ্চয়তা

বাংলাদেশে অনলাইন শপিং এর ক্ষেত্রে এখন শত ভাগ আস্থা রাখা সম্ভব দারাজেই। দারাজের আওতাধিন দারাজ মল দিচ্ছে ১০০% অরিজিনাল পণ্যের নিশ্চয়তা। তাই পণ্যের গুণগত মান নিয়ে সংশয় এর কোন অবকাশ নেই। এই ঈদে দারাজ মলের যেকোন একটি ব্র্যান্ড থেকে পছন্দের পাঞ্জাবি অর্ডার করতে পারেন নিশ্চিন্তে।

লোভনীয় ব্র্যান্ড ডিল

বরাবরের মত এবারও দারাজ ঈদ ক্যাম্পেইনে থাকছে বিভিন্ন লোভনীয় ব্র্যান্ড ডিল। পাঞ্জাবি অর্ডার করার সময়ে নির্দিষ্ট ব্র্যান্ড ভাউচার ব্যবহার করে পেয়ে যেতে পারেন বিশেষ ছাড়, যা পছন্দের পাঞ্জাবি কেনাকে আরও সহজ করে তুলবে।

আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট অফার

দারাজের যেকোন বড় ক্যাম্পেইন মানেই ডিসকাউন্টের ছড়াছড়ি, এই বিশেষ ধারাটি এবারও অব্যাহত থাকছে দারাজ ঈদ ক্যাম্পেইনে। ব্র্যান্ড ভাউচারের পাশাপাশি থাকছে লাভজনক দারাজ ভাউচার, কালেক্টিবল ভাউচার, মেগা ডিল ও পেমেন্ট পার্টনার অফার সহ অন্যান্য অসংখ্য আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট অফার। তাই ঈদের পাঞ্জাবির পাশাপাশি অন্যান্য ঈদ ড্রেস কেনার সুবর্ণ সুযোগ হাতছাড়া করতে চাইবেন না নিশ্চয়।

দ্রুততম হোম ডেলিভারি

এদেশের ই-কমার্স ইতিহাসে সবচেয়ে দ্রুততম হোম ডেলিভারি সিস্টেমের প্রবর্তক যে দারাজ, এতে সন্দেহের কোন অবকাশ নেই। তাই ঈদের পাঞ্জাবি ছাড়াও পছন্দের অন্য পণ্যটি অর্ডার করে দ্রুত হোম ডেলিভারি উপভোগ করুন নিশ্চিন্তে ঘরে বসে। উল্লেখ্য, শর্তসাপেক্ষে ক্যাম্পেইন চলাকালিন সময়ের যেকোন দিনে উপভোগ করতে পারবেন সম্পূর্ণ ফ্রি ডেলিভারি সারা দেশ জুড়ে। তাছাড়া কিছু ব্র্যান্ড ফ্রি শিপিং অফার তো আপনার জন্য থাকছেই। এখন প্রত্যেকটি পণ্য পর্যাপ্ত স্যানিটাইজ অথবা ডিজইনফেক্ট করে শতভাগ নিরাপদ হোম ডেলিভারি প্রদান করে যাচ্ছে দারাজ।

পছন্দের পাঞ্জাবি অর্ডার করতে পাঞ্জাবির তালিকাতে থাকা নামে ক্লিক করুন

পাঞ্জাবির তালিকাপাঞ্জাবির ব্র্যান্ডপাঞ্জাবির সাইজপাঞ্জাবির দাম
ছেলেদের সুতির পাঞ্জাবিএলিগেন্স৩৮, ৪০, ৪২, ৪৪২,১৯০/-
ছেলেদের সিল্কের পাঞ্জাবির ন্যাশন৩৬, ৩৮, ৪০, ৪২, ৪৪২,৩১১/-
ছেলেদের লিনেন পাঞ্জাবিমাসকুলিন৩৬, ৩৮, ৪০, ৪২, ৪৪২,০৯০/-
ছেলেদের ধুপিয়ান পাঞ্জাবিআলভিনা৩৮, ৪০, ৪২৮৯০/-

দারাজ ঈদ শপিং ফেস্ট ক্যাম্পেইন থেকে সাধ্যের সর্বোচ্চটা বুঝে নিন সানন্দে! দারাজ অনলাইন শপ থেকে বাছাইকৃত ১০০% অরিজিনাল পাঞ্জাবি কিনুন ঘরে বসে।

“ঈদ মোবারক”

সেরা ডিজাইনের পাঞ্জাবি কিনতে চোখ রাখুনঃ

ইফতারের সময় কোনভাবেই কুলিয়ে উঠতে পারছেন না? দেখে নিন সহজ ৬ টি সমাধান!

রমজানুল মুবারক! পবিত্র মাহে রমজান মাসে ইবাদত-বন্দেগি সহ অনেকরই বিভিন্ন রকম কর্ম-ব্যস্ততা থাকে। এর মধ্য থেকে ইফতার গোছানোর জন্য পর্যাপ্ত সময়ের সংকুলান সকলের জন্যই সবসময় সম্ভব হয়ে ওঠে না। অধিকাংশ ক্ষেত্রে মাগরিবের আযানের আগেই টেবিলে সব খাবার পরিবেশন করা বিরাট চ্যালেঞ্জ মনে হতে পারে। তবে এত সব ঝামেলা থেকে রেহাই পেতে আপনাদের জন্য থাকছে খুবই সহজ ও ঝটপটে ইফতার বানানোর কিছু কৌশল। যার মাধ্যমে অতি দ্রুত সময়ে একদিকে যেমন আপনার সব ইফতার আইটেম প্রস্তুত হয়ে যাবে, অন্যদিকে ইবাদহ সহ অন্য গুরুত্বপূর্ণ কাজের জন্য বাঁচবে কিছু মূল্যবান সময়!

রমজানের দরকারি গ্রোসারি পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে কিনুন অনলাইনে

কম সময়ে ইফতার বানানোর কিছু দ্রুত ও সহজ রেসিপি দেখে নিনঃ

পিয়াজু বা পিয়াজি ঝটপট বানিয়ে ফেলুন

রমজান মাসে সারাদিন রোজা রাখার পর ইফতারের টেবিলে পিয়াজু না পেলে ভাল লাগবে? তবে এত বেশি চিন্তার কিছু নেই, পিয়াজি এখন খুব সহজ উপায়ে বানাতে পারবেন ঘরে বসে!

পিয়াজু রেসিপি – উপকরণঃ

  • যেকোন ডাল (প্রয়োজন মাফিক)
  • পেঁয়াজ
  • ডিম
  • কাঁচা মরিচ
  • জিরা গুঁড়া (আধা চা চামচ)
  • রসূন বাটা (আধা চা চামচ)
  • রাঁধুনি গরম মসলার গুঁড়া
  • খাবার সোডা (এক চিমটি)
  • হলুদ (পরিমাণ মাফিক)
  • লবণ (পরিমাণ মাফিক)

পিয়াজু রেসিপি – প্রস্তুত প্রণালীঃ

মসুর ডাল অথবা যেকোন ডাল পানিতে ভিজিয়ে নরম করে ব্লেন্ডার এর মাধ্যমে অথবা শিলপাটায় বেটে নিন। গরম মসলা, লবণ, হলুদ, কাঁচা ডিম ও খাবার সোডার সাথে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি, ডাল, জিরা গুঁড়া ও রসূন বাটার মিশ্রণটি ভালভাবে মাখিয়ে নিন। প্যান অথবা লোহার কড়াইয়ে গরম তেলের মধ্যে বাদামি হওয়ার আগ পর্যন্ত ভাঁজতে থাকুন, এরপর লাল কালার চলে আসলে গরম গরম পিয়াজু ডাইনিং টেবিলে পরিবেশন করুন।

আলুর চপ খুব সহজে বানিয়ে ফেলুন

ইফতারের প্লেটে পিঁয়াজুর পাশাপাশি আলুর চপ না থাকলে কি ইফতার জমে? তাই আপনার ইফতারেও একটা দেশি ফ্লেভার যোগ করতে বানিয়ে ফেলুন আলুর চপ খুব সহজে।

আলুর চপ রেসিপি – উপকরণঃ

  • আলু সিদ্ধ (পরিমাণ পছন্দানুসারে)
  • ডিম
  • পেঁয়াজ কুঁচি
  • ধনিয়াপাতা কুঁচি
  • কাঁচামরিচ কুঁচি
  • রসুন বাটা (পরিমাণ মত)
  • জিরা গুঁড়া (পরিমাণ মত)
  • ধনিয়া গুঁড়া (পরিমাণ মত)
  • পাঁচফোড়ন বাটা ১-২ চা চামচ
  • লবণ (পরিমাণ মত)
  • তেল (১ টেবিল চামচ)
  • টেস্টিং সল্ট (পরিমাণ মাফিক)

আলুর চপ রেসিপি – প্রস্তুত প্রণালীঃ

আলু সিদ্ধ করে ভালভাবে ভর্তা করে নিন। প্যানে সামান্য তেলে পেঁয়াজ ও কাঁচামরিচ কুঁচির সাথে ডিম ভেজে নিন, মসলা গুলো মিশিয়ে কিছুক্ষণ নাড়াচড়া করে নামিয়ে ফেলুন। এগুলোর সাথে আলু ভর্তা ও ধনিয়া পাতা মিশিয়ে ভাল করে মেখে চপ তৈরী করে ফেলুন। 

ঘুগনি তৈরী করুন বাসায় বসে

ইফতারে মুড়ির সাথে ঘুগনি খেতে ইচ্ছা হলে সেই ইচ্ছা পূরণ হবে এখন বাসাতে। খুব সহজে এবং অল্প সময়ে এই মজাদার ঘুগনি বানিয়ে ফেলা সম্ভব।

ঘুগনি রেসিপি – উপকরণঃ

  • মটর ডাল (প্রয়োজন অনুসারে)
  • আলু 
  • টমেটো
  • পেঁয়াজ
  • কাঁচামরিচ
  • আদা বাঁটা (১ চা চামচ)
  • রসূন বাঁটা (১ চা চামচ)
  • জিরা গুঁড়া (পরিমাণ মাফিক)
  • হলুদ গুঁড়া (পরিমাণ মাফিক)
  • লবণ (পরিমাণ মাফিক)
  • সরিষার তেল (পরিমাণ মাফিক)

ঘুগনি রেসিপি – প্রস্তুত প্রণালীঃ

কমপক্ষে ৮ ঘন্টা যাবত ভেজানো মটর ডাল খুব ভাল করে সিদ্ধ করে নিতে হবে। প্যানে গরম তেলে পেঁয়াজ কুঁচি, টমেটো ও আলু কুঁচি এবং আদা ও রসূন বাটা দিয়ে নাড়তে হবে। মটর ডাল সিদ্ধ হলে কাঁচামরিচ সহ লবণ, হলুদ গুঁড়া ও জিরা গুঁড়া মিশিয়ে ভালভাবে কষিয়ে নিতে হবে। এরপর পরিমাণ মত পানি দিয়ে কিছুক্ষণ ঢেকে রাখুন, পানি শুকিয়ে মাখো মাখো অবস্থায় আসলে নামিয়ে ফেলুন।  

মজাদার হালিম রান্না এখন আরও সহজ

এই রমজানে হালিম খেতে যদি খুব বেশি ইচ্ছা করে, নিরাশ হওয়ার কিছু নেই। দোকানের হালিমের থেকেও আরও স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে হালিম রান্না করা সম্ভব খুব সহজে ঘরে বসেই।

হালিম রেসিপি – উপকরণঃ

মুগ, মাসকলাই ডাল, মসুর ডাল আর পোলাও চালপরিমাণ মাফিক
মাংস১ কেজি কিংবা অধিক
পিঁয়াজ৩-৪টি (বেরেস্তা করার জন্য)
পেঁয়াজ বাটা২ টেবিল চামচ
আদা বাটা২ টেবিল চামচ
রসুন বাটা২ টেবিল চামচ
হলুদ ও মরিচ গুঁড়া২টা মিলিয়ে ২ টেবিল চামচ
গরম মশলা গুঁড়া১ টেবিল চামচ
জিরা গুঁড়া২ চা চামচ
ধনিয়া গুঁড়া২ চা চামচ
ধনিয়া পাতা কুচিপরিমাণ মতো
আদা কুচিপরিমাণ মতো
তেলপরিমাণ মতো
লবণপরিমাণ মতো

হালিম রেসিপি – রান্নার ধরণ

প্রথমে মুগ ডাল, মাসকলাই ডাল, মসুর ডাল আর পোলাও চাল মিলিয়ে আধা কেজির মত পরিমাণের সাথে এক কাপ পরিমাণ গম রেডি করুন। এসব উপাদান শিল পাটায় অথবা ব্লেন্ডারে গুঁড়ো করে নিন।

এরপর মাংসের সাথে সব মশলা মিশিয়ে কমপক্ষে আধাঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। বড় পাতিলে তেল দিয়ে মাখানো মাংসের পিসগুলা কিছুক্ষণ নাড়াচাড়া করুন। এখন গুড়ো করে রাখা সব ডাল ও গম এর মিশ্রণটি ৫ কাপ গরম পানি ও মশলার সাথে মিশিয়ে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে নিন। 

এভাবে ঠিক অল্প আঁচে ১ ঘন্টা যাবত রান্না করুন এবং মাঝে মাঝে নাড়তে থাকুন। কিছুক্ষণ পরে ঘন হয়ে আসলে নামিয়ে ফেলুন। হালিম পরিবেশনের সময় উপরে ধনিয়া পাতা ও আদা কুচি, কাঁচা মরিচ এবং পেঁয়াজ বেরেস্তা দিয়ে পরিবেশন করতে পারেন।

শরবত মিক্স রেডি হবে চোখের পলকে

আপনার ইফতার মেন্যুতে এত এত সুস্বাদু পদের ভিড়ে কোন শরবত না থাকলে কি চলে? শরবত ছাড়া ইফতার তো অনেকটা সুপারি ছাড়া পানের মত! আর শরবত বানানোর মত এত সহজ কাজ তো ঝামেলা মনে করে এড়িয়ে যাওয়ার মত নয়।

শরবত রেসিপি – উপকরণঃ

  • পরিমাণ মত পানি
  • চিনি
  • লেবু
  • সামান্য লবণ
  • যেকোন শরবত আইটেম

শরবত রেসিপি – বানানোর উপায়

একটি পাত্রে পরিমাণ মত পানি নিয়ে পর্যাপ্ত চিনি গুলিয়ে নিন। এরপর লেবু নিঙড়ানো রস এর সাথে সামান্য লবণ মিশিয়ে নিন। আপনার পছন্দানুসারে এই মিশ্রণে রুহ আফজা, ট্যাং সহ যেকোন শরবত আইটেম মেশাতে পারেন, মিশ্রণটি পানিতে পুরোপুরি মিশে যাওয়া অবধি নাড়তে থাকুন। ব্যাস হয়ে গেল আপনার স্বাদ মুখে লেগে থাকার মত ঝটপট শরবত! 

দই চিড়া রেডি করুন এক নিমিষে

সারাদিন রোজা রাখার পর দই চিড়া খেতে ইচ্ছা করছে? তবে সেই ইচ্ছা কেন মাটি হবে? যেহেতু পেট ঠান্ডা রাখার মত উপকার এটাতে বিদ্যমান এবং প্রস্তুত প্রণালীও খুব সোজা, তাই কপালে চিন্তার ভাজ না ফেলে দই চিড়া বানাতে বসে যাওয়াই ভাল।

দই চিড়া রেসিপি – যা লাগবেঃ

  • চিড়া পরিমাণ অনুসারে
  • দই পরিমাণ মত
  • কলা (পছন্দ অনুসারে)
  • চিনি পরিমাণ মত
  • লবণ সামাণ্য পরিমাণে

দই চিড়া রেসিপি – বানাবেন যেভাবেঃ

একটি পাত্রে পরিমাণ অনুসারে আগে থেকে ভেজানো চিড়া ও দই নিন। পছন্দ অনুসারে কিছু কলা স্লাইস করে কেটে দিন। পরিমাণ মত চিনি ও খুব সামাণ্য পরিমাণে লবণ মিশিয়ে নিন। এখন আপনার স্টাইলে এটা মিক্স করে খাওয়ার উপযোগী করে নিন। কি খুব সহজ না? ওহ সাথে কয়েকটি খেজুর রাখতে ভুলবেন না কিন্তু!

আপনার ইফতার কি এখন রেডি? তাহলে রমজানের আরও কিছু গ্রোসারি পণ্য সামগ্রী কিনতে চোখ রাখতে পারেন দারাজ রমজান বাজার সেল ক্যাম্পেইনে। সুলভ মূল্যে সব ধরনের গ্রোসারী কিনতে ভিজিট করুন দারাজ মার্ট। 

দারাজ রমজান বাজার ২০২৩ (আকর্ষণীয় অফার ও ডিসকাউন্ট)

আরও দেখুন,

 রমজানের গ্রোসারি শপিং কেন ডি মার্ট থেকে করবেন?