কিভাবে সহজে দারাজে পণ্য ফেরত দিয়ে টাকা রিফান্ড পাবেন?

অনেকেই অনলাইনে অর্ডার করতে সংকোচ বোধ করেন। একটা বড় কারণ- দুর্ঘটনাবশত যদি আপনাকে ভুল পণ্য কিংবা ত্রুটিপূর্ণ পণ্য ডেলিভার করা হয়- তাহলে কি করবেন? আশঙ্কাটা অমূলক নয়, যেহেতু অনলাইন কেনাকাটায় এমনটা হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাছাড়া ততক্ষণে আপনি পণ্যের দামও মিটিয়ে দিয়েছেন। তাই ভুল পণ্য ফেরত দিয়ে কিভাবে রিফান্ড পাবেন তা নিয়ে অনেকেই দুশ্চিন্তা করেন। কিন্তু দারাজ বাংলাদেশের সহজ ও শক্তিশালী রিফান্ড পলিসি আপনাকে দিচ্ছে অতি সহজে ও দ্রুত অনাকাঙ্ক্ষিত পণ্য ফেরত দিয়ে মূল্য ফেরত পাবার সুবিধা।

চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক দারাজে কিভাবে পণ্য ফেরত দিয়ে সহজেই রিফান্ড পেতে পারেন-

১) দারাজ অ্যাপে লগিন করে ACCOUNT অপশনে যান।

২) MY ORDER সেকশনের VIEW ALL এ ক্লিক করুন। এখানে আপনার করা আগের সকল অর্ডারের তালিকা দেখতে পাবেন। 

৩) যে পণ্যটি ফেরত দিতে চান তার নামের নিচের RETURN অপশনটিতে ক্লিক করুন।

how to return product on daraz

৪) এবার রিটার্ন রিকোয়েস্ট কর্মে পণ্যটি ফেরত দেয়ার কারণ ও ড্রপ অফ সিলেক্ট করে আপনার নিকটস্থ ড্রপ অফ পয়েন্টটি সিলেক্ট করুন।

>> এখন ঘরে বসেই হবে দরকারি গ্রোসারি পণ্যের সেরা শপিং <<

how to return product on Daraz

৫) এবার RETURN METHOD এ ভাউচার কিংবা ব্যাংক ট্রান্সফার সিলেক্ট করুন। 

৬) BANK TRANSFER এর মাধ্যমে নিজের ব্যাংকের নাম, ব্যাংক একাউন্ট নাম, নাম্বার ও কোন ব্রাঞ্চ তা সিলেক্ট করে কনফার্ম করুন। 

৭) সফলভাবে রিটার্ন রিকোয়েস্ট সম্পন্ন হলে আপনাকে অর্ডার নাম্বার, ট্র্যাকিং নাম্বার প্রভৃতি তথ্যসহ একটি RA Code RN  নাম্বার দেয়া হবে। 

how to return product on Daraz

৮) উক্ত তথ্যগুলো হাতে লিখে আপনার পণ্যের বক্সে লেবেল লাগিয়ে পূর্বের বাছাই করা নিকটবর্তী দারাজ ড্রপ অফ পয়েন্টে দিয়ে এলেই দ্রুততম সময়ে আপনার পছন্দের মাধ্যমে রিফান্ড পৌঁছে যাবে আপনার কাছে।

মনে রাখবেন, পণ্যভেদে দারাজ ৭ দিন থেকে ১৪ দিনের রিটার্ন পলিসি কার্যকর রাখে। আপনাকে অবশ্যই ঐ সময়ের মধ্যে পণ্যটি রিটার্ন করতে হবে। এছাড়া এই রিটার্ন পদ্ধতি সম্পূর্ণ ফ্রি যার মাধ্যমে আপনার প্রদান করা শিপিং ফি-ও রিফান্ড করা হবে। তাহলে আর দেরি কেন? এখন দারাজের সঙ্গে অনলাইন কেনাকাটা আরো জমে উঠুক দারুণ অভিজ্ঞতায়।

 

এছাড়া আরো দেখতে পারেন,
যেভাবে সহজে দারাজ অ্যাপ থেকে শপিং করবেন

কিভাবে দারাজ অ্যাপ থেকে শপিং করবেন?

নতুন দারাজ অ্যাপে শপিং হবে এখন আরো সহজে। কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন দারাজ মোবাইল অ্যাপ হতে পারে অনলাইন কেনাকাটায় আপনার বিশ্বস্ত সঙ্গী। এখন সহজ কিছু ধাপে অর্ডার করলেই আঙ্গুলের ডগায় হাজির হওয়া বিশাল পণ্যতালিকা থেকে আপনার ঘরের দরজায় হাজির হবে পছন্দের সেরা পণ্যটি। বিশেষভাবে জনপ্রিয় দারাজ ক্যাম্পেইন উপলক্ষে দারুণ সব ডিল অপেক্ষা করছে আপনার জন্য, জানতে এখনই ভিজিট করুন বিশ্বের সবচেয়ে বড় অনলাইন শপে।

অ্যাপ থেকে সহজে শপিং করার পদ্ধতি

চলুন একনজরে দেখে নেয়া যাক দারাজ অ্যাপের মাধ্যমে কিভাবে অতি সহজে সারতে পারবেন অনলাইন শপিং

১) আপনার ফোনে যদি এখনও নতুন দারাজ অ্যাপটি না থাকে তবে দ্রুত গুগল প্লেস্টোরের এই ঠিকানায় গিয়ে ইনস্টল করে নিন কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন এই অত্যাধুনিক অ্যাপটি।

daraz-app (দারাজ অ্যাপ)

২) এবার দারাজ অ্যাপটি ওপেন করে উপরের সার্চবার কিংবা ব্যানারের নিচে একেবারে ডান কোণার লাল কালি চিহ্নিত ‘ধরণ’ বা ‘Categories’ মেনুর মাধ্যমে পছন্দের পণ্যটি বেছে নিয়ে ক্লিক করুন।

daraz-app (দারাজ অ্যাপ)

৩) যেখানে আপনার পণ্য ডেলিভারি দেয়া হবে সেই ঠিকানা যদি পরিবর্তন করতে চান, তবে প্রোডাক্ট পেইজে ডেলিভারি অপশনের নিচের দেয়া ঠিকানার পাশে ‘পরিবর্তন করুন’ বা ‘CHANGE’ বাটনে ক্লিক করে সহজেই ডেলিভারির ঠিকানা পরিবর্তন করে নিতে পারেন। তারপর নিচের ‘এখনই কিনুন’ বা ‘Buy Now’ বাটনে ক্লিক করে চেকআউট পেইজে যান।

daraz-app (দারাজ অ্যাপ)

৪) এবার চেকআউট পেইজের নিচের দিকে লাল কালি চিহ্নিত ঘরে ভাউচার কোডটি (যদি থাকে) লিখে ‘প্রযোজ্য’ বা ‘APPLY’ বাটনে ক্লিক করুন। এরপর একেবারে নিচের ‘অর্ডার প্লেস করুন’ বা ‘Place Order’ বাটনে ক্লিক করুন।

daraz-app (দারাজ অ্যাপ)

৫) এবার পেমেন্ট মেথড সিলেকশন পেইজের তিনটি অপশন ‘ক্রেডিট/ডেবিট কার্ড’, ‘বিকাশ’ ও ‘নগদ মূল্যে ডেলিভারি (ক্যাশ অন ডেলিভারি)’-এর মধ্য থেকে নিজের সুবিধানুযায়ী মূল্য পরিশোধের মাধ্যমটি নির্বাচন করুন।

daraz-app (দারাজ অ্যাপ)

৬) নির্বাচিত মেনুর মাধ্যমে নির্দিষ্ট পেমেন্ট পেইজে গেলে একেবারে নিচে ‘এখন পরিশোধ করুন’ বা ‘Pay Now’ বাটন দেখতে পাবেন। ক্যাশ অন ডেলিভারির ক্ষেত্রে সেখানে ক্লিক করলেই আপনার অর্ডারটি সফলভাবে গ্রহণ করে আপনাকে একটি অর্ডার নাম্বার প্রেরণ ও কবে নাগাদ আপনার অর্ডারটি ডেলিভার করা হবে তা জানিয়ে দেয়া হবে। ভবিষ্যতের জন্য অর্ডার নাম্বারটি সংরক্ষণ করুন। সেই সাথে আপনার ফোনে বা মেইলে একটি কনফার্মেশন মেসেজ পৌঁছে যাবে।

daraz-app (দারাজ অ্যাপ)

৭) এছাড়া বিকাশ পেমেন্ট মেথড নির্বাচন করলে পরবর্তী পেইজে আপনার অর্ডারটি গ্রহণ করে একটি রেফারেন্স নাম্বার প্রদান করা হবে। এরপর পেইজের নিচে উল্লেখিত পেমেন্টের নিয়মাবলিসমূহ অনুসরণ করে নিজের মোবাইল থেকে উক্ত রেফারেন্স নম্বরটি ব্যবহার করে বিকাশে পেমেন্ট করুন। 

daraz-app (দারাজ অ্যাপ)

কিংবা ডেবিট অথবা ক্রেডিট কার্ড নির্বাচন করে পরের পেইজে আপনার কার্ডের প্রয়োজনীয় তথ্যাদি দিয়ে কার্ডে অনলাইন পেমেন্ট নিশ্চিত করুন।

daraz-app (দারাজ অ্যাপ)

অভিনন্দন! আপনি সফলভাবে দারাজ বাংলাদেশে পছন্দের পণ্যটি অর্ডার করে ফেলেছেন। এরপর আপনাকে আর শুধু একটা কাজই করতে হবে, পছন্দের পণ্যটি দরজায় টোকা দেবার আগ পর্যন্ত অপেক্ষা। বুঝতেই পারছেন- এবার নিরাপদ অনলাইন শপিং হবে আরো দ্রুত গতিতে, আরো সহজে, দারাজ মোবাইল অ্যাপে। হ্যাপি শপিং !

অবিশ্বাস্য সব ডিল নিয়ে আবারও শুরু হল দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইন ২০২৩!

দেশের গ্যাজেটপ্রেমীদের জন্য দারাজে আবারও আয়োজন করা হয়েছে দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক ২০২৩ ক্যাম্পেইন। দারাজ এর এই সেরা ক্যাম্পেইন মানেই কিছু স্পেশাল। গ্রাহকদের এমন প্রত্যাশাকে সামনে রেখে এবারও বিভিন্ন আকর্ষণীয় অফার, ভাউচার, মূল্যছাড়, ফ্ল্যাশসেল ও মেগা ডিল নিয়ে সাজানো হয়েছে দেশের স্বনামধন্য এই ইলেকট্রনিক্স ক্যাম্পেইনটি। দেশের বৃহত্তম অনলাইন শপ দারাজের ইলেকট্রনিক্স উইক সেল শুরু হতে যাচ্ছে মে ২৫, ২০২৩ তারিখে এবং এই ক্যাম্পেইন চলবে ২ জুন, ২০২৩ পর্যন্ত।

দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইকের চমৎকার সব ডিলস ও অফার ২০২৩

একপলকে দেখে নিন এবার ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইনে থাকছে যে অফার এবং ডিলস গুলো-

  • বাজেটের কেনাকাটা (<৪৯৯ টাকা ডিল, <৯৯৯ টাকা ডিল, <১৪৯৯ টাকা ডিল)
  • লাইভস্ট্রিম দেখুন এবং কিনুন
  • কার্টে যোগ করুন এবং ভাউচার উপভোগ করুন
  • বিক্রেতা/ব্র্যান্ড ভাউচার
  • ফ্ল্যাশ সেল
  • মেগা ডিল
  • হট ডিল
  • শেক শেক
  • পেমেন্ট পার্টনার ডিসকাউন্ট
  • বিকাশ ক্যাশব্যাক অফার
  • ১ম প্রিপেমেন্ট অর্ডার ৫০% ছাড়
  • নতুন ব্যবহারকারীর জন্য উপহার
  • ফায়ারওয়ার্ক ভাউচার
  • মেগা ভাউচার
  • কালেকটিভ ভাউচার
  • দারাজ এক্সক্লুসিভ ভাউচার
Electronics week offers 2023 on Daraz

অনলাইন পেমেন্টে বাড়তি ডিসকাউন্ট

ইলেকট্রনিক্স উইকে দারাজের পেমেন্ট পার্টনার ব্যাংকগুলোর মাধ্যমে কার্ডে লেনদেন করলেই মিলবে সকল পণ্যের উপর বিশেষ ছাড়। দারুণ এইসব অফার উপভোগ করতে আজই আপনার ব্যাংক কার্ডটি অ্যাকটিভ করে প্রস্তুত রাখুন অতিরিক্ত ছাড়ের জন্য। তাছাড়া কেনাকাটার সময়ে বিকাশ এর মাধ্যমে পেমেন্ট করলেই নির্ধারিত ক্যাশব্যাক পৌছে যাবে গ্রাহকের অ্যাকাউন্টে। নিরাপদ অনলাইন লেনদেন ও সেরা অফারের কেনাকাটা এখন মিলবে এক বিন্দুতেই- দারাজ অনলাইন শপিং স্টোরে।

Cashback offers on prepayment on daraz electronics week 2023

মেগা অফার – মেগা ভাউচার

ইলেকট্রনিক্স উইক চলাকালে দারাজের গ্রাহকদের জন্য বিশেষ ডিসকাউন্ট অফার ছাড়াও থাকছে মেগা ভাউচার ও কালেক্টিবল ভাউচারের মাধ্যমে বিশাল মূল্যছাড় জিতে নেওয়ার সুবর্ণ সুযোগ। দারাজ অ্যাপ থেকেই জিতে নিতে পারবেন অসাধারণ সব ডিল। এছাড়া দারাজের জনপ্রিয় কালেক্টিবল ভাউচারের মাধ্যমে এখন আপনি একসাথে অনেকগুলো ভাউচার সংগ্রহ করে অ্যাপ্লাই করতে পারবেন পছন্দের পণ্য কেনাকাটার সময়ে।

মেগা ডিল ও হট ডিল

দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইনে অনন্য আকর্ষণ হিসেবে থাকছে মেগা ডিল ও হট ডিল। এসব ডিলের আওতায় গ্রাহকেরা পাবেন বিশেষ ছাড়। কোন পণ্যে মেগা ডিল ও হট ডিল খুব সহজেই উপভোগ করা সম্ভব, জানতে ভিজিট করতে পারেন ক্যাম্পেইন পেজ অথবা দারাজ হোম পেজ থেকেও তথ্য সমূহ বুঝে নিতে পারেন।

ডিসকাউন্টের পাশাপাশি থাকছে ফ্ল্যাশ সেল

দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক ক্যাম্পেইন চলাকালীন সময়ে থাকবে আকর্ষণীয় ফ্ল্যাশ সেল। বিভিন্ন নামী ব্র্যান্ডের জনপ্রিয় মোবাইল ফোন সহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক্স পণ্য ও এক্সেসরিজ আকর্ষণীয় ছাড়ে কিনতে পারবেন এই ফ্ল্যাশ সেল থেকে।

দারাজে নিত্য প্রয়োজনীয় ইলেকট্রনিক্স পণ্যের দাম দেশের অন্যান্য অনলাইন এমনকি অফলাইন মার্কেটের চেয়ে অপেক্ষাকৃত সস্তা। এছাড়া ইলেকট্রনিক্স উইক চলাকালীন সময়ে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট অফার ও ডিসকাউন্ট ভাউচারের মাধ্যমে সবচেয়ে কম দামে যেকোন গ্যাজেট কিনে উপভোগ করতে পারবেন সবচেয়ে দ্রুততম হোম ডেলিভারি। তাই আর দেরি না করে এখনই ডাউনলোড করুন দারাজ মোবাইল অ্যাপ। আর ইলেকট্রনিক্স উইকের অভাবনীয় ডিলগুলো থেকে সেরা ডিলটি লুফে নিতে এখনই ভিজিট করুন দারাজ ইলেকট্রনিক্স উইক (২০২৩) ক্যাম্পেইন পেজে।

নববর্ষে বৈশাখী সাজ – ফ্যাশনে পহেলা বৈশাখ ১৪৩০

নানা রঙে, নানা রুপে আবার এলো পহেলা বৈশাখ

দেখতে দেখতে আরেকটা বছর চলে গেল। চলে এলো ১৪৩০ বঙ্গাব্দ। প্রকৃতি যেন অধীর আগ্রহে গ্রীষ্মের আগমনের অপেক্ষা করছে। একটু খেয়াল করলেই দেখা যাবে গাছে গাছে ফুটেছে আমের মুকুল। রোদের তাপটাও যেন আস্তে আস্তে প্রখর হয়ে উঠছে। প্রকৃতির সাথে চলছে মানুষেরও নিজেদেরকে নতুন আঙ্গিকে দেখার প্রস্তুতি। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষ্যে অনেকেই হয়ত এরই মধ্যে বন্ধুদের সাথে ঘুরে বেড়ানোর পরিকল্পনা করেছেন, আবার অনেকেই হয়ত পরিবার-পরিজনদের সাথে নিরিবিলি সময় কাটানোর কথা ভাবছেন। প্ল্যান যাই হোক, উৎসবের আমেজ অনুভব করতে সাজসজ্জা আর পোশাক-আশাক বিশাল একটা ভূমিকা পালন করে। তাই বৈশাখী ফ্যাশনের নানান আইডিয়া নিয়ে সাজানো হয়েছে এই পোস্ট।

pohela boishakh online

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে মেয়েদের ফ্যাশন

বছরের প্রথম দিন নারীরা হালকা রঙের কটন অথবা সিল্কের আটপৌরে মেয়েদের শাড়ি কিংবা সালোয়ার কামিজ বেছে নিতে পারেন। এছাড়া ফ্যাশন সচেতন তরুণীরা পরতে পারেন কুর্তি। গ্রীষ্মের তীব্র দাবদাহে এসব রঙ এনে দিতে পারে স্বস্তি। বেছে নিতে পারেন হালকা গোলাপি, হালকা সবুজ কিংবা চিরাচরিত লাল পেড়ে সাদা শাড়ি। দিনের বেলার সাজের জন্য ট্রাই করতে পারেন ট্রেন্ডি “নো-মেকাপ” মেকাপ। হালকা কমপ্যাক্ট পাউডার, মাস্কারা, ব্লাশন এবং ন্যুড লিপস্টিক দিয়ে পেতে পারেন স্নিগ্ধ, নমনীয় একটা লুক। যদি গ্ল্যামারাস লুক চান সেক্ষেত্রে রাতের বেলার অনুষ্ঠানে জমকালো সাজে হয়ে উঠতে পারেন অনন্যা। ব্যবহার করতে পারেন আইশ্যাডো, হাইলাইটার এবং গাঢ়  লিপস্টিক আর জামদানী শাড়ি অথবা কাতান শাড়ি পরতে পারেন।

মেয়েদের শারি
মেয়েদের গহনা বৈশাখী সাজে

মেক আপ বক্স কিনুন বৈশাখে

মেয়েদের জুতা

হালকা গহনা আপনার সাজ পরিপূর্ণ করে তুলবে। পরতে পারেন হাতভর্তি কাঁচের চুড়ি, মেয়েদের আংটি আর সাথে সিলভার বা গোল্ড ঝুমকা কানের দুল এবং মেয়েদের নেকলেস চেইন সহ অন্যান্য জুয়েলারি। সাজে কিছুটা অন্য মাত্রা যোগ করতে চুলে জড়িয়ে নিতে পারেন একগুচ্ছ সুবাসিত ফুল কিংবা হেয়ার স্ট্রেটনার বা কার্লার দিয়ে করে নিতে পারেন সুন্দর সব হেয়ারস্টাইল। এই ছাড়া পোশাকের অনুষঙ্গ হিসেবে মানানসই ব্যাগ, মেয়েদের জুতা, সানগ্লাস আর মিষ্টি গন্ধের পারফিউম নাহলে আউটফিট অপূর্ণ রয়ে যায়। তাছাড়া হাতের ঘড়ির ডিজাইন দেখে পছন্দ করতে পারেন সেরা ঘড়িটিও।

মেয়েদের পহেলা বৈশাখী কেনাকাটা অনলাইনে

পহেলা বৈশাখ উদযাপনে ছেলেদের ফ্যাশন

বছরের প্রথম দিন নারীদের পাশাপাশি পুরুষরাও নানান রকম সাজপোশাকে নিজেদের রুচি উপস্থাপন করতে পারেন। এক্ষেত্রে বেছে নিতে পারেন পাঞ্জাবি, কিংবা একটু ভিন্নধর্মী ফতুয়া বা খাটো পাঞ্জাবী এবং সাথে পরতে পারেন ক্লাসিক জিনস বা পায়জামা। তবে এক্ষেত্রে পাঞ্জাবি ডিজাইন ২০২৩ ছবি দেখে দারাজ থেকে সহজেই সংগ্রহ করতে পারেন আপনার পছন্দের পাঞ্জাবিটি।  ট্রেডিশনাল লুকে ভিন্নতা আনতে বেছে নিন স্টাইলিশ ঘড়ি, সানগ্লাস আর স্লিপার। ব্যবহার করতে পারেন পছন্দের পারফিউম আর নানান ধরনের হেয়ার জেল এবং হেয়ার মুজ ব্যবহার করে পুরুষরাও করতে পারেন নানান হেয়ারস্টাইল।

ছেলেদের পাঞ্জাবী

ছেলেদের জুতা লোফার

ছেলেদের হাত ঘড়ি

ছেলেদের্ চুলের জেল

যদি এখন আপনার মনে হয়, নিজেকে সাজানোর অনেক প্রোডাক্টই আপনার কাছে নেই আর হাতে অঢেল সময়ও নেই দোকানে দোকানে ঘুরে কেনা কাটা করার মতো তাহলে একদম মন খারাপ না করে চলে যান দারাজ ওয়েবসাইটে (daraz.com.bd) এবং ঘরে বসে এক ক্লিকেই সেরে ফেলুন পহেলা বৈশাখ ১৪৩০ সনকে স্বাগত জানানোর প্রস্তুতি। সেরা দামে সেরা পণ্যগুলো আপনার জন্যই নিয়ে এসেছে দারাজ অনলাইন শপ।

ছেলেদের পাঞ্জাবী বৈশাখে

পহেলা বৈশাখ সম্পর্কে আরও পড়ুনঃ
দারাজের সাথে হোক এই বৈশাখের প্রস্তুতি

যেভাবে উদযাপন করতে পারেন এবারের বৈশাখ ১৪৩০

বাঙালির প্রাণের উৎসব পহেলা বৈশাখের ইতিহাস সম্পর্কে কে না জানে? বছর ঘুরে আবারও আসছে বাংলার ঐতিহ্যবাহী সাংস্কৃতিক উৎসব পহেলা বৈশাখ। আবারও সময় আসছে রঙের এই উৎসবে নিজের বাঙালী চিত্তকে আরও রঙ্গিন করে তোলার। তাই, চলুন জেনে নেওয়া যাক এই পহেলা বৈশাখে কেমন হতে পারে বৈশাখী খাবার, পোশাক ও স্টাইল।

ঘরোয়া পরিবেশে পহেলা বৈশাখ

অবশ্যই আগেভাগেই নিজে নিজে ঠিক করে ফেলুন এই পহেলা বৈশাখের দিনটি কিভাবে উদযাপন করবেন। যদি আপনি ভিড়, যানজট, ধুলোবালি এবং প্রখর রোদ থেকে নিজেকে দূরে রাখতে চান, তাহলে নিজের পরিবারের সাথে পান্তা-ইলিশ খেয়ে সকালটা শুরু করতে পারেন। পহেলা বৈশাখ উপলক্ষে প্রায় প্রতিটি টিভি চ্যানেলেই চলে বিশেষ অনুষ্ঠান, পান্তা-ইলিশ খেয়ে পরিবারের সাথে টিভিতে উপভোগ করতে পারেন অনুষ্ঠানগুলো। পান্তা – ইলিশের পর রোদ্র উত্তপ্ত দুপুরে ফ্যান কিংবা এসি ছেড়ে একটা আরামের ভাত ঘুম দিলে কিন্তু মন্দ হয়না। তাছাড়া, পছন্দের ল্যাপটপে মুভি দেখেও আয়েশ করে কাটিয়ে দিতে পারেন দিনটি।

ও হ্যাঁ, বৈশাখী পাঞ্জাবি বা, লাল পাড়ওয়ালা সাদা বৈশাখী শাড়ি পরিধান করে আপনার মোবাইল দিয়ে অথবা, ক্যামেরা দিয়ে আপনার পরিবারের সাথে এই পহেলা বৈশাখের স্মৃতিটি ধারণ করতে ভুলবেন না।

আর আপনার যদি প্ল্যান থাকে এই পহেলা বৈশাখ আপনি আপনার প্রিয়জনদেরকে নিয়ে দিনটি ঘরের বাইরে উদযাপন করবেন এবং নিজেকে রাঙ্গিয়ে তুলবেন বাঙ্গালিয়ানার সব রঙে, তাহলে মনোযোগ দিয়ে পড়তে পারেন নিম্নোক্ত টিপস সমূহ। 

যেভাবে উদযাপন করতে পারেন নববর্ষের প্রথম দিনটি

পহেলা বৈশাখে কিন্তু অন্যান্য দিনের মত সাজলে বাঙ্গালিয়ানাটা ঠিক ষোলয়ানা পরিপূর্ণ হয় না। সেক্ষেত্রে যা যা পড়বেন এই পহেলা বৈশাখে,

মেয়েদের পহেলা বৈশাখ

ঐতিহ্য ধরে রাখতে হলে মসলিন অথবা নেটের শাড়ি, লাল লিপস্টিক, লাল টিপের সাথে খোপা, বেনিতে অথবা, হাতে ফুল আপনাকে শুভ্র ও সতেজ দেখাতে সাহায্য করবে। অথবা, সাদা, লাল, অথবা, সোনালি রঙের শাড়ির সাথে ম্যারুন লিপস্টিক, লাল চুড়ি, লাল জুতো, লাল হ্যান্ডব্যাগ উৎসবের রঙের সাথে আপনার মিল খুঁজে পেতে সাহায্য করবে।

মেয়েদের পহেলা বৈশাখী কেনাকাটা অনলাইনে

আপনি যদি মেয়েদের শাড়িতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ না করে থাকেন, সেক্ষেত্রে সাদা, লাল, গোল্ডেন রঙের সালোয়ার কামিজ অথবা কুর্তি পড়তে পারেন। তার সাথে, চুলে কার্লার, টংস দিয়ে চুল একটু কা্‌‌র্লি করলে আপনার লুককে আসতে পারে ভিন্ন মাত্রা। অথবা, হেয়ার স্প্রে ব্যবহার করে মেসি বান ফুটিয়ে তুলতে পারে আপনার সাজকে।

এক্সেসরিজের মধ্যে পড়তে পারেন, গোল্ডেন ছেলেদের হাত ঘড়ি অথবা ব্রেসলেট এবং রোদ থেকে সুরক্ষায় ছেলেদের সানগ্লাস; সাথে একটু কড়া ঘ্রাণের পারফিউম ও বডি স্প্রে। মেকাপের বেলায়, চোখে হাল্কা মেকআপ আর, পোশাকের রং অনুযায়ী আই লাইনার ব্যাবহার করা উত্তমত

ছেলেদের পহেলা বৈশাখ

ছেলেদের জন্য অবশ্যই বাঙ্গালীর ঐতিহ্যবাহী পোশাক হচ্ছে পাঞ্জাবী ও পায়জামা। তবে প্রখর রোদের কথা বিবেচনায় রাখলে কালো রঙের পাঞ্জাবী এড়িয়ে যাওয়াটাই ভালো। সাদা পাঞ্জাবী পহেলা বৈশাখের জন্য সর্বউৎকৃষ্ট। এর সাথে চামড়ার স্যান্ডেল, ভেস্ট, ঘড়ি, সানগ্লাস আপনার সাজকে করবে পরিপূর্ণ।

pohela boishakh collection for boys

প্রসাধনীর মধ্যে আপনার চুলের জন্য হেয়ার জেল অথবা, ওয়াক্স। আর তার আগের দিন ট্রিমার ব্যাবহার করে আপনার লুককে করুন পারফেক্ট। প্রসাধনী হিসেবে হালকা পারফিউম করলে গরমে সতেজতা বজায় থাকবে।

কিন্তু এত প্রস্তুতি কিভাবে নিবেন?

এবার পহেলা বৈশাখের প্রস্তুতি আপনি নিতে পারবেন ঘরে বসেই। কারণ দারাজ আয়োজন করতে যাচ্ছে দেশের সর্ববৃহৎ অনলাইন বৈশাখী মেলা, দারাজ বৈশাখী মেলা ১৪৩০। অভাবনীয় ছাড়সহ সেরা অনলাইন বৈশাখী কেনাকাটার জন্য ভিজিট করতে পারেন দারাজ পহেলা বৈশাখ এর এই বিশেষ ক্যাম্পেইন।

এছাড়া আরো দেখতে পারেন-
বছরের সবচাইতে বড় অনলাইন বৈশাখী মেলা

২৬ শে মার্চ কেন স্বাধীনতা দিবস?

১৯৪৭ সালের আগস্টে প্রায় ২০০ বছরের শাসনের অবসান ঘটিয়ে ভারতীয় উপমহাদেশ থেকে বিদায় নেয় ব্রিটিশরা। কিন্তু ব্রিটিশদের এই সুদীর্ঘ শোষনের ইতিহাস ‘শেষ হইয়াও যেন হইলো না শেষ’। আর সেই স্বাধীনতা নাটকের শেষ অঙ্কের সূচনা ঘটে ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ- যার মাধ্যমে পশ্চিম পাকিস্তানের কাছ থেকে স্বাধীনতা লাভ করে বাংলাদেশ নামক নতুন এক ভূখণ্ড। 

২৬ শে মার্চ স্বাধীনতা দিবস তা প্রায় সবাই জানে। কিন্তু স্বাধীনতা দিবসের কারণ বা এর পেছনের ইতিহাসটা কি? আমাদের মধ্যে অনেকেই সঠিকভাবে জানে না স্বাধীনতা দিবস কি। অথচ স্বাধীনতার এই সোনালী সূর্য ছিনিয়ে আনার জন্য জীবন দিয়েছেন লক্ষ লক্ষ শহীদ।

বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস কবে?

২৬ মার্চ বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস। ১৯৭১ সালের ২৬শে মার্চ স্বাধীনতার ঘোষণা দেন বঙ্গবন্ধু। ১৯৭১ সালের তাৎপর্যপূর্ণ এই দিনটিকে স্মরণ করে  প্রতি বছর গভীর শ্রদ্ধা ও ভাবগম্ভীর্যের মাধ্যমে পালন করা হয় দিনটি। 

স্বাধীনতা দিবসের ইতিহাস

১৯৪৭ সালে ধর্মের ভিত্তিতে জন্ম নেয় ভারত ও পাকিস্তান নামক দুটি রাষ্ট্র। কিন্তু ভারতের পশ্চিমে অবস্থিত পশ্চিম পাকিস্তান ও পূর্ব দিকের ভূখণ্ড তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) মধ্যে বৈরীতার হাওয়া দেখা যাচ্ছিলো শুরু থেকেই। বিশেষ করে অপেক্ষাকৃত শক্তিশালী পশ্চিম পাকিস্তান ভাষাসহ চাকরি ও বিভিন্ন ক্ষেত্রে পূর্ব পাকিস্তানের সাথে বৈষম্যের আচরণ করতে থাকে- যার ফলশ্রুতিতে ১৯৭১ সালের মার্চ মাসে একটা অনিবার্য সংঘাতের দিকে মোড় নেয় পরিস্থিতি।

১৯৭১ সালের ২৫ মার্চ তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তান সরকার গভীর রাতে পূর্ব পাকিস্তানের (বর্তমান বাংলাদেশ) নিরীহ জনগণের উপর হামলা চালায় ও গ্রেপ্তার করা হয় স্বাধীন বাংলাদেশের রূপকার শেখ মুজিবুর রহমানকে। তবে গ্রেপ্তারের কিছু আগেই ২৬শে মার্চের প্রথম প্রহরে বঙ্গবন্ধু বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে স্বাক্ষর করেন। ঘোষণাটি নিম্নরুপ:

war declaration 1971

এটাই হয়ত আমার শেষ বার্তা, আজ থেকে বাংলাদেশ স্বাধীন। আমি বাংলাদেশের মানুষকে আহ্বান জানাই, আপনারা যেখানেই থাকুন, আপনাদের সর্বস্ব দিয়ে দখলদার সেনাবাহিনীর বিরুদ্ধে শেষ পর্যন্ত প্রতিরোধ চালিয়ে যান। বাংলাদেশের মাটি থেকে সর্বশেষ পাকিস্তানি সৈন্যটিকে উত্খাত করা এবং চূড়ান্ত বিজয় অর্জনের আগ পর্যন্ত আপনাদের যুদ্ধ অব্যাহত থাকুক।

২৬শে মার্চ চট্টগ্রাম বেতার কেন্দ্রে শেখ মুজিব এর স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রটি মাইকিং করে প্রচার করা হয়। পরে ২৭শে মার্চ মেজর জিয়াউর রহমান চট্টগ্রামের কালুরঘাট বেতার কেন্দ্র থেকে বঙ্গবন্ধুর পক্ষ থেকে পুনরায় স্বাধীনতা ঘোষণা করেন।

কবে থেকে স্বাধীনতা দিবসের শুরু হয়েছে?

১৯৭১ সালের ২৬ শে মার্চ থেকে স্বাধীনতা দিবসের মাধ্যমে সূচনা হয় রক্তক্ষয়ী মুক্তিযুদ্ধের। দীর্ঘ নয় মাসের এই যুদ্ধের মাধ্যমে অনেক ত্যাগ ও রক্তের মাধ্যমে আমরা বিজয় লাভ করি ১৯৭১ সালের ১৬ই ডিসেম্বর। অর্জিত হয় মহান স্বাধীনতা। তারপর থেকেই প্রতিবছর ২৬ মার্চকে পালন করা হয় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস হিসেবে।

২৬ শে মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা করা হয় কবে?

২৬ শে মার্চ কি দিবস- তা এখন আমরা সবাই জানি। কিন্তু ২৬ মার্চ কে স্বাধীনতা দিবস ঘোষনা করা হয় কখন তা আমরা অনেকেই জানি না। দেশ স্বাধীন হবার পর ১৯৭২ সালের ২২ জানুয়ারি প্রকাশিত এক বিশেষ প্রজ্ঞাপনে ২৬ মার্চকে বাংলাদেশে জাতীয় দিবস হিসেবে উদযাপন করার ঘোষণা দেয়া হয় এবং সরকারিভাবে এ দিনটিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়।

Independecne war

স্বাধীনতা দিবসের তাৎপর্য

জাতীয় জীবনে স্বাধীনতা দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য অপরিসীম। এই দিনটি প্রত্যেক বাংলাদেশীর জীবনে বয়ে আনে একই সঙ্গে আনন্দ-বেদনা-গৌরবের এক অম্ল-মধুর অনুভূতি। একদিকে হারানোর কষ্ট অন্যদিকে মুক্তির আনন্দ। তবে শেষ পর্যন্ত সবকিছু ছাড়িয়ে স্বাধীনতা প্রাপ্তির অপার আনন্দই বড় হয়ে ওঠে প্রতিটি বাঙালির কাছে। গৌরবোজ্জ্বল এই দিনটি প্রতিবছর আসে আত্মত্যাগ, আত্মপরিচয় ও ঐক্যের বার্তা নিয়ে। সেই সাথে স্মরণ করিয়ে দেয় আমাদের দায়িত্ব-কর্তব্য। নব উদ্যমে সামনে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা ও দিকনির্দেশনা নিয়ে আসে এই দিন। আমাদের উচিত এই দিনটিকে শক্তিতে পরিণত করে নতুন দিনের পথে এগিয়ে চলার।

মহান স্বাধীনতা দিবসে দারাজে আকর্ষণীয় ডিল ও ডিসকাউন্ট

স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে স্বাধীনতার ৫০ বছরে দারাজ আয়োজন করেছে ‘মহান স্বাধীনতা দিবস ক্যাম্পেইন‘। বিশাল ছাড় ও ডিসকাউন্টের মাধ্যমে শপিং এর এই দারুণ ইভেন্টে অংশগ্রহণ করে দারুণ এই ইতিহাস উদযাপনের সঙ্গী হতে পারেন আপনিও।

ঈদ বিগ সেল ২০২৩: এবার জমজমাট কেনাকাটা হবে দারাজে

রোজার ঈদের বাকি আর মাত্র কিছুদিন, মুসলিম উম্মাহর অপেক্ষায় এখন অন্যতম সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব পবিত্র ঈদ-উল-ফিতর। এই ধর্মীয় উৎসবটিকে কেন্দ্র করে প্রতিটি পরিবারেই থাকে খুশির আমেজ। নতুন জামাকাপড়, পাঞ্জাবি, শাড়ি এমনকি ফ্রিজার ও রেফ্রিজারেটর সহ অন্যান্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী কেনাকাটার ধুম। আপনার ঈদ কেনাকাটার জন্য দেশের সেরা অনলাইন মার্কেটপ্লেস দারাজ বাংলাদেশ হতে পারে সেরা সমাধান। দারাজ ঈদের কেনাকাটাকে সহজ করতে ধর্মীয় সামগ্রীসহ প্রয়োজনীয় নানাবিধ পণ্যের পসরা সাজিয়ে আয়োজন করেছে ঈদের কেনাকাটার মেগা ক্যাম্পেইন। তাই প্রথাগত কেনাকাটার চেয়ে ঝক্কি-ঝামেলা ও ট্রাফিক জ্যামমুক্ত সহজ অনলাইন শপিং আপনার ঈদ উদযাপনে এনে দিতে পারে অনাবিল প্রশান্তি।

চলুন এক নজরে দেখে নেয়া যাক ঈদ শপিং এ দারাজের সেরা আকর্ষণগুলো-

সেরা ডিল, সেরা ঈদ প্রস্তুতি ২০২৩

রোজার ঈদের জন্য প্রয়োজনীয় পণ্যের সেরা ডিলগুলোতে বিশেষ মূল্যছাড় আপনি উপভোগ করতে পারবেন অনায়াসেই। স্থানীয় মার্কেটের আকাশ ছোঁয়া দাম নিয়ে দুশ্চিন্তা পরিহার করে ঘরে বসেই লুফে নিতে পারেন দারাজ ঈদ শপিং ফেস্ট ক্যাম্পেইনের মেগা ডিল সমূহ। সহজ পদ্ধতিতে অর্ডার করলেই দ্রুততম সময়ের মধ্যে আপনার ঠিকানায় পৌঁছে যাবে সময়ের সেরা ডিলের সেরা পণ্য। 

mega deals on daraz

ঈদের প্রয়োজনীয় পণ্যসামগ্রী: থাকছে বিশাল মূল্যছাড়

দারাজ বাংলাদেশ থেকে অনলাইনে ঈদের প্রয়োজনীয় বিভিন্ন পণ্যে থাকছে বিরাট মূল্যছাড়ের সুবিধা। দেশী-বিদেশী জনপ্রিয় বিভিন্ন ব্র্যান্ডের সেরা পণ্য আছে দারাজে। মোবাইলের মেগা ডিল থেকে শুরু করে ঈদের সেরা হোম এপ্লায়েন্স ডিল কিংবা গ্লোবাল কালেকশন এর পণ্য সবই পাবেন বিশেষ ছাড়ে। 

hot deals on eid sale

prepayment voucher

free delivery voucher

ফ্যাশন পণ্য কেনাকাটায় আভিজাত্যের আরেক নাম দারাজ

লোকাল মার্কেটে অতিরিক্ত দামে কেনাকাটা সম্ভব হচ্ছে না? তাই বলে কি থেমে থাকবে ঈদের নতুন জামা কেনা? এখন দারাজ ঈদ শপিং ক্যাম্পেইনে ভিজিট করে খুব সহজেই পেতে পারেন ফ্যাশন পণ্যের সেরা ডিল, যেখানে আপনি পাবেন সেরা ডিজাইনের পাঞ্জাবী, শাড়ি, সালোয়ার কামিজ, জুতা থেকে শুরু করে দারুণ সব কালেকশন। এছাড়া এখানে পাবেন সাশ্রয়ী হেলথ এন্ড বিউটি প্রোডাক্ট ও লাইফস্টাইল প্রোডাক্টের সেরা ডিল।

eid budget deals

ramdan eid hijab borka design

eid fashion for men

eid panjabi for men

আস্থা আর নির্ভরতার অপর নাম দারাজ

বাংলাদেশে অনলাইন শপিং -এর দুনিয়ায় দারাজ বাংলাদেশ অনন্য নাম। গ্রাহকদের শতভাগ সন্তুষ্টি নিশ্চিত করার মাধ্যমে বাংলাদেশী ক্রেতাদের কাছে দারাজ এখন আস্থা ও নির্ভরতার প্রতীক। দারাজের রয়েছে সহজ রিটার্ন পলিসি ও বিশেষ ওয়ারেন্টি পলিসি সুবিধা। আরও আছে ০% ইএমআই সুবিধার মাধ্যমে কিস্তিতে সেরা মানের পণ্য কেনার নিশ্চয়তা। আপনি যদি দারাজের নতুন গ্রাহক হয়ে থাকেন, তাহলে ৫০% ছাড় লুফে নেওয়ার সুযোগ তো থাকছেই। আর গ্রাহকদের যে কোন প্রয়োজনে ২৪ ঘন্টার কাস্টমার সার্ভিস সেবা চালু থাকছে সপ্তাহের ৭ দিনেই।

ব্যবহার করুন দারাজ অ্যাপ

দারাজ অ্যাপ ব্যবহার করেও এখন ব্যাপক ছাড়ে অনলাইন শপিং করা যাবে স্বাচ্ছন্দ্যে। অ্যাপল স্টোর অথবা গুগল প্লে-স্টোর থেকে আজই ডাউনলোড করে নিতে পারেন দারাজ মোবাইল অ্যাপ আর উপভোগ করতে পারেন নিরাপদ অনলাইন শপিং বাংলাদেশের যে কোন জায়গাতে বসেই।

ঈদের সবরকম কেনাকাটা তো হল কিন্তু ডেলিভারি নিয়ে ভাবছেন? এখন দেশ জুড়ে পাবেন সবচেয়ে দ্রুততম হোম ডেলিভারি সার্ভিস। তো আর দেরি কেন? এখন ঘরে বসে অনলাইনে ঈদের কেনাকাটা করতে ভিজিট করুন দারাজ ঈদ সেল ক্যাম্পেইনে আর নিশ্চিন্তে বাজারের সেরা পণ্যটি কেনাকাটা করুন সবচেয়ে সহজে ও কম খরচে।

তীব্র গরমে সেহেরির খাবার তালিকা যেমন হওয়া উচিৎ

বছর ঘুরে আবারও দরজায় কড়া নাড়তে শুরু করেছে পবিত্র মাহে রমজান। এসময় ভোর রাতের সেহেরি থেকে ইফতারের মাধ্যমে রোজা ভাঙ্গার আগ পর্যন্ত দীর্ঘ সময় না খেয়ে থাকতে হয়। তাই সেহেরী হতে হবে পরিকল্পিত ও স্বাস্থ্যকর যেন সারাদিন রোজা রাখার শক্তি পাওয়া যায়। বিশেষ করে এবারের কাঠফাটা গরমে আলাদাভাবে লক্ষ্য রাখতে হবে সেহরির খাবার তালিকার দিকে নয়তো অসুস্থ হয়ে পড়াসহ দীর্ঘমেয়াদী স্বাস্থ্য সমস্যা দেখা দেওয়া মোটেও অবাক করার মত নয়। অনেকেই আবার সারাদিন না খেয়ে থাকতে হবে বলে সেহেরীতে যত বেশি সম্ভব খেয়ে নেওয়া যায় এমন পন্থা অবলম্বন করেন যা মোটেও স্বাস্থসম্মত নয়। বরং সেহেরীর খাবার এমন হওয়া দরকার যেন তা সারাদিনের দেহের পুষ্টির চাহিদা পূরণ করতে পারে, আবার এত অতিরিক্ত খাওয়াটাও উচিৎ না, যা আপনাকে অস্বস্তিতে ফেলে। সব ধরনের গ্রোসারী সেরা দামে কিনুন দারাজ অনলাইন রমজান বাজারে।

রমজানের দরকারি গ্রোসারি পণ্য সাশ্রয়ী মূল্যে কিনুন অনলাইনে

সেহেরীতে সুষম ও স্বাস্থ্যকর খাবার তালিকা তৈরীতে যেসব বিষয়ের প্রতি খেয়াল রাখা দরকার

সেহেরিতে যেসব খাবার খাওয়া যেতে পারেঃ

ভাত – রুটি

সেহেরি হচ্ছে রমজানের সবচেয়ে প্রয়োজনীয় খাবার। এতে এমন ধরণের খাবার খাওয়া উচিৎ, যা হজম হতে সময় লাগে এবং দীর্ঘক্ষণ কর্মশক্তি ধরে রাখতে সাহায্য করে। একারণে সেহেরির খাদ্য তালিকায় শর্করা বা কার্বোহাইড্রেট সম্পন্ন খাবার রাখা উচিৎ। কারণ কমপ্লেক্স কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার ধীরে ধীরে রক্তে গ্লুকোজ দেয় এবং খাদ্যে আঁশের চাহিদা জোগায়। বাসায় রাইস কুকার দিয়ে রান্না করা ঢেঁকিছাঁটা চাল এর ভাত, লাল আটার রুটি, আলু, চিড়া, ওটস, সিরিয়াল, বার্লি – এই খাবারগুলোতে যথেষ্ট পরিমাণ কার্বোহাইড্রেট থাকে। এছাড়া ধীরগতিতে হজম হয় এবং হজম হতে প্রায় ৮ ঘণ্টা লাগে বলে এসব খাবার খেলে দিনের বেলায় কম ক্ষুধা লাগে। তাই সেহেরির খাদ্য তালিকার একটা বড় অংশ জুড়ে এসব খাবার রাখলে তা আপনাকে রোজার সময়ও সারাদিন সুস্থ ও কর্মক্ষম রাখবে।

দারাজ রমজান বাজার ২০২৩ (আকর্ষণীয় অফার ও ডিসকাউন্ট)

প্রোটিন জাতীয় খাবার

সেহরিতে আমিষ বা প্রোটিন জাতীয় খাবার থাকলে তা আপনার দেহের প্রয়োজনীয় পুষ্টির চাহিদা মেটানোর পাশাপাশি সারাদিন আপনাকে শক্তি যোগাবে। মাছ, মাংস, তরল দুধ, গুঁড়া দুধ, দুধজাত খাবার, ডিম, ডাল প্রভৃতি খাবার প্রোটিনের ভালো উৎস। এছাড়া এসব খাবারে ক্যালসিয়াম, ফসফরাস, জিংক, আয়রন প্রভৃতি পুষ্টি উপাদানও প্রচুর পরিমাণে থাকে, যা আপনার হাড়ের সুস্থতার জন্য জরুরি। বিশেষ ভাবে সেহেরীতে দুধ আপনার জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ খাবার হতে পারে। লো ফ্যাট দুধ রক্তের কোলেস্টেরল বজায় রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া দুধজাতীয় বিভিন্ন খাবার যেমন ঘরে দই মেকার দিয়ে বানানো দই, ছানা প্রভৃতি কিংবা কলা ও আম সহ দুধভাত রোজার সময়ে আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পুষ্টি যোগাবে। মাছ বা মাংসের বদলে সেহেরীর খাবারে একটি ডিম থাকলেও তা আপনাকে প্রয়োজনীয় শক্তির চাহিদা পূরণ করতে পারে।

তাজা সবজি

ভিটামিন শরীরের জন্য খুবই দরকারী একটি পুষ্টি উপাদান। তাজা শাকসবজি দেহের প্রয়োজনীয় ভিটামিনের একটি নির্ভরযোগ্য উৎস। তাই সেহরিতে প্রতিদিন সবজি খাওয়া উচিৎ। তবে রাতের খাবারে অতিরিক্ত আঁশযুক্ত সবজি খাওয়া ঠিক না। কারণ অতিরিক্ত ফাইবার সমৃদ্ধ সবজি হজমের ঝামেলা করতে পারে। তার বদলে সেহেরীতে মাঝারি আঁশের সবজি যেমন- ঝিঙে, চিচিংগা, লাউ, পেঁপে, চালকুমড়া, গাজর প্রভৃতি খাওয়াটা বেশি স্বাস্থ্যসম্মত।

ফলমূল

সেহেরীর খাবারের পর ফল খেলে তা দিনের বাকী সময়টায় আপনার শরীরের প্রয়োজনীয় পানির চাহিদা পূরণ করতে সাহায্য করবে। তবে এক্ষেত্রে কিছু বিষয় খেয়াল রাখা উচিৎ। ভোররাতে টক জাতীয় ফল না খাওয়াই ভালো। এর ফলে অ্যাসিডিটির ঝুঁকি বাড়ে। মাঝারি আঁশযুক্ত ও নরম পাকা ফল এক্ষেত্রে বেশি উপকারী। পেঁপে, কলা, আম ইত্যাদি অথবা বিভিন্ন মৌসুমী ফলের ও দুধের তৈরি কাস্টার্ড খাওয়া যেতে পারে। এইসব সুস্বাদু ফল ও ফলজাত খাবার দেহের পুষ্টি উপাদান ও পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি দীর্ঘসময় শরীরের শক্তি যোগায়।

তরল জাতীয় খাবার

রোজা রাখার অন্যতম স্বাস্থ্যজনিত সমস্যা হচ্ছে শরীরের পানি ঘাটতি। তাই যেসব খাবার পানিশূণ্যতা দূর করে, সেহেরির খাদ্য তালিকায় সেসব খাবার যোগ করা যেতে পারে। এক্ষেত্রে ডাবের পানি, শসা, আনারস, টমেটো, কমলা ও তরমুজ ইত্যাদি উল্লেখযোগ্য হতে পারে। এছাড়া সেহেরিতে পর্যাপ্ত পরিমান পানি পান করা উচিৎ যেন সারাদিনের পানি ঘাটতি পূরণ হয়। তবে তাই বলে গলা পর্যন্ত পানি পান করা উচিৎ না। বরং কিছুটা ফাঁকা রাখুন। খুব ঠান্ডা এবং খুব গরম পানি পান করা উচিৎ না। এ ছাড়া তরল খাবার হিসেবে দুধ, পাতলা সাগু, সাবু বা বার্লি, সুজি, স্যুপ, আঙ্গুরের রস ইত্যাদি খাওয়া যেতে পারে সেহেরীতে। অনলাইনে ট্যাং অর্ডার করে অথবা ঘরে ব্লেন্ডার মেশিন দিয়ে ফলের রস কিংবা জুস বানিয়ে তরল খাবারের ঘাটতি অনেকাংশেই কমিয়ে ফেলা সম্ভব রোজার মাসে।

সেহেরীতে যেসব খাবার এড়িয়ে চলাই ভালোঃ

সেহেরির সময় বেশি তৈলাক্ত, মসলাদার এবং ঝাল খাবার খাওয়া উচিৎ না। সেক্ষেত্রে সেহেরির খাদ্য তালিকা থেকে বিরিয়ানী, পোলাও, তেহারি প্রভৃতি ভারি ধরণের খাবার বাদ দিতে পারেন। কারণ সেহেরীতে এসব খাবার খেলে বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া করা এবং পেট ফাঁপার সমস্যা হতে পারে। অনেকেই সেহরিতে কফি মেশিন দিয়ে বানানো চা অথবা কফি খেতে পছন্দ করেন। অনেকে আবার কোক এর মত কোল্ড ড্রিঙ্কস বা বেভারেজ পানীয় খেতে তৃপ্তি পান। কিন্তু এসব পানীয়তে ক্যাফেইন থাকে, যা মূত্রের পরিমাণ বাড়ায়, ফলে শরীরের পানির পরিমাণ কমে যায় এবং খুব তাড়াতাড়ি তৃষ্ণা পায়। তাই সেহেরিতে এসব খাবার এড়িয়ে চলা উচিৎ। পানিশূণ্যতা বাড়ায় বলে সেহেরির সময় অতিরিক্ত লবণাক্ত খাবার খাওয়া উচিৎ নয়।

প্রচন্ড গরমে রোজা রেখে সুস্থ থাকতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই সেহেরির খাবারের ব্যাপারে সতর্ক থাকতে হবে। কারণ সঠিক খাদ্যাভাস না মেনে রোজা রাখলে খুব সহজেই অসুস্থ হয়ে পড়তে পারেন। বিশেষ করে দেহে পানিশূন্যতা যাতে না হয়, সেদিকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে। আর অবশ্যই সেহেরি খাওয়ার ব্যাপারে কোনো ছাড় দেওয়া সমীচীন হবে না। তাহলে আশা করি এই গরমেও রোজা রাখতে খুব বেশি সমস্যায় পড়তে হবে না।

সুলভ মূল্যে সব ধরনের গ্রোসারী কিনতে ভিজিট করুন দারাজ মার্ট। 

রমজানের গ্রোসারি শপিং কেন ডি মার্ট থেকে করবেন?

ভালোবাসা দিবস ২০২৩: প্রিয়জনের জন্য সেরা গিফট আইডিয়া

ভালোবাসা দিবস কবে- এর উত্তর জানেন না এমন কাউকে খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভালোবাসা দিবসকে সামনে রেখে সবার মাঝেই চাপা প্রস্তুতি চলে ভালোবাসার মানুষের জন্য উপহার কেনার। বিশেষ করে ভালবাসার প্রথম উপহার হলে তো কথাই নেই। ভালোবাসার মানুষকে কি উপহার দিলে খুশি হবে তা নিয়েও চিন্তার অন্ত থাকে না। তাই ভালোবাসা দিবস এলেই প্রিয়জনের জন্য উপহার কেনার হিড়িক পড়ে যায়। কিন্তু যারা এখনো ভালোবাসার মানুষটির হাতে সেরা উপহারটি তুলে দেয়ার জন্য ভ্যালেন্টাইন্স ডে’র গিফট আইডিয়া খুঁজছেন তাদের জন্যই এই পোস্ট। এছাড়া দারাজের ভ্যালেন্টাইন্স ডে ক্যাম্পেইন পেজে ভিজিট করে আকর্ষণীয় ডিসকাউন্ট ভাউচার ও অফারের মাধ্যমে জিতে নিতে পারেন প্রিয়জনের জন্য সেরা উপহারটি।

flowers for valentines on daraz

নিচের চমৎকার ভালোবাসার গিফট আইটেমগুলো থেকে সহজেই বেছে নিতে পারেন প্রিয়জনের জন্য সেরা ভ্যালেন্টাইন্স গিফট আইটেমটি ।

১) চকলেট

চকলেট খেতে কে না ভালোবাসে? ভালোবাসা দিবসে প্রিয়জনের জন্য সেরা মানের চকলেট হতে পারে আপনার দেওয়া সেরা একটি উপহার। আপনি যদি ভালো চকলেটের দাম না জানেন কিংবা কম দামে ভালো চকলেট কিনতে চান, তবে দারাজ বাংলাদেশ হতে পারে আপনার জন্য আদর্শ জায়গা। এখানে ক্যাডবেরি চকলেট থেকে শুরু করে স্নিকার্স বা ডার্ক চকলেট সবই মিলবে সুলভ মূল্যে।

২) বই

আপনার প্রিয়জন যদি পড়তে ভালোবাসে তাহলে যেকোন উপলক্ষেই বই হতে পারে দারুণ একটি উপহার। পছন্দের লেখকের সেরা বইটি মুহূর্তেই তার মুখে এনে দিতে পারে বিশ্বজয়ীর হাসি। এছাড়া ভালোবাসার উপহার হিসেবে কবিতার বই এর সুনাম দীর্ঘদিনের। দারুণ প্রচ্ছদের সেরা একটি বই উপহার হিসেবে একই সাথে অমূল্য ও সাশ্রয়ী। সাথে চকলেট যোগ করে খুব সহজেই জয় করে নিতে পারেন প্রিয় মানুষের মনটি।

৩) জুয়েলারি

ভালোবাসা দিবসের উপহার হিসেবে প্রিয় মানুষটির জন্য কিনতে পারেন দারুণ সব অলংকার সামগ্রী। উপহার হিসেবে গহনা খুব সহজেই জয় করে নিতে পারে মেয়েদের মন। দারাজের দারুণ ডিজাইনের সব জুয়েলারি কালেকশন থেকে গহনার ছবি দেখে প্রিয় মানুষটির রুচি মিলিয়ে সহজেই পছন্দ করে নিতে পারেন সেরা ডিজাইনের অলঙ্কারটি। কানের দুল থেকে শুরু করে আংটি কিংবা সেরা ডিজাইনের ব্রেসলেট সবই পাবেন এখানে।

৪) বিউটি কেয়ার কিট

দারাজের অসংখ্য মেকআপের কালেকশনের মধ্য থেকে সহজেই বেছে নিতে পারবেন প্রিয় মানুষটির জন্য সেরা মেকআপ কিটটি। সেরা মানের আই শ্যাডো, মেকআপ ব্রাশ, মেকআপ বক্স, লিকুইড লিপস্টিক, ম্যানিকিউর পেডিকিউর সেট- সবই মিলবে দারাজের মেকআপ ক্যাটাগরিতে। এছাড়া ফাউন্ডেশন থেকে শুরু করে মেকআপ ব্যাগ ও অর্গানাইজারও মিলবে দারাজ বাংলাদেশে- সবচেয়ে সাশ্রয়ী দামে। অন্যদিকে ছেলেদের জন্য ভালো উপহার হতে পারে সেরা মানের একটি ট্রিমার ও শেভার।

৫) ফ্যাশন আইটেম ও এক্সেসরিজ

দারাজের ফ্যাশন ক্লথিং কালেকশন থেকে খুব সহজেই বেছে নিতে পারেন পছন্দের মানুষের জন্য সেরা উপহারটি। বয়ফ্রেন্ডের জন্য টিশার্ট ও শার্ট সহ প্যান্ট থেকে শুরু করে সব ধরণের ফ্যাশন আইটেম এমনকি ব্যাগ এখানে পাবেন সবচেয়ে কম মূল্যে। এছাড়া প্রিয় মানুষটির জন্য কিনতে পারবেন শাড়ি এবং সালোয়ার কামিজ সহ লেহেঙ্গা, টপস, স্কার্ট, লিঙ্গারি সহ সেরা ডিজাইনের দারুণ সব ফ্যাশন আইটেম। এছাড়া দারুণ সব ফ্যাশন এক্সেসরিজ তো থাকছেই।

৬) ঘড়ি / স্মার্টওয়াচ

ছেলেমেয়ে সবার জন্য ঘড়ি হতে পারে দারুণ উপহার। প্রতিদিন ব্যবহার করা সামগ্রী হওয়ার কারণে একটি ফ্যাশনেবল ঘড়ির কারণে প্রিয় মানুষটির সাথে সবসময় থাকার দুর্লভ এই সুযোগ হাতছাড়া করাটা ঠিক হবে না। দারাজে ছেলেদের ঘড়ির পাশাপাশি মেয়েদের ঘড়ির রয়েছে সুবিশাল কালেকশন। এছাড়া এখন বিভিন্ন ফ্যাশনেবল ডিজাইনের দারুণ সব স্মার্টওয়াচ পাওয়া যায়। তাই সেরা ফিচারের সুন্দর ডিজাইনের একটি স্মার্টওয়াচ হতে পারে এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে’তে আপনার প্রিয়জনের জন্য সেরা উপহার।

৭) পারফিউম

যেকোন সময়েই পারফিউম হতে পারে সেরা একটি গিফট আইটেম। চমৎকার সুগন্ধী দ্রব্য আপনার প্রিয়জনের মনকে করবে প্রফুল্ল। আর সেই সাথে আপনার কথাও মনে পড়বে তার। তাই ভালোবাসা দিবসে সেরা মানের একটি দামী পারফিউম বা বডি স্প্রে হতে পারে আপনার ভালোবাসার মানুষটির জন্য সেরা উপহার। দারাজের অসংখ্য পারফিউমের মাঝ থেকে নিজের পছন্দ ও সাধ্য মিলিয়ে আজই বেছে নিতে পারেন দারুণ একটি পারফিউম।

৮) ফ্যাশনেবল জুতা

স্টাইলিশ ডিজাইনের একটি ভালো জুতা হতে পারে আপনার প্রিয়জনের জন্য ভালোবাসা দিবসের সেরা উপহার। একটি ভালো ফ্যাশনেবল জুতা খুব সহজেই লুকে আনতে পারে আভিজাত্যের ছাপ। দারাজে ভিজিট করে স্টাইলিশ জুতার ছবি দেখে প্রিয়জনের জন্য পছন্দ করতে পারবেন সেরা ভ্যালেন্টাইন্স ডে গিফট। এখানে মেয়েদের হিল জুতা, ফ্ল্যাট স্যান্ডেল থেকে শুরু করে ছেলেদের স্টাইলিশ স্নিকার, ছেলেদের স্যান্ডেল, ফর্মাল জুতা সহ বিভিন্ন ধরণের ছেলেদের জুতা সবই পাওয়া যাবে কম দামে।

তো আর দেরি কেন? এখনই আপনার প্রিয়জনের পছন্দের সাথে মিল রেখে বেছে নিন এই ভ্যালেন্টাইন্স ডে উপলক্ষে ভালোবাসার সেরা গিফটি আর উপভোগ করুন প্রিয়মুখের সেরা হাসি।

এছাড়া আরো দেখতে পারেন,
>> এই ভালোবাসা দিবসের সেরা ভ্রমণ প্যাকেজগুলো <<

ভালোবাসা দিবস: ইতিহাস, প্রচলন, উদযাপন ও গুরুত্ব

১৪ ফেব্রুয়ারি। ভালোবাসা দিবস। ভ্যালেন্টাইনের দিন আমরা আমাদের জীবনের ভালোবাসার মানুষদের প্রতি ভালোবাসা প্রকাশ করি অকপটে। প্রিয়জনের জন্য উপহার কেনা কিংবা কয়েক লাইনের শুভেচ্ছা বানী দিয়ে নিজের ভালোবাসা প্রকাশের এমন দারুণ সুযোগটি হাতছাড়া করতে চায় না কেউই।

ভালোবাসা দিবস বা ভ্যালেন্টাইন ডে

ভালোবাসা দিবস কবে (ভালোবাসা দিবস কত তারিখে) বা ১৪ই ফেব্রুয়ারি কি দিবস- এ তথ্য জানে না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। প্রতি বছর ১৪ ফেব্রুয়ারিকে বিশ্ব ভালোবাসা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। সারা বিশ্বে এখন তুমুল জনপ্রিয় ভ্যালেন্টাইন ডে বা ভালোবাসা দিবস। ভালোবাসা ব্যাপারটিকে সম্মান জানিয়ে পৃথিবীর প্রায় সব দেশেই নানাবিধ আয়োজন করা হয় ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে কেন্দ্র করে।  সারাদিন ধরে বিভিন্ন স্থানে চলে নানা বর্নিল আয়োজন ও কনসার্ট। রেডিও-টেলিভিশনে প্রচারিত হয় বিভিন্ন চমৎকার প্রোগ্রাম, সেলিব্রেটি শো। এদিন তরুণ-তরুণীরাও চায় প্রিয় মানুষটির সাথে কিছু সুন্দর মুহূর্ত কাটাতে। ভালোবাসা দিবস বা সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন ডে এর আবেদন শুধুমাত্র প্রেমের সম্পর্কের মধ্যে সীমাবদ্ধ না হয়ে হতে পারে আরো দারুণ কিছুর সূচনা।

ভালোবাসা দিবসের নামকরণ

ভালোবাসা দিবসটি কিভাবে এলো বা কিভাবে প্রচলিত হলো ভ্যালেন্টাইন’স ডে (ভেলেন্টাইন ডে এর ইতিহাস)- এ সম্পর্কে কিছু মতানৈক্য থাকলেও ভ্যালেন্টাইন ডে’র ভালবাসার জনক কে এই প্রশ্নের উত্তরে সকলেই সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন এর নাম স্মরণ করে থাকেন। তার নাম অনুসারেই ১৪ ফেব্রুয়ারি দিনটিকে ভ্যালেন্টাইন’স ডে হিসেবে নামকরণ করা হয়।

ভালোবাসা দিবসের ইতিহাস: কিভাবে এলো ভালোবাসা দিবস

২৬৯ সালে ইতালির রোম নগরীতে সেন্ট ভ্যালেন্টাইন নামে একজন খ্রিস্টান পাদ্রী ও চিকিৎসক ছিলেন। তখন রোমান সাম্রাজ্যে খ্রিস্টান ধর্ম প্রচার নিষিদ্ধ। ধর্ম প্রচারের অভিযোগে বন্দী করা হয় সেন্ট ভ্যালেন্টাইনকে। কিন্তু তরুণদের ভেতর ভ্যালেন্টাইনের ছিলো দারুণ জনপ্রিয়তা। কথিত আছে, রোমান সম্রাট যুবক-যুবতীদের মধ্যে বিয়ে নিষিদ্ধ করেছিলেন যাতে তরুণরা আরো সহজে যুদ্ধে যোগ দেয়। এদিকে ভ্যালেন্টাইনের উপর ছিলো তরুণদের গোপনে বিয়ে পড়ানোর অভিযোগ। যখন বন্দী ছিলেন সেইন্ট ভ্যালেন্টাইন কারারক্ষীর এক অন্ধ মেয়েকে চিকিৎসার মাধ্যমে সুস্থ করে তোলেন। এতে তার জনপ্রিয়তা আরো বেড়ে যায় যা ক্ষিপ্ত করে তোলে রাজাকে। সেইন্ট ভ্যালেন্টাইনের মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হয় ১৪ই ফেব্রুয়ারি।

পরে ৪৯৬ সালে তৎকালীন পোপ ১৪ই ফেব্রুয়ারিকে ভ্যালেন্টাইন দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন। তারপর থেকেই দিনটি উজ্বল হয়ে আছে ভালোবাসাকে উদযাপন করার উপলক্ষে। ভালবাসা দিবসের উৎপত্তি কিভাবে তা জানলে সহজেই বোঝা যায় ভালোবাসা দিবস পালনের উদ্দেশ্য।

বাংলাদেশে ভালোবাসা দিবস উদযাপন

পৃথিবীর অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও উৎসাহ-উদ্দীপনার মাধ্যমে পালন করা হয় ভালোবাসা দিবস। এদিন প্রিয় মানুষটির সাথে বিশ্ব ভালোবাসা দিবসের এস এম এস আদান-প্রদানের মাধ্যমে নিজেদের ভালোবাসা ভাগ করে নেয়া হয়। প্রিয় মানুষটিকে উপহার প্রদানের মাধ্যমে প্রিয় সম্পর্ককে আরেকটু ঝালিয়ে নেয়ার সুযোগটাও লুফে নেয় সবাই। ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে বিভিন্ন স্থানে আয়োজন করা হয় কনসার্ট ও সাংস্কৃতিক প্রোগ্রামের, বিভিন্ন শপিং আউটলেটে থাকে নানা ধরণের ছাড় ও আয়োজন। বর্তমানে এই দিনটিকে ঘিরে থাকে এক ধরণের উৎসবের আমেজ। পার্ক ও বিনোদন কেন্দ্রগুলোতে থাকে উপচে পড়া ভিড়। দিনটিকে নিজের মতো করে পালন করতে চেষ্টা করে সাধারণ মানুষেরাও।

ভালোবাসা দিবসের কার্ড, এসএমএস ও উপহার

ভালোবাসা দিবস উপলক্ষে প্রিয়জনের মুঠোফোনে ভ্যালেন্টাইন ডে কবিতা (ভালোবাসা দিবসের কবিতা), ভালোবাসা দিবসের পিকচার (ভালোবাসার রোমান্টিক ছবি), ভালোবাসার পিকচার, ভালোবাসা দিবসের ছবি কিংবা ভ্যালেন্টাইন ডে মেসেজ (ভালোবাসা দিবস sms) পাঠিয়ে অনেকেই শুরু করেন এই দিনটি। থাকে প্রেমিক-প্রেমিকার জন্য উপহার কিনে ভালোবাসা দিবস ২০২৩ কিংবা ভ্যালেন্টাইন ডে ২০২৩ উদযাপনের দারুণ সুযোগ। এক্ষেত্রে দারাজ ভ্যালেন্টাইন ডে ক্যাম্পেইন থেকে অনলাইনেই সেরে ফেলতে পারেন ভালোবাসা দিবসের যাবতীয় কেনাকাটা।

flowers for valentines on daraz

আজ কি ডে কিংবা কিস ডে কবে- এমন প্রশ্ন যদি মাথায় আসে তাহলে নিচের তালিকাটি দেখে জেনে নিতে পারেন সহজে।

  • রোজ ডে – ফেব্রুয়ারি ৭
  • প্রোপোজ ডে- ফেব্রুয়ারি ৮
  • চকোলেট ডে – ফেব্রুয়ারি ৯
  • টেডি ডে – ফেব্রুয়ারি ১০
  • প্রমিজ ডে – ফেব্রুয়ারি ১১
  • হাগ ডে – ফেব্রুয়ারি ১২
  • কিস ডে – ফেব্রুয়ারি ১৩
  • ভ্যালেন্টাইন ডে – ফেব্রুয়ারি ১৪

বিশ্ব ভালবাসা দিবসের শুভেচ্ছা সবাইকে, শুভ ভালোবাসা দিবস!